Скачать или смотреть পেঁপে শুধু পেট ভালো রাখে না,পেঁপে পেটও চালায়!!

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ মালদার আম জগৎ বিখ্যাত। মালদায় অনেকের আম বাগান রয়েছে। কিন্তু আমতো বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ফলে আর তখন তা থেকে ব্যবসা হয়।কিন্তু বছরের বাকি সময়? যখন আম থাকে না তখন পেট চলবে কিভাবে? হ্যা,উত্তর আছে। পেঁপে। পেঁপে শুধু পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে না,পেঁপে পেট চালাতেও সাহায্য করে। অন্তত আমের বিকল্প হিসাবে আম বাগানে পেঁপে চাষ করে বেশ ভালো আছেন মালদার রতুয়া নিবাসী এক যুবক।
কৃষি দপ্তর এবং উদ্যানপালন দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেই নিজের জমিতে পেঁপে চাষ শুরু করেছিলেন ওই যুবক। আজ সেই পেঁপে বিক্রি করেই লাখপতি তিনি। নিয়মিত পাইকারেরা এসে তাঁর বাগান থেকে সরাসরি পেঁপে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পেঁপে চাষ করেই আয় করছেন  আড়াই লক্ষ টাকারও বেশি। চাচল মহকুমার রতুয়া থানার বাহিরকাপ গ্রামের এই স্বনির্ভরতার খবর অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। নিজের আম বাগানের মধ্যেই বিকল্প চাষ হিসাবে পেঁপে গাছ লাগিয়েছিলেন যুবক শিশু ওয়াহাব। সেখান থেকে এখন পেঁপেই তাঁর পেট চালানোর বড় উপায়।
আমবাগানের মধ্যেও যে অন্য কোনো লাভজনক ফসল চাষ করা যায় তার পথ দেখাচ্ছেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে পড়াশোনা ছেড়েছিলেন তিনি। তারপরেই বাবার কৃষি কাজে হাত লাগান। নিজের প্রায় তিন বিঘে আম বাগান রয়েছে। বছরের এক সময়ে আম বাগান থেকে রোজগার হয়। তাই আম বাগানের ভেতরে বিকল্প ফসল চাষের চিন্তাভাবনা শুরু করেন। সেখান থেকেই পেঁপে চাষের ভাবনা মাথায় আসে। আম বাগানের মধ্যেই ফাঁকা জায়গায় পেঁপে গাছ লাগিয়ে দেন। নিয়মিত পরিচর্যা ও সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করায় গত কয়েক বছরেই পেঁপে চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন তিনি। 
তিনি বলেন, তিন বিঘে আমবাগানেই নির্দিষ্ট দূরত্বে পেঁপে গাছ রয়েছে। সেখান থেকেই আয় হচ্ছে তাঁর। সাধারণত বাজারে পাকা ও কাঁচা দুই ধরনের পেঁপের চাহিদা রয়েছে। তবে তিনি কাঁচা পেঁপেই বেশি বিক্রি করেন। এই বছর পাকা পেঁপে বিক্রি করছেন। বর্তমানে বাজারে এক কেজি পাকা পেঁপে ৩০ টাকা ও কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতেই মাসে রোজগার কুড়ি থেকে পঁচিশ হাজার টাকা।
সারা বছর ধরেই পেঁপে চাষ করা যায়। তবে পেঁপে চারা বসানোর উপযুক্ত সময় মার্চ মাস। উচ্চ ফলনশীল জাতের পেঁপে চারা নিজের বাগানে রোপন করেন। বাইরে থেকে নিয়ে আসেন এই পেঁপের চারা। নিয়মিত জল ও পরিচর্যা করলেই পেঁপে গাছ বড় হয়ে যায়। তবে পেঁপেতে ভাইরাসের আক্রমণ সবথেকে বেশি। এই ভাইরাসের হাত থেকে পেঁপে গাছ ও পেঁপেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়ে পরিচর্যা, কীটনাশক প্রয়োগ। একবার ভাইরাসের হাত থেকে পেঁপে গাছকে রক্ষা করতে পারলেই ব্যাপক পরিমাণে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পেঁপে চাষি শিশু ওয়াহাব বলেন, আমার দেখাদেখি আশেপাশের বেশ কয়েকজন কৃষক পেঁপে চাষের চেষ্টা করেছেন আম বাগানের মধ্যে। কিন্তু তারা সফল হননি। কারণ পেঁপে গাছকে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সে সময় গাছের পরিচর্যা সঠিকভাবে করতে হয়। একবার ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলে ভালো আয় হয় এই ফসল থেকে।