গজপতি সাম্রাজ্যের কুরুমবেড়া দুর্গ।।(পশ্চিম মেদিনীপুর)

Описание к видео গজপতি সাম্রাজ্যের কুরুমবেড়া দুর্গ।।(পশ্চিম মেদিনীপুর)

কিভাবে যাবেন- হাওড়া থেকে খড়গপুর, #খড়গপুর থেকে কেশিয়াড়ি, #কেশিয়াড়ি থেকে কুকাই,#কুকাই থেকে গগনেশ্বর গ্রামে আপনারা পেয়ে যাবেন কুরুমবেড়া দুর্গ।

কুরুম্বেরা কথার অর্থ হল-'পাথর দিয়ে ঘেরা একটি উদ্যান'।উড়িষ্যার সূর্য বংশের রাজা গজপতি কপিলেন্দ্রদেবের শাসনকালে 1435 থেকে 1470 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের এই গগনেশ্বর গ্রামে নির্মিত হয়েছিল কুরুমবেরা দুর্গটি।

এই দুর্গের উত্তরমুখী প্রবেশপথের সামনেই রয়েছে একটি সুবিশাল দীঘি। এই দুর্গে যে সৈন্যরা থাকত তাদের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা মেটাতেই এই দীঘিটিকে খনন করা হয়েছিল।

রাজা কপিলেন্দ্রদেব নিজ পরাক্রম আর দুর্ধর্ষ যুদ্ধকৌশলের বলে সমগ্র পূর্বভারতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এক সুবৃহৎ শক্তিশালী সাম্রাজ্য। "কৌতুক চিন্তামণি"- গ্রন্থে রাজা কপিলেন্দ্রদেবের কৃতিত্বের বহু কথা বর্ণিত রয়েছে।

এরপর, কপিলেন্দ্রদেব যখন সমগ্র পূর্ব ভারত জয় করে বাংলার মেদিনীপুর অঞ্চলে এলেন, তখন তিনি বাধা পেলেন স্থানীয় আঞ্চলিক হিন্দু রাজাদের দ্বারা। সময়টা তখন 1440-41 খ্রিস্টাব্দের আশেপাশে। পশ্চিম মেদিনীপুর অঞ্চলের অধিকাংশ স্থান দখল করার পর রাজা কপিল দেব বাংলায় তারা আধিপত্য সুদৃঢ় করতে এই গগনেশ্বর গ্রামের নির্মাণ করলেন কুরুম্বেরা দুর্গ।

সেই সুদূর কটক থেকে সৈন্য এনে বঙ্গের আঞ্চলিক শক্তিকে দমন করার ক্ষেত্রে নানান অসুবিধা ছিল। আর তাই এখানে রাজা কপিলেন্দ্রদেব এই দুর্গ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

বড় বড় ল্যাটেরাইট পাথরের ব্লগ দিয়ে তৈরি এই সমগ্র দুর্গটির দৈর্ঘ্য প্রায় 300 ফুট, চওড়া 225 ফুট, আর উচ্চতা প্রায় 12 ফুট। দুর্গের ভেতরে রয়েছে সবুজ ঘাসে মোরা একটি সুবৃহৎ উদ্যান। আর এই দুর্গের প্রায় 63 টি ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ রয়েছে যার প্রত্যেকটির উচ্চতা প্রায় 8 ফুট।

কখনো পাঠান আবার কখনো মুঘলদের দ্বারা বারংবার এই দুর্গটি হস্তান্তরিত হয়েছিল। দুর্গে প্রবেশের ডানদিকে ছিল একটি শিব মন্দির। কিন্তু পরবর্তীকালে পাঠান মুঘল প্রমূখ মুসলমান শাসকদের দ্বারা সেই মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, আর সেই স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মসজিদ।

এমনকি মারাঠা দস্যুরাও একসময় এই দুর্গটিকে দখল করে নেয়, আর এই সুরক্ষিত জায়গাটিকে তারা সেনাছাউনি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন।

একদা এই গগনেশ্বর গ্রামে শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করে যে কুরুম্বেরা দুর্গের নির্মাণ করা হয়েছিল, তাই শেষ হয় 1691 খ্রিস্টাব্দে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে, তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণের মধ্য দিয়ে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке