Скачать или смотреть বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, নির্বাচনে আপনি আপনার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আর কত নোংরা খেলা খেলবেন- অধীর রঞ্জন

নন্দদুলাল ভট্টাচার্য, নেশন১ভয়েস, কোলকাতা : পশ্চিম বঙ্গ প্রদেশে কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বললেন যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উত্তরবঙ্গে তার হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধার করবার জন্য গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের প্রতিকৃত হিসাব যিনি নিজেকে পরিচয় দিচ্ছিলেন বিমল গুরুং তার সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় চলে গেলেন।যে বিমল গুরুং এর পার্টির একটাই এজেন্ডা গোর্খাল্যান্ড চাই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আপনি কি সেই গোর্খাল্যান্ড কে সমর্থন করছেন। বিমল গুরুং গত তিন বছর ধরে ফেরার।Unlawful Activities Prevention Act ১৯৬৭ ( UAPA ) আইনে অভিযুক্ত কোলকাতা শহরে দিনের বেলায় এসে প্রেস কনফারেন্স করে বলছে আমি মমতা ব্যানার্জী সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা করেছি। উত্তরবঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর পায়ের তলার মাটি দুর্বল হয়েছে তাই নেপালি ভোট তার দিকে করে ফেলার জন্য তিনি এই ভয়ঙ্কর খেলা টি খেলছেন।এই বারাসাতের ছেলে সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিক দার্জিলিঙের সেই রক্তাক্ত দিনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে রাজ্য কে রক্ষা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর জোয়ান হিসাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন কি বলবেন মুখ্যমন্ত্রী ? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে আমি দাবি করছি কি আপনি বিমল গুরুং এর সঙ্গে রাজনীতিক সমঝোতায় বিশ্বাসী যদি তাই হয় তাহলে কি আপনি গোর্খাল্যান্ড এ বিশ্বাসী। যদি তাই হয় তাহলে বিমল গুরুং গত তিন বছর ধরে এই প্রশাসনের দ্বারা অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে মুক্তি পেলো। আপনার সঙ্গে কি সমঝোতা হলো. বিমল গুরুং এর উপরে কি আর কোনো অভিযোগ থাকলোনা ? অনেক প্রশ্ন আপনাকে আমরা করতে চাইছি। বাংলায় এটা কি হচ্ছে , নির্বাচনে আপনি আপনার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আর কত নোংরা খেলা খেলবেন। যে মমতা ব্যানার্জী কথায়-কথায় নিজের প্রতিক্রিয়া দেয় তার মুখ বন্ধ কেন ? আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সে দিনের বাংলা কে ভাগ হতে না দেওয়া, গোর্খাল্যান্ড দাবি কে স্বীকৃতি না দেয়ার সেই দৃঢ়তা আপনার কোথায়। আপনি দ্বিধাহীন চিত্তে বলুন আপনি কি চাইছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অস্থিরতা , চঞ্চলতা আমরা দেখতে পারছি যত তিনি সমর্থন হারিয়ে ফেলছেন তত তার রাজনীতিক অস্থিরতা চঞ্চলতা বাড়ছে। এতো দিন ইম্মাম দের ভাতা দিচ্ছিলেন, পুরোহিত ভাতা চালু করছেন, দূর্গা মন্ডপ টাকা দিয়ে ঘুষ দেয়ার ব্যবস্থা করছেন। এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এক দিন জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন কিষেনজি, ছত্রধর মাহাতো দের কে সঙ্গে নিয়েছিলেন। তারপর ক্ষমতায় আসার পর কিষেনজি হত্যাও করা হয়েছিল। রাজনীতি আর ক্ষমতা দখলের জন্য আপনি আর কত নীচে নাববেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা এর জবাব চাই.. ধর্মের ভিত্তিতে ভারতবর্ষে নাগরিক আইন হতে পারেনা। আর আমাদের এই বাংলায় নাগরিক আইনের জূজূ দেখিয়ে বাংলার মানুষ কে বৃভ্রান্ত করা এবং বাংলার বাতাবরণ কে সাম্প্রদায়ীকরণ করার প্রচেষ্টা বিজেপি করছে । দুটো শক্তি বাংলা কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ? এবং দু জনের একই অভিপ্রায় যে করে হোক ভোট এর বইতরণি পার করো.