Скачать или смотреть যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীতে পানি বাড়ায় নাগরপুরে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি//deshnewstv

দ্বিতীয় দফায় যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীতে পানি বাড়ায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বসত ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় মানুষ তাদের গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে। নাগরপুর বনগ্রামের পাকা রাস্তায় পানি উঠে চৌহালী উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে যমুনায় পানি বাড়ায় নাগরপুর ,সলিমাবাদ, দপ্তিয়র, গয়হাটা, ভারড়া, মোকনা, পাকুটিয়া, ধুবড়িয়া, সহবতপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির । বসতঘরে পানি ওঠায় ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে শত শত পরিবার। অনেকে ঘরের ভেতর মাচা পেতে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে থাকছেন। আবার অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে ছুটছেন নিরাপদ স্থানে। এছাড়া উপজেলার যমুনা ও ধলেশ্বরী নদী সংলগ্ন ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো এলাকার কাঁচা-পাকা রাস্তা ডুবে গিয়ে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, গত দুদিনে জেলার নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গত দুদিনে নাগরপুর উপজেলার যমুনা নদী বেষ্টিত চারটি ইউনিয়নে বন্যার পানি ২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে উপজেলা প্রশাসনের টিম শনিবার সারাদিন উপজেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছে। এসময় পানিবন্দি মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
সহবতপুর এলাকার মো.মন্টু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, পানি বাড়ায় আমার মাছের ঘের ভেসে গেছে। লক্ষাধিক টাকার মাছ বের হয়ে গেছে পুকুর থেকে। আরেক মৎস চাষি মো. সেহেল মিয়া বলেন ,এবারের বন্যায় আমার তিন পুকুর ভেসে গেছে। প্রায় ৮লক্ষাধিক টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।
অপর দিকে ভাই ভাই নার্সারি মালিক মো. তারা মিয়া বলেন, যমুনা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় এদিকে বন্যা পানি ঢুকে পরেছে আমার প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে গাছের চারা মারা যাবে ।
এদিকে বানভাসী এলাকার মানুষ অভিযোগের সূরে বলেন, বন্যায় তারা দূর্বিসহ জীবনযাপন করলেও সরকারি কোন সহায়তা এখন পর্যন্ত পাননি।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদী সংলগ্ন এলাকার পানিবন্দি মানুষদের গতকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে। বন্যা কবলিতদের সরকারিভাবে আগে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আরো খাদ্য সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। তাছাড়া ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।