অপাদান কারক | অপাদান কারকের শ্রেণিবিভাগ ও বিস্তারিত আলোচনা

Описание к видео অপাদান কারক | অপাদান কারকের শ্রেণিবিভাগ ও বিস্তারিত আলোচনা

অপাদান কারক
অপাদান বলতে বোঝায় যেখান থেকে, যখন থেকে বা যা থেকে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
অপাদান কারকে কর্তা বা কর্মের বিচ্যুতি বোঝায়, ক্রিয়ার প্রারম্ভ বোঝায়, স্থানের দূরত্ব বোঝায়, সূত্রপাতের স্থান বোঝায়, প্রাপ্তি বা ভীতি ইত্যাদির উৎস বোঝায়‌।

অপাদানের শ্রেণিবিভাগ

১: স্থানবাচক অপাদান
যে স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর, পতন, নির্গমন, বিচ্যুতি, স্খলন, আরম্ভ ইত্যাদি বোঝায় সেই স্থানকে স্থানবাচক অপাদান বলে।

যেমন: মাথা থেকে বোঝা নামলো। পকেট থেকে টাকা পড়েছে। ট্রেন হাওড়া ছাড়লো।


২: উৎসবাচক অপাদান
যে উৎস থেকে কোনো কিছু সৃষ্টি হয় বা সংগৃহীত হয়, তাকে উৎসবাচক অপাদান বলে।

যেমন: তিলে তেল হয়। কালো মেঘে বৃষ্টি হয়। গোমুখ থেকে গঙ্গা উৎপন্ন হয়েছে। আমি বাঘে ডরাই না।(বাঘ ভয়ের উৎস)


৩: অবস্থানবাচক অপাদান
কর্তা কোনো অবস্থানে থেকে দূরবর্তী কর্মের উপর ক্রিয়া সম্পাদন করলে সেই স্থানকে অবস্থানবাচক অপাদান বলে।
যেমন: ছাদ থেকে ঘুড়ি ওড়াচ্ছি। সে কলকাতা থেকে ফোন করেছে। বাড়ি থেকেই ব্যবসা চালাই।


৪: কালবাচক অপাদান
যে সময় ক্রিয়ার কাজটি শুরু হয় সেই সময়টি কালবাচক অপাদান।

যেমন: সকাল থেকে পড়ছি। কাল থেকে পরীক্ষা শুরু হবে।


৫: রূপান্তর বা বিকৃতিমূলক অপাদান
এক জিনিস থেকে অন্য জিনিসে রূপান্তর বোঝালে প্রথম জিনিসটিকে অপাদান কারক ধরা হয়।

যেমন: তোমাকে মানুষ থেকে অমানুষ করল কে? বাল্মীকি ডাকাত থেকে ঋষি হলেন।


৬: দূরত্ববাচক অপাদান
এক স্থান থেকে অপর স্থানের দূরত্ব বোঝাতে এই অপাদান হয়।

যেমন: বাঁকুড়া থেকে কলকাতা ২০০ কিমি। এখান থেকে কলকাতা কাছেই।


৭: তুলনাবাচক অপাদান
দুইয়ের মধ্যে তুলনা বোঝাতে 'চেয়ে', 'থেকে' 'অপেক্ষা' প্রভৃতি অনুসর্গ-বিশিষ্ট পদটির অপাদান কারক হয়। একেই তুলনাবাচক অপাদান বলে।

যেমন: তোমার চেয়ে আমি বড়ো। রাজুর চেয়ে ঋজু বেশি ফর্সা।

আমার টেলিগ্রাম চ্যানেলের লিংক
https://t.me/ananyabangla

SLST Bengali বিষয়ের অনলাইন ক্লাসের জন্য যোগাযোগ
Whatsapp 8918858578

Комментарии

Информация по комментариям в разработке