Скачать или смотреть চা পাতায় নুতন একটি ভয়ঙ্কর ফাঙ্গাস খোঁজে বের করেছে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগ l

আসাম রাজ্য দেশের সবচেয়ে বড় চা উৎপাদনকারী রাজ্য যা একটি নতুন হুমকির সম্মুখীন। আসাম ইউনিভার্সিটি শিলচরের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একদল গবেষণা পণ্ডিত, দুই বছর ধরে কাজ করে, 'লিফ নেক্রোসিস' নামে একটি নতুন ছত্রাকের রোগ সনাক্ত করেছেন। এই রোগ, পাতার নেক্রোসিস যা চা পাতার উপরের অংশের ক্ষতি করে, এটি 'লাসিওডিপ্লোডিয়া থিওব্রোমাই' ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট, এবং শুধুমাত্র চীনে নথিভুক্ত করা ব্যতীত ভারতে এই ধরনের প্রথম রিপোর্ট, অধ্যাপক জানান। ছত্রাকজনিত রোগ 'কর্টিসিয়াম' যা সাধারণত চা পাতায় 'কালো পচন' ঘটায়, তবে, বরাক উপত্যকার বিভিন্ন চা বাগান থেকে এবং ডিব্রুগড় ও তিনসুকিয়া থেকে আনা চা পাতা নিয়ে গভীর গবেষণায় এটি একটি নতুন রোগ বলে প্রমাণিত হয়েছে। অধ্যাপক পীযূষ পান্ডে বলেন ,ল্যাসিওডিপ্লোডিয়া থিওব্রোমা ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট লিফ নেক্রোসিস কর্টিশিয়ামের মতো, কিন্তু ভিন্ন কারণ চা বাগানে সার হিসেবে ব্যবহৃত রাসায়নিক দিয়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এই রোগটি চা পাতার মধ্যে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। অধ্যাপক পান্ডে, আরও বলেন, “আমরা এটি সনাক্ত করেছি এবং বিচ্ছিন্ন করেছি এবং জানি যে এই রোগটি শুধুমাত্র এই ছত্রাক থেকে হয়। যেহেতু এই ছত্রাক বা রোগটি চা বাগানে সার হিসাবে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলির প্রতিক্রিয়াশীল নয়, তাই আমরা একটি বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছি।"
রোজকান্দি টি এস্টেটের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম), ঈশ্বর ভাই উবাদিয়া বলেন, "আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে কর্টিসিয়াম ইনডিউসড কালো পচা, এটির উপর স্প্রে করার সময় তিন ধরণের রাসায়নিক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হত। কিন্তু এই ছত্রাকনাশকগুলি পাতার উপর একই ধরণের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এব্যাপারে অধ্যাপক পান্ডের সাথে পরামর্শ নিতে বাধ্য হয়েছি । “এই রোগটি এখন আমরা জানি যে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তা চা শিল্পের জন্য একটি গুরুতর হুমকি হতে পারে এবং যদি আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হই তবে ক্ষতি বা ক্ষতি ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে।