Скачать или смотреть শোল মাছ |snakehead fish farming

রাক্ষসী মাস হিসেবে পরিচিত শোল মাছ ছারলে আর ছাড়তে হয় না ওরা নিজেরাই বাচ্চা দেয় | শোল মাছের চাষ করে লক্ষ টাকা আয় করুণ !!!
শোল মাছ চাষ করার সহজ পদ্ধতি !
শোল মাছকে আমরা রাক্ষুসে মাছ হিসেবেই জানি। শোল মাছ আমাদের দেশে এখন প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতীর মাছ হয়ে যাচ্ছে। শোল মাছ বাজারের দামি মাছ। শোল মাছের দাম কেজি প্রতি তিনশ’ টাকার কম নয় অথচ তা উৎপাদন খরচ খুবই কম। শোল মাছ সব ধরনের দুর্যোগ যেমন খরা, অতিবৃষ্টি কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতি সবকিছু সহ্য করতে পারে- যা অন্য মাছের জন্য কঠিন।
পুকুর প্রস্তুতিঃ- যে কোন পুকুরেই শোল মাছ চাষ করা যাবে তবে তাকে উপযুক্ত পরিবেশ দিতে হবে।যেই পুকুরে শোল চাষ হবে সেই পুকুরে কচুরীপানা অথবা কলমি লতা থাকলে ভাল কারন শোল মাছ আড়ালে আবডালে থাকতে পছন্দ করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কচুরীপানায় যেন পুকুর ভরে না যায়। পুকুরের চারদিকে কমপক্ষে ৫-৭ ফুট উচ্চতায় জাল দিয়ে বেড় দিত হবে। অন্যথায় বর্ষাকালে শোল মাছ লাফিয়ে চলে যাবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে শোল মাছের চাষ শুরু হয়েছে ,সে জন্য শোল মাছের পোনা । বর্তমানে শোল মাছের পোনা উৎপাদন করা খুবই সহজ মে-জুন মাসে শোল মাছের প্রজনন মৌসুম।মে মাসের প্রথম থেকে শোল মাছ ডিম দিতে শুরু করে। সেই ডিমথেকে হ্যাচিং করে বাচ্চা ফোটানো হয় আর সেই সব বাচ্চা পোনা সংগ্রহ করে পুকুরে একক ভাবে প্রতি শতাংশে ২০০ টি পোনা মাছ চাষের জন্য দেয়া যেতে পারে । আর মিশ্র পদ্ধতিতে চাষের জন্য প্রতি শতাংশে ৪০-৫০টি দেয়া যেতে পাড়ে । এর থেকে বেশী না দেয়াই ভাল । আমরা বানিজ্যিক ভাবে বর্তমানে পোনা উৎপাদন করতে শুরু করেছি । ভিয়েতনাম থেকে ২০১৪ সালে সরকারের অনুমতি নিয়ে মাদার ফিস সংগ্রহ করে বাংলাদেশে নিয়ে এসে বানিজ্যিক ভাবে পোনা উৎপাদন ও বিক্রয় করতে শুরু করেছি ।পোনা প্রাপ্তির জন্য মোবাইল:০১৭১৩৫৩৯২১২
খাদ্যঃ- শোল মাছের বানিজ্যিক ভাবে চাষ শুরু হয়েছে তাই শোল মাছের খাদ্য বানিজ্যিক ভাবে বাংলাদেশে এখন পাওয়া যায়, বাজারে আধিক প্রোটিন সমর্থিত খাদ্য পরিবেশন করে ও শোল মাছ চাষ করা যাবে । পোনা মাছের প্রিয় খাদ্য হচ্ছে "ময়না" আর অনেকেই হয়তো এই "ময়না" জিনিসটা কি বুঝতে পারছেননা। তাদের অবগতির জন্য বলছি-
“ময়না “( এক ধরনের জু-প্লাঙ্কটন বা প্রানিকনা) মানে প্রাকৃতিক পরিবেশে মাছের ১ম জীবন্ত খাবার, নদী ও খালে বিলে এগুলো প্রাকৃ্তিক ভাবে জন্মায়, ট্যাংকিতে শোলের পোনা উৎপাদন/লালন পালন করার জন্য এসব প্রাকৃতিক জীবন্ত খাবার ময়না দিতে হয়,
আমরা জানি শোল মাছ সাধারনত অন্য মাছ ও প্রাণীকণা খেয়ে জীবনধারন করে, তাই স্বভাবগত ভাবেই শোলের ছোট পোনা প্রথমেই খাদ্য গ্রহন করেনা, তাদের জন্য “ময়না” ( এক ধরনের জু-প্লাঙ্কটন বা প্রানিকনা) চাষ করতে হয় ট্যাংকিতে, একেবারে শুরুতে ময়না দেওয়া হয় খাদ্য হিসেবে, তার কয়েকদিন পরেই ময়নার সাথে নার্সারী খাবারও দেওয়া হয়, ধীরে ধীরে খাদ্য সরবরাহ বাড়িয়ে ময়না কমিয়ে শতভাগ ফিড (খাদ্য) নির্ভর করতে হয়, ১৫ দিন খাওয়ানোর পর পোনাগুলো প্রায় ২/৩ ইঞ্চি সাইজ হবে। ২/৩ ইঞ্চি পোনা মজুদের পর খাদ্য হিসেবে শোল মাছের নার্সারী খাদ্য দেয়া যেতে পারে । এরপর পোনা গুলোকে চাষের জন্য অবমুক্ত করতে হবে এবং পোনার সাইজ অনুযায়ী মাছের খাদ্য পরিবেশন করতে হবে। ৬ মাসে এক একটি শোল মাছের ওজন ৭০০-৮০০ গ্রামের মত হবে ।
রোগঃ- শীতকালে শোল মাছে ক্ষত রোগ দেখা দিতে পারে তাই সে সময় মাছের জীবানু নাশক ব্যবহার করতে হবে এবং মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে হবে ।আমাদের পরামর্শ নিতে উপরের নাম্বারে যোগাযোগ করুণ ।
#শোলমাছেরপোনা
#শোলমাছ
#snakeheadfishfarming
#Snakeheadmurrel
#snakeheadfish
#snakeheadmurrelfarming