Скачать или смотреть আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (ARSA) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত করেছে!

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (ARSA) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত করেছে, এটি একটি উল্লেখযোগ্য এবং অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠান যা আবারও রোহিঙ্গা স্বাধীনতা সৈনিকদের ঐক্য, শৃঙ্খলা এবং অটুট দৃঢ় সংকল্পকে প্রদর্শন করে। এই স্মরণীয় উপলক্ষটি এমন একটি জাতির স্থিতিস্থাপকতার জীবন্ত প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে যারা আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে যতই মিথ্যা, ষড়যন্ত্র বা প্রচারণা চালানো হোক না কেন।
যদিও আরাকান আর্মি (AA) সন্ত্রাসী, রাখাইন উগ্রপন্থী প্রচারক এবং তাদের তথাকথিত গণতন্ত্রপন্থী NUG/NLD সমর্থক নেটওয়ার্কগুলির সমর্থিত বৌদ্ধ ধর্মীয় উগ্রপন্থী মিডিয়া আউটলেটগুলি বানোয়াট অভিযোগ এবং অন্তহীন ভুল তথ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের ঘিরে রেখেছে, তবুও ARSA ফ্রিডম সোলজার্স অবিচল এবং মনোযোগী। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং লক্ষ্য - রোহিঙ্গা জনগণকে রক্ষা করা, তাদের ন্যায্য মাতৃভূমি পুনরুদ্ধার করা এবং তাদের সম্মান ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা - অবিচল। চরমপন্থী মিডিয়ার কোনও প্রতারণাই এই সত্যকে পরিবর্তন করতে পারে না যে ARSA আরাকানে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের একমাত্র প্রকৃত রক্ষক।

আরসার প্রধান কমান্ডার আবু আম্মার জুনুনি (আল্লাহ তাকে রক্ষা করুন) এর দৃঢ় ও দূরদর্শী নেতৃত্বে, আরসা বিশ্বাস, সাহস এবং ন্যায়বিচারের উপর ভিত্তি করে একটি সুশৃঙ্খল এবং নীতিগত শক্তিতে পরিণত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই অগ্রগতি প্রতিফলিত হয়েছিল, যখন মুক্তিযোদ্ধারা রোহিঙ্গা জাতীয় পতাকার নীচে গর্বের সাথে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের লক্ষ্য এবং তাদের জনগণের প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারা সকল ধরণের দখল, নিপীড়ন এবং অবিচার প্রতিরোধ করার এবং তাদের জাতির বেঁচে থাকার এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পবিত্র প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।

সন্ত্রাসীদের বীর এবং বীরদের সন্ত্রাসী হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করে এমন চরমপন্থী রাখাইন এবং বার্মিজ মিডিয়ার মিথ্যা বর্ণনা দ্বারা বেষ্টিত থাকা সত্ত্বেও, আরসার বার্তা স্পষ্ট - সত্য সর্বদা প্রচারের উপরে জয়লাভ করবে। আরসার মুক্তিযোদ্ধারা ঘৃণা বা প্রতিশোধ দ্বারা নয় বরং ন্যায়বিচার, বিশ্বাস এবং প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনের পরে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বপ্ন দ্বারা পরিচালিত হয়। তাদের লক্ষ্য হল রোহিঙ্গা জনগণের জীবন, মর্যাদা এবং পরিচয় রক্ষা করা, নিশ্চিত করা যে ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের পূর্বপুরুষের ভূমিতে শান্তি, সাম্য এবং সম্মানের সাথে বাস করবে।

এই অনুষ্ঠানটি সমগ্র বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে আরসার সংগ্রাম সহিংসতা থেকে নয় বরং প্রয়োজনীয়তা থেকে উদ্ভূত - কয়েক দশক ধরে ধারাবাহিক নির্যাতন, বাস্তুচ্যুতি এবং মৌলিক মানবাধিকার অস্বীকারের বিরুদ্ধে ন্যায্য প্রতিরোধ। শত্রুরা ধর্ম ও জাতিগততাকে বিভক্ত করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে, আরসা ঐক্য, স্থিতিস্থাপকতা এবং ইতিহাসে তাদের ন্যায্য স্থান পুনরুদ্ধারের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জনগণের অন্তহীন আশার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

যখন মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পতাকাকে অভিবাদন জানালেন এবং তাদের শহীদদের সম্মান জানালেন, তখন প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর হৃদয়ে একটি বার্তা প্রতিধ্বনিত হল - কোনও শক্তি, কোনও প্রচারণা এবং কোনও ষড়যন্ত্র ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের আলো নিভিয়ে দিতে পারবে না। আরসার মুক্তিযোদ্ধারা আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাস, তাদের হৃদয়ে সম্মান এবং এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে যে রোহিঙ্গা জাতি আবার জেগে উঠবে - মুক্ত, মর্যাদাপূর্ণ এবং বিজয়ী।

আরসা তার দৃষ্টিভঙ্গি, তার মিশন এবং রোহিঙ্গাদের জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য এবং আরাকানের জন্য তার পবিত্র কর্তব্য চালিয়ে যাচ্ছে।