বিষয়ঃ রমজানের চাঁদ দেখার দোয়াটি শিখুন | রমজানের নতুন চাঁদ দেখার দোয়া মহানবী (সাঃ) যে দোয়া পড়তেন৷
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাস থেকে রমজান লাভে দোয়া করতে থাকতেন। আর শাবান মাস আসলে তিনি রমজানের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠতেন।
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসে চাঁদের হিসাব রাখতে দিন গণনা করতেন। আর রমজানের নতুন চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষা করতেন।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের চাঁদের হিসাব যেভাবে রাখতেন অন্য কোনো মাসের হিসাব সেভাবে রাখতেন না। পরে চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
শাবান মাসের ২৯ তারিখে রমজানের চাঁদ দেখা গেলে সন্ধ্যা থেকেই রমজানের আমেজ নিয়ে রাতের (তারাবিহ) নামাজ আদায় করেন মুসলিম উম্মাহ।
ভোর রাতে সাহরি খাওয়ার মাধ্যমে পরের দিন থেকেই শুরু হয় সিয়াম সাধনা। তবে কোন কারণে যদি ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ৩০ তারিখে চাঁদ দেখে পরের দিন থেকে রোজা বা সিয়াম সাধনা৷
এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো। কিন্তু যদি আকাশে মেঘ থাকে, তাহলে গণনায় ৩০ পূর্ণ করে নাও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০৯; মুসলিম, হাদিস নং: ১০৮১)
পবিত্র রমজান মাসের রোজা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
অন্য বর্ণনায় রাসূল (সা.) বলেন, ‘তোমরা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না এবং তা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা ছেড়ে দিয়ো না।’ (মুআত্তা মালিক, হাদিস নং: ৬৩৫)
তাই আজ রমজানের নতুন চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই মুসলিম উম্মাহ প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি আমল করার সুযোগ পাবে। তিনি নতুন চাঁদ দেখলেই একটি দোয়া পড়তেন-
উল্লেখ্য যে, অনেক আলেমদের মতে শাবান মাসের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা ফরজে কেফায়া বলেন। আর চাঁদ দেখা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ব্যক্তিগত আমলের কারণে প্রত্যেক মুমিনের জন্য আকাশে চাঁদের অনুসন্ধান করাকেও আলেম সমাজ মোস্তাহাব মনে করেন।
রমজানের চাঁদ দেখলে প্রিয় নবি অনেক খুশি হতেন। তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেন। রমজানের চাঁদকে অভিনন্দ জানাতেন। আল্লাহর প্রশংসা করতেন। নেক আমল করার তাওফিক কামনা করতেন।
এমনকি হাদিসের বর্ণনা মতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের চাঁদকে সুপথ ও কল্যাণের বার্তাবহ বলে সম্বোধন করতেন এবং রমজানের কল্যাণ ও বরকত লাভের জন্য আল্লাহর কাছে তাওফিক কামনা করতেন।
শুধুমাত্র শাবান, রমজান বা শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখেই এ দোয়া পড়তে হবে এমন নয় বরং অন্য মাসগুলোর নতুন চাঁদ দেখে এ দোয়া পড়াও প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামের আমল।
হজরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন-
اَللهُ اَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَ الْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَ الْاِسْلَامِ وَ التَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَى رَبُّنَا وَ رَبُّكَ الله
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ : আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
এ দোয়ায় ইঙ্গিতে বলা হয়েছে, আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস ঈমানের মধ্যেই নিহিত আছে শান্তি। আর জীবনের নিরাপত্তা নির্ভর করে ইসলাম বা আল্লাহর দীনের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ সঁপে দেয়ার ওপর।
ইসলামে দোয়া মানে নিছক প্রার্থনা বা কোনো মন্ত্র জপ করা নয়। বরং অন্তরের গভীর বিশ্বাস ও চেতনার বাচনিক উচ্চারণ হলো দোয়া, যা ব্যক্তির কর্মশক্তিকে জোরদার করে, তার সঙ্গে আল্লাহর সাহায্যের সংযোগ ঘটায়।
নতুন চাঁদ দেখার দোয়া পাঠের মাধ্যমেও মোমিন বান্দা আল্লাহ ও ইসলামের প্রতি তার বিশ্বাস, চেতনা ও সম্পর্কের প্রকাশ ঘটায়। এর মাধ্যমে নতুন মাস ও বছরকে স্বাগত জানায়, তার সৌভাগ্যকে বরণ করে নেয় নিজের মন, জীবন ও সমাজের জন্য।
#রমজানের_চাঁদ_দেখার_দোয়া
#মহানবী_সা
#Islam_&_Life
More Useful Links :
Youtube : https://bit.ly/2m0Qi5e
Facebook : https://bit.ly/32LyJGZ
Twitter : https://bit.ly/2lECrBb
Disclaimer:
=========
This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use”
Copyright Disclaimer under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
সুন্দর এই ভিডিওটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন। ভিডিওতে লাইক দিন এবং কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান।
Информация по комментариям в разработке