জয় শ্রী মহাকাল। জয় মা কামাখ্যা।আদেশ।
আমি অঘোরী সোমনাথ আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের ইউটিউব চ্যানেল "অঘোরী সোমনাথ মা কামাখ্যা ধামে।
গো যোগিনী সাধনা হলো এক অত্যন্ত গোপন ও শক্তিশালী তান্ত্রিক সাধনা। এই সাধনার মাধ্যমে সাধক চরম শক্তি, ভোগ এবং যোগ সিদ্ধি লাভ করে থাকেন। প্রাচীন তন্ত্রশাস্ত্রে গো যোগিনীকে দেবী শক্তির এক গুপ্ত রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। নিয়ম মেনে এই সাধনা করলে দেবীর কৃপা দ্রুত লাভ হয়।
👉 ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে শেয়ার করুন।
👉 সাবস্ক্রাইব করুন আরও গোপন সাধনা ও তান্ত্রিক ভিডিওর জন্য।
গো যোগিনী সাধনার প্রস্তুতি
১. সময় ও স্থান
সময়: অমাবস্যা, বিশেষত ভাদ্র, বা আশ্বিন অমাবস্যা।
স্থান: শ্মশান, নির্জন গুহা, বা নিজের ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ, (যদি বাইরে না করা যায়)।
২. উপকরণ
লাল বা কালো কাপড় (আসনের জন্য)।
সরিষার তেল প্রদীপ।
গুগ্গুল ধূপ।
লাল জবা ফুল। (১০৮টি বা যত পাওয়া যায়)।
গো ঘৃত, অর্থাৎ (গাভীর ঘি) দিয়ে অর্ঘ্য।
একখানি লোহার থালা, (এর উপরেই যন্ত্র আঁকা হবে)।
কবচ ধারণ - দ্রুত সিদ্ধি, ও আত্মরক্ষার জন্য, ত্রিপুরা ভদ্রকালী কবচ ধারণ প্রয়োজন।
৩. গো যোগিনী যন্ত্র
লোহার থালার উপর, সাদা চন্দনে “ষট্কোণ”, অর্থাৎ (দুইটি ত্রিভুজ) আঁকতে হবে। মাঝখানে লিখতে হবে —
হ্রীঁ গোযোগিন্যৈ নমঃ। এর চার পাশে আট কোণে ৮টি বিন্দু দিতে হবে। এই ভিডিওর স্ক্রিনে যন্ত্র সহ মন্ত্র দেওয়া হয়েছে।
৪. প্রধান মন্ত্র
গুরুপরম্পরা গত জপ মন্ত্র:
“ওঁম হ্রীং গো যোগিন্যে সর্বসিদ্ধি দায়িন্যে মম দর্শন দেহি দেহি ফট্ স্বাহা॥”
৫. সাধনা বিধি
প্রথমে ভূতপ্রেত নাশ মন্ত্র ২১ বার জপ করতে হবে।
ওঁ আপসর্স্পন্তু ভূতানি পিশাচাঃ সর্বতো দিশম্।
সর্বেষাম্ অবরোধং নাশয় স্বাহা॥
গো যোগিনী যন্ত্রে ধূপ, দীপ, ফুল, গোঘৃত নিবেদন করুন।
প্রদীপের সামনে বসে মূল মন্ত্র ১১ মালা জপ করতে হবে।
প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে নিরবিচ্ছিন্নভাবে জপ করতে হবে।
একটানা ১১ দিন সাধনা করতে হবে।
ভোগ নিবেদন মন্ত্র
ভোগ প্রদানের সময় হাতে ভোগ নিয়ে তিনবার পাঠ করতে হবে—
“ওঁম হ্রীং গো যোগিন্যে মম নৈবেদ্যং গ্রহণ কুরু কুরু স্বাহা॥”
ভোগ নিবেদন পদ্ধতি
1. প্রদীপ জ্বালিয়ে ধূপ দিতে হবে।
2. যন্ত্রের সামনে ফুল নিবেদন করুন।
3. দুধ ও গোঘৃত যন্ত্রের সামনে রেখে উপরের মন্ত্র পাঠ করুন।
4. ভোগ নিবেদনের পরেই মূল জপ শুরু করতে হবে।
5. জপ শেষে ভোগ সেই স্থানে রাতভর থাকবে। সকালে ভক্তিভরে বাইরে কোনো গাছের গোড়ায় রেখে আসতে হবে, (খাওয়া যাবে না)।
গো যোগিনী সিদ্ধির ১১ দিনের সাধনা সূচি-
মালা: সংস্কারিত রুদ্রাক্ষ।
জপ সংখ্যা: ১১ মালা ।
সময়: রাত ১২টা থেকে ৩টা।
ব্রত: নিঃশব্দে বসে থাকা, ভোগ নিয়ন্ত্রণ, মদ-মাংস না খাওয়া। (যদি গুরু ভিন্নভাবে না বলেন)।
ডে 1 – স্থাপন ও প্রাথমিক আহ্বান
যন্ত্র অঙ্কন লোহার থালায়। (ষট্কোণ + “হ্রীঁ গোযোগিন্যৈ নমঃ”)।
২১ বার ভূতপ্রেত নাশ মন্ত্র পাঠ করুন।
১১ মালা মূল মন্ত্র জপ - শেষে ১ প্রদীপ নিবেদন।
ডে 2 – ধূপ-দীপ নিবেদন
যন্ত্রে ৮টি লাল ফুল নিবেদন।
১১ মালা মূল মন্ত্র।
শেষে গোঘৃত দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো।
ডে 3 – গাভী-অর্ঘ্য নিবেদন
গোঘৃত, দুধ, এবং লাল চন্দন মিশিয়ে অর্ঘ্য দিন।
১১ মালা জপ।
জপ শেষে হাতে অর্ঘ্য নিয়ে “মম দর্শন দেহি” তিনবার বলুন।
ডে 4 – রুদ্ররূপ দর্শন-প্রস্তুতি
ধূপ-দীপ নিবেদন।
১১ মালা জপ।
শেষে বলুন:
“হে যোগিনী! আজ তুমি আলো বা শব্দে প্রকাশ হও।”
(এই দিন থেকে ঘরে হাওয়ার ঝড়, বা শব্দ হতে পারে।)
ডে 5 – স্বপ্নদর্শন
১১ মালা জপ।
শেষে নিজের বালিশের নিচে ১টি জবা ফুল রাখুন।
সাধক স্বপ্নে গাভী, আলো, বা নারী-রূপে দর্শন পাবেন।
ডে 6 – শক্তি সংযোগ
প্রদীপের শিখার দিকে তাকিয়ে ৫ মিনিট ধ্যান।
১১ মালা জপ।
শেষে ৩ বার বলুন: “আমি তোমার দাস, আমাকে রক্ষা করো।”
ডে 7 – প্রথম প্রকাশ, অর্থাৎ (আভাস)
যন্ত্রে ৮টি ফুল, ও গোঘৃত নিবেদন।
১১ মালা জপ।
এই দিন থেকে ধূপ-প্রদীপ নিজে নড়বে, আলো কমে-বেড়ে যাবে।
ডে 8 – অঙ্গরক্ষা
১১ মালা জপ।
জপ শেষে নিজের শরীরে গোঘৃত লেপন করুন। (তিলক আকারে কপাল, বুকে)।
এতে যোগিনী শক্তি শরীরে প্রবেশ করে।
ডে 9 – প্রত্যক্ষ আভাস
১১ মালা জপ।
জপ শেষে চোখ বন্ধ করলে আলো, নারীর রূপ, শিশু গাভীর শব্দ শোনা যাবে।
ডে 10 – প্রত্যক্ষ রূপ দর্শন
১১ মালা জপ।
যোগিনী হয় নারী রূপে (রমণী), নয়তো অর্ধগাভী রূপে প্রকাশ করবেন।
ভয় পেলেও পিছিয়ে যাওয়া যাবে না।
ডে 11 – সিদ্ধি সংস্থাপন
১১ মালা জপ।
শেষে বলুন:
“হে গো যোগিনী! তুমি এখন থেকে সর্বদা আমার সঙ্গে থাকো, রক্ষা করো, সর্বসিদ্ধি দাও।”
অর্ঘ্য নিবেদন করে যন্ত্রটি, লাল কাপড়ে মুড়ে গোপনে রাখুন।
চূড়ান্ত ফলাফল
গো যোগিনী সর্বদা রক্ষাকর্ত্রী হয়ে থাকবেন।
দারিদ্র্য, শত্রু, ভূতপ্রেত, রোগ নাশ হবে।
ধন, ভোগ, আকর্ষণ, অলৌকিক সহায়তা পাবেন।
মৃত্যু বা বিপদের মুহূর্তে, তিনি স্বয়ং প্রকাশ হয়ে সাধককে রক্ষা করবেন।
৬. সাধনার লক্ষণ
৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে ধূপ-প্রদীপ নিজে থেকে কাঁপতে থাকবে।
জপের সময় শরীরে শিহরণ, ঘাম, ঠান্ডা বা গরম হাওয়া অনুভূত হবে।
সপ্তম রাত থেকে স্বপ্নে গাভী, বা নারী রূপিণী যোগিনী দেখা দিতে পারেন।
চূড়ান্ত দিনে প্রত্যক্ষ দর্শন হয় – সাধককে কখনো অর্ধনগ্ন রূপে, কখনো গাভীর শাবক রূপে, কখনো দেবী রূপে দেখা দেন।
৭. ফলাফল
যোগিনী সর্বদা রক্ষাকর্ত্রী হয়ে থাকেন।
ধনলাভ, শত্রুনাশ, ভোগসিদ্ধি, ও আকর্ষণশক্তি প্রদান।
অশুভ শক্তি, ভূত-প্রেত, ব্যাধি থেকে মুক্তি।
তীব্র বিপদের সময় যোগিনী সরাসরি সহায়তা করেন।
সঠিক দীক্ষা, সাধনা সামগ্রী, তন্ত্র দোষ এবং গ্রহ দোষ নিবারণের জন্য যোগাযোগ করুন:
মা কামাখ্যা ধাম
সোমনাথ অঘোরী
হোয়াটস্যাপ/কল: ৯২৩৩৩১১৮০৭
সময়: সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পয্যন্ত।
Информация по комментариям в разработке