Скачать или смотреть কুমির চাষ, Hossain Shahid Report

কুমির চাষে সফলতা এসেছে বাংলাদেশে। ইতিমধ্যে কুমিরের চামরা রপ্তানিও শুরু হয়েছে। তাই এই খাতটিকে ঘিরে অগ্রহ তৈরি হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই খাতে বিনিয়োগ করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। আর এর জন্য প্রয়োজন বানিজ্যিক খামারের অনুমদন প্রক্রিয়া সহজ করা ও উদ্যোক্তাদের উতসাহিত করা। কুমির চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারকে আরো উদ্যোগি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাও।
২০০৪ সালে বানিজ্যিক ভিত্তিতে ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রথমবারের মতো শুরু হয় কুমির চাষ। এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫ টি কুমির আমদানি করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। এরই মধ্যে এখানে বিভিন্ন বয়সের কুমিরের সংখ্যা এখন প্রায় দুই হাজার। স্থানীয় লোকবল দিয়েই চলে এর লালন পালন।
কুমিরের খাদ্যের যোগান দিতে ফার্মেই গড়ে তোলা হয়েছে গরু ও মুরগীর খামার।
এখান থেকে ২০১০ সালে জার্মানিতে ৬৯ টি হিমায়িত কুমির রপ্তানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পদার্পন। এরপর ২০১৪ সালে ৪৩০টি, ২০১৫ সালে ৪০০ টি এবং ২০১৬ সালে আরো ২০০টি রপ্তানি করা হয়।
ফার্মের কর্তারা বলছেন নতুন করে যারা কুমিরের খামার করতে চান তাদেরকে এখন আর বিদেশ থেকে পরামর্শক বা কুমির আমদানি করতে হবে না। এখান থেকেই যোগন দেয়া সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন আন্তর্জাতিক বাজারে বছরে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কুমিরের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরিতে সরবরাহ হচ্ছে প্রায় ছয়শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কুমিরের চামরা ও মাংশ। আর তাই খামারের অনুমদন প্রক্রিয়া সহজ করা ও উদ্যোক্তাদের উতসাহিত করা গেলে এই খাত থেকে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা।