মুসা খান মসজিদ (Musa Khan Masjid)II ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুঘল আমলের এক ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন

Описание к видео মুসা খান মসজিদ (Musa Khan Masjid)II ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুঘল আমলের এক ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন

#মুসা_খান_মসজিদ

রাজধানী শহর ঢাকায় মুঘল আমলে নির্মিত যতগুলো মসজিদ এখনও টিকে রয়েছে- 'মুসা খান মসজিদ' তার অন্যতম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের পশ্চিমে, শহীদুল্লাহ হলের ঠিক দেয়াল ঘেঁষেই মসজিদটির অবস্থান। মসজিদটির পাশেই রয়েছে বহু ভাষাবিদ অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর কবর। মসজিদটির নাম শুনে মনে হতে পারে এর নির্মাতা হয়তো মুসা খান। কিন্তু তিনি আসলে এই মসজিদটির নির্মাতা নন। তার আগে জেনে নেয়া দরকার, কে ছিলেন এই মুসা খান।

মুসা খান ছিলেন বাংলার বিখ্যাত বার ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈসা খাঁ এর জ্যেষ্ঠ পুত্র। ঈসা খাঁ বাংলায় মুঘলদের আগ্রাসন কখনো মেনে নিতে পারেননি। তিনি তাঁর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যান। ১৫৯৯ সালে ঈসা খাঁ এর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র মুসা খানও মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখেন। কিন্তু তিনি আর পেরে উঠেননি। আনুমানিক ১৬১০/১১ সালে তিনি মুঘলদের কাছে বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য হন। পরবর্তীতে মুঘল বাহিনীর অধীনে ঢাকার অদূরে এক জায়গার দিওয়ান হিসেবে তাঁর বাকি জীবন অতিবাহিত করেন।

আনুমানিক ১৬২৩ সালে মুসা খানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মুসা খান মসজিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল বর্তমানে যে জায়গায় অবস্থিত, সে জায়গায় মুসা খানের বসতবাড়ি ছিল বলে জানা যায়। তখন এই জায়গাটির নাম ছিল 'দিওয়ানবাগ'। মৃত্যুর পর মুসা খানকে তাঁর এই বসতবাড়ির আঙ্গিনায় কবর দেয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুসা খানের মৃত্যুর সময় এই মসজিদটি ছিলনা। তাঁর মৃত্যুর অনেক পরে, কবরের পাশেই মসজিদটি নির্মিত হয়। মুসা খান মসজিদে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি। তাই কবে কার হাত ধরে এটি নির্মিত হয়, সে সম্পর্কিত কোন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়না। খুব সম্ভবত, মুসা খানের পুত্র দিওয়ান মাসুম খান কিংবা মাসুম খানের পুত্র দিওয়ান মুনোয়ার খান এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। তবে বেশিরভাগ ঐতিহাসিকই মনে করেন, মুসা খানের দৌহিত্র দিওয়ান মুনোয়ার খানই এই মসজিদটি নির্মাণ করেন এবং মরহুম পিতামহের নামে মসজিদটির নামকরণ করেন।

আগে মসজিদটি একটি প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত ছিল। বর্তমানে সেই প্রাচীরের কোন অংশই আর টিকে নেই। মসজিদটি দেখে সহজেই বোঝা যায়, বিভিন্ন সময়ে এর সংস্কার করা হয়েছে। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি একটি উঁচু প্ল্যাটফর্মের উপর স্থাপিত। প্ল্যাটফর্মের ভিতর অনেকগুলো কক্ষ রয়েছে, যদিও এখন সেগুলো ব্যবহারের একেবারেই অনুপযোগী। এই মসজিদের নির্মাণশৈলীর সাথে ঢাকার 'কারতলব খানের মসজিদ' (১৭০১-০৪ সালের ভিতর নির্মিত) ও 'খান মোহাম্মদ মিরদাহ মসজিদ' এর (১৭০৪-০৫ সালের ভিতর নির্মিত) যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তাই ধরে নেয়া যায়, মুসা খান মসজিদটিও এদের কাছাকাছি সময়ে নির্মিত।

মসজিদের বাইরে উত্তর দিকে এগিয়ে গেলে খোলা জায়গায় একটা সাদামাটা কবর চোখে পড়ে। এটিই মুসা খানের কবর- যার নামে এই মসজিদটি।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке