বাংলাদেশ টু সিকিম বাই রোড | গ্যাংটক ট্যুর প্ল্যান ২০২৪ | Sikkim & Darjeeling Travel Series |Epi-01

Описание к видео বাংলাদেশ টু সিকিম বাই রোড | গ্যাংটক ট্যুর প্ল্যান ২০২৪ | Sikkim & Darjeeling Travel Series |Epi-01

#Maverick_Mithun (M Square)
বাংলাদেশ টু সিকিম বাই রোড | গ্যাংটক যাবার পারফেক্ট গাইডলাইন | Sikkim & Darjeeling Travel Series Part-1

চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশনে ফরম ফিলাপ করার ভিডিও লিংক:
   • Changrabandha Immigration Process 202...  

প্রথম পর্ব - বাংলাদেশ থেকে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক
মূলত আমার সিকিম ভ্রমণ শুরু হয় কিশোরগঞ্জ থেকে। যেহেতু আমার বাসা কিশোরগঞ্জ তাই আমি কিশোরগঞ্জ থেকে ৮ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার এমকে সুপার বাসে করে বিকাল সাড়ে চারটায় রওনা হই ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে। কারণ ময়মনসিংহ থেকে রাত সাড়ে আটটার বাসে করে আমি রওনা হবো লালমনিরহাটের বুড়িমারীর উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডার ক্রস হয়ে প্রথমে যাব শিলিগুড়ি এবং শিলিগুড়ি থেকে বাসে করে যাব গ্যাংটক।
ঈদের প্রচন্ড ভিড় থাকায় আমি ঢাকা থেকে বুড়িমারী যাবার কোন বাস পাইনি তাই বাধ্য হয়েই ময়মনসিংহ থেকে বুড়িমারীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পৌঁছাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় । এরপর ময়মনসিংহ ব্রিজের সামনের অরবিট ট্রাভেলস কাউন্টারে শামীম এন্টারপ্রাইজ বাসের জন্য অপেক্ষা করি যাতে করে আমি যাব বুড়িমারী। বাস আছে রাত ৯ টায়। ময়মনসিংহ থেকে রাত ৯ টায় যাত্রা শুরু করে বগুড়ার কাছের একটি জায়গায় যাত্রা বিরতি দিয়ে প্রায় ১১ ঘন্টা ভ্রমণ করে আমরা বুড়িমারী পৌঁছাই ৯ এপ্রিল সকাল আটটায়। বুড়িমারী পৌঁছে শামিম এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে ফ্রেশ হয়ে চলে যাই বুড়ির হোটেলে সকালের নাস্তা করতে। সত্যি কথা বলতে বুড়ির হোটেলের খাবার একদমই ভালো লাগেনি। যাই হোক খাবার খেয়ে আমরা এগিয়ে চলি বাংলাদেশ সাইডের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে আমাদের সময় লাগে 40 মিনিট মত। এরপর চলি ইন্ডিয়ান সাইডের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে। ইন্ডিয়ান সাইডের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে আমাদের সময় লাগে 35 মিনিট। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে চ্যাংরাবান্ধা বর্ডার এর কাছেই একটি দোকান থেকে মানি এক্সচেঞ্জ করি। প্রতি ১০০ টাকায় আমি পাই ৭২ রুপি করে। এরপর চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডার থেকে জন প্রতি ৩০ রুপি অটো ভাড়া করে চলে যাই চ্যাংড়াবান্ধা বাইপাসের সামনে। চ্যাংড়াবান্ধা বাইপাস থেকে বাসে করে জনপ্রতির ৭০ রুপি ভাড়ায় আমরা চলে যাই শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়িতে নেমে পাঁচ মিনিট হেঁটে আমরা চলে যাই শিলিগুড়ির এসএনটি বাসস্ট্যান্ডে যেখান থেকে মূলত গ্যাংটকের বাসগুলো ছেড়ে যায়। এস এন টি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে প্রথমেই আমরা সিকিম যাবার জন্য ইনার লাইন পারমিট করে নিই।এস এন টি বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টারের সাথের একটি রুমে ইনার লাইন পারমিটের অফিস । এটি করতে ফটোকপি ও এক কপি রঙিন ছবি। মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই আমরা ইন অনলাইন পারমিট করে সাথের কাউন্টার থেকে জনপ্রতি 190 রুপি করে গ্যাংটকের টিকিট কেটে ও পাশের একটা রেস্টুরেন্ট থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে বাসে উঠে পড়ি। আমাদের বাস গ্যাংটক এর উদ্দেশ্যে রওনা হয় ভারতীয় সময় দুপুর ২ টায়। রাস্তায় নানাবিধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে বিকাল ৪ঃ৪৪ মিনিটে অর্থাৎ দুই ঘন্টা ৪৪ মিনিট ভ্রমণ করে আমরা সিকিমের প্রবেশদ্বার রংপো তে প্রবেশ করি। রংপো পৌঁছে সকলের পাসপোর্ট একত্রিত করে শিলিগুড়ির SNT বাসস্ট্যান্ড থেকে করা ইনার লাইন পারমিটের কপিসহ এখানকার ফরেনারস রেজিস্ট্রেশন অফিসে জমা দেই। জমা দেওয়ার পর আমাদের পাসপোর্ট ও ইনার লাইন পারমিটে সিকিমে প্রবেশের এ্যারাইভাল সীল মেরে আমাদের হাতে দিয়ে দেয় এবং তা নিয়েই আমরা আবার বাসে উঠে পড়ি। আমাদের বাস সন্ধ্যা সাতটায় গ্যাংটকের এস এন টি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পৌঁছাতে আমাদের সময় লাগে ৫ ঘন্টা। বাস থেকে নেমে আমরা হোটেল খুঁজতে বের হয়ে পড়ি। হোটেল খুঁজতে খুঁজতে আমরা গ্যাংটকের এমজিমার্গের কাছে চলে আসি। এমজি মার্গ থেকে কিছুটা উপরে তিব্বত রোডে ব্লু স্কাই হোটেলে তিনতলায় আমরা একটি রুম খুঁজে পাই এবং পার ডে ১৬০০ রুপিতে দুই দিনের জন্য বুক করে ফেলি। হোটেলে ফ্রেশ হয়ে আমরা এমজি মার্গে কতক্ষণ ঘুরাঘুরি করি তারপর রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে ফিরে যাই। আমরা রাতে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি কারণ সকাল সকাল আমাদের গ্যাংটকের লোকাল সাইট সিন করতে বের হতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে সিকিমের গ্যাংটক পর্যন্ত খরচের হিসাব
বাংলাদেশ সাইড
কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ বাস ভাড়া ১৫০ টাকা
ময়মনসিংহ থেকে বুড়িমারী বাস ভাড়া ১৩০০ টাকা
বুড়িমারী সকালের খাবার ৬০ টাকা
ট্রাভেল ট্যাক্স, পোর্ট ফি ও বর্ডার খরচ - ১৩০০ টাকা
-----------------------------
মোট ২৮১০ টাকা
ভারতীয় সাইডের খরচ
বর্ডার খরচ 150 রুপি
চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডার থেকে চ্যাংরাবান্ধা বাইপাস অটো ভাড়া ৩০ রুপি
চ্যাংড়াবান্ধা বাইপাস থেকে
সিম রিচার্জ ৭৫ রুপি
শিলিগুড়ি বাস ভাড়া ৭০ রুপি
শিলিগুড়ি দুপুরের খাবার ১৪২ রুপি
শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক বাস ভাড়া ১৯০ রুপি
গ্যাংটকে রাতের খাবার ১৯০ রুপি
মোমো ২৫ রুপি
জল ৩০ রুপি
রাতের হালকা খাবার ১৯০ রুপি
হোটেল ভাড়া 400 রুপি
--------------------------
ইন্ডিয়ান সাইডে মোট খরচ ১৩৫৯ রুপি

১৩৫৯ রুপিকে টাকায় কনভার্ট করলে হয় ১৮৮৭.৫০ টাকা

অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে গ্যাংটক পৌঁছা এবং গ্যাংটকে রাত্রি যাপন পর্যন্ত দুই দিনের সর্বমোট খরচ ৪৬৯৭.৫০ টাকা
গ্যাংটকে যে হোটেলে ছিলাম
Hotel Blue Sky
Tibet Road, East Sikkim Gangtok
Bittu Sinha, Hotel Manager
Mobile No: 891 865 6108

দ্বিতীয় পর্বে দেখবেন আমার গ্যাংটকের লোকাল সাইট সিন। কাজেই সবাই সাথেই থাকুন আর উপভোগ করতে থাকুন আমার সিকিম ও দার্জিলিং ট্রাভেল সিরিজ।
Sikkim Tour Plan
Gangtok Travel Guide
Sikkim Tour cost
Dhaka to Sikkim By Road
#sikkimtrip
#gangtok
Email: [email protected]
Facebook:   / debasis.chakraborty.94  
Facebook Page:   / maverick.mithun1986  
Instagram:   / debasismithun   /
Music Credit :
YouTube Audio Library
=========
Thanks all.

Комментарии

Информация по комментариям в разработке