Скачать или смотреть গঙ্গায় মাছ শিকার || Primitive fishing in river ganges

ছোটো বেলায় গঙ্গায় সাঁতার শিখেছি। ঘন্টার পর ঘন্টা সাঁতার কেটে চোখ লাল করে বাড়ি এসেছি ফিরে। বাড়ি ঢুকতে না ঢুকতেই বাবা মার বকুনি। কেনো এতক্ষণ জলে ঝাঁপাই ঝুড়ছিলিস? এমনিই আরো কত প্রশ্ন।
যায় হোক এখন বর্ষায় গঙ্গার রূপ দেখলে ভয়ে গায়ে কাঁটা দেওয়ার জোগাড়। আবার কত মানুষ এই জলের অপেক্ষায় দিন গোণে। কারণ, বর্ষা মানেই বৃষ্টি, বৃষ্টি মানেই জলের ফোটা, সেই ফোটা ফোটা বৃষ্টি জমতে জমতে নদী একদিন ঠিক তার ভরা যৌবন ফিরে পাই। আর নদীর এই যৌবনে ভেসে বেড়াই মাছের দল। আমি সেই মাছ ধরার এক আজব কৌশল এর কথা আপনাদের বলবো।
গঙ্গার ধরে একজনের সঙ্গে হঠাৎ পরিচয়। ঘরে বাড়ির কথা হতে হতে আমি শুধালাম ভাই আমি যদি তোমার মাছ ধরার ভিডিও করি কেমন হয়। এক কথাই রাজি। সেই মতো আমিও পরের দিন সঠিক সময়ে পৌঁছে গেলাম নদীর ধারে।
উঠেও বসলাম নৌকোয়। বুকটা ধুক পুক করছিলো। এই বুঝি নৌকা টা ডুবে যায়! তারপর ঘন্টা খানেকের শুটিং। শুটিং এর ফাঁকে জানলাম বয়স মোটামুটি ৩০ এর কাছাকাছি। বিয়ের আগে থেকেই মাছ ধরার হাতে খড়ি। কত কথাই না বলে গেলো। ৪ টে মোবাইল গঙ্গার জলে হারিয়েছে। তাই সঙ্গে এখন মোবাইলের থাকা হয় না। কতবার ভূতের পাল্লায় পড়তে হয়েছে। সে কথা কোনো একদিন হবেক্ষণ।
এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মাছ ধরতে ধরতে কখন যে এক ঘন্টা পেরিয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। শুধু মনে মনে প্রার্থনা করছিলাম ভগবান আজ যেন ভাইটি একটু বেশি মাছ পাই।
গলদা চিংড়ি, ট্যাংরা, এঁটে, জাতীয় মাছ উঠলো। খুব ভালো একটা বিকেল কাটালাম ভাইটির সঙ্গে। ভাবছি পরে একদিন আবার যাবো গঙ্গার জল একটু কমলে। শুধু ভাবি কতো ঝুকি নিয়ে এই ভাবে দিনের পর দিন মাছ ধরে চলে এই ভাইয়েরা। জলের তলায় যখন ডুব দিল, আমার আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার উপক্রম। ভুস করে ওঠার পর যেন শান্তি।
ভিডিও টে মাছ ধরার যে উপকরণ দেখলেন তাকে বাংলায় 'দুয়ারী' বলে। এখানে মাছ একবার ঢুকলে আর বেরোবার রাস্তা থাকেনা।
খুব রিস্ক নিয়ে এই ভিডিও শুট করতে হয়েছিল। আপনাদের অনুরোধ লাইক, শেয়ার, কমেন্টস অবশ্যই করবেন। subscribe করার অনুরোধ ও রইলো।