Скачать или смотреть এগিয়ে আসলো যুক্তরাষ্ট্র, চীনকে হটিয়ে বাংলাদেশের সাথে সুস্পর্ক গড়তে চাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র!

এগিয়ে আসলো যুক্তরাষ্ট্র, চীনকে হটিয়ে বাংলাদেশের সাথে সুস্পর্ক গড়তে চাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র!

#BangladeshiNews #BangladeshiLivenews #BangladeshiTvnews

বাংলাদেশকে আরো ভারত নির্ভর করে চীনকে দূরে সরাতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। হঠাৎ করেই না হয় কেন বাংলাদেশের উপর নিষেদাজ্ঞা? নিষেদাজ্ঞার নামের কি তাহলে চীনের সাথে সম্পর্ক চেদের কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র? আজকের এই ভিডিওতে জানাবো যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে ভারত বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে চীনের সাথে সম্পর্ক কমিয়ে ভারত মুখি করার জন্য যে কৌশল একেছে তার বিস্তারিত নিয়ে তো চলুন শুরু করা যাক।
যুক্তরাষ্ট্র এর সাথে পাক এবং আফগান সম্পর্ক তলানীতে ঠেকার সাথে সাথে দক্ষিণ,দক্ষিণ পূর্ব দেশগুলোর (এশিয়া) উদীয়মান অর্থনীতির উপর নজর এবং খবরদারী বৃদ্ধি করার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করতে না পারলেও প্রভাব খাটানোর স্বার্থে ভারতের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করছে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য,বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত্য ২০১৩ পরবর্তী নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব থাকার দরুন বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তেমন কোন প্রভাব রাখতে না পারলেও বিগত ৭ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চীনের অবদান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
অন্যদিকে,বাংলাদেশের স্টাবিলিটি ভারতের স্টাবিলিটি এবং নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ভারত।অন্যদিকে ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে সরে আসার পর বিশ্ব পরিস্থিতি এবং চীনের সাথে ''স্ট্রাটেজিক'' সম্পর্কে থাকা বৈশ্বিক দেশগুলোকে চিহ্নিত করেছে ইউ এস এ।
আফ্রিকা,দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু দেশ সহ এ লিস্টে আছে।বাংলাদেশকে ই ইউ মুখী এবং চীনকে দূরে থাকতে ভারতমুখী করার এবং ভারতের প্রভাব বাংলাদেশে বিস্তারের ব্যপারে যুক্তরাষ্ট্রের মৌন সম্মতি রয়েছে।
প্রয়োজনে বাংলাদেশকে চীনকে বাদ রেখে ভারতীয় ফান্ডেড প্রজেক্ট,ইউ এস লোনের আড়ালে ভারতীয় লোন এবং কূটনৈতিক এবং প্রশাসনিক চাপ নেয়ার মত বিষয়গুলো জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনকে ব্যস্ত রাখতে সাউথ চায়না সী এবং তাইওয়ান,জাপান,অস্ট্রেলিয়া,দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারত সীমান্তে পরোক্ষভাবে উত্তেজনা বাড়বে।
চীনের কাছে অর্থনীতির দিক থেকে পরাস্ত হলেও তা সহজে মেনে নিতে রাজি নয় কংগ্রেস।ফলাফলস্বরুপ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ভারতমুখী করতে বদ্ধপরিকর।
দরকারে ''চাপ'' প্রয়োগ এবং ''অর্থনীতিকে সংকোচন ''করে ভারত হতেই প্রধান রপ্তানি পন্য জামার সুতো,কটন আমদানী করতে বাংলাদেশকে বলা হতে পারে।একই সাথে বাংলাদেশ যাতে চীন থেকে দূরে সরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছুটা সহজশর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে রাজি হয় তার ব্যপারেও একমত কংগ্রেস।
বাংলাদেশ থেকে চীনা চলমান প্রজেক্ট বন্ধ করতে না পারলেও পাইপলাইনে আর যাতে কোন স্ট্রাটেজিক প্রকল্প না আসে সে ব্যপারেও চোখ-কান খোলা রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
যদিও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ কয়েকদিনে বেশ চড়াই উৎরাই পার করেছে।তবে,বাংলাদেশের তরফ হতে র‍্যাবের সাবেক এবং পুলিশের বেশ কিছু সদস্যের উপর নিষেধাজ্ঞার ব্যপারে বাংলাদেশের প্রতিবাদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক মার্কিন এম্বাসিডরকে তলব এবং মার্কিন আর বাংলাদেশী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যতে বাংলাদেশের বডি ল্যাংগুয়েজ নিয়ে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশেই অস্বস্তি রয়েছে।
চীনা প্রকল্পকে স্যাবোটাজ করা এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে বিরুপ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে করা প্রক্সি ওয়ারের মত যেকোন দায়,অভিযোগ এবং পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।এবং তা অসম্ভব ও নয়।
বাংলাদেশকে সামনের দিনগুলোতে বেশ কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হবে এতে সন্দেহ নেই।কেননা,স্ট্রাটেজিক গুরুত্ব বাড়ার সাথে সাথে চীন-ভারত-আমেরিকা-ই ইউ এর মত চতুর্মুখীর শক্তির মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে।