হরেকৃষ্ণ,
'একাদশী ও ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত থালি' এই রেসিপির ভিডিওটিতে ২.১০ মিনিটে "আদা-লঙ্কা" কুচি শব্দটি ভুলবশত ব্যাবহার হয়েছে। "লঙ্কা" ভীষ্ম পঞ্চক ব্রতে গ্রহন করা হয় না। ''প্রভুপাদ কিচেন'' এই ভুলের জন্য দুঃখিত।
For More Ekadashi Prasadam .Just click this link :
আরও একাদশী প্রসাদের জন্য। শুধু এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: • Ekadashi Prasadam
ভীষ্মপঞ্চব্রতের প্রথম দিনের সংকল্প।
হরি ওম: গোবিন্দ, গোবিন্দ, গোবিন্দ,
ওম তৎ সৎ অদ্য ব্রহ্মন দ্বিতীয় পরাব্ধে শ্রী শ্বেত বরাহ কল্পে বৈবস্বত মন্বন্তরে অষ্টবিংশতি কলিযুগে প্রথম সন্ধ্যায় ব্রাহ্মন্য বিংশত বর্তমানায়াম
৫৩৫ তম গৌরাব্দে
কার্তিক মাসে
হেমন্ত ঋতু
গৌর পক্ষ
তুলা রাশি স্থিত
সোমবারায়া
একাদশী তিথৌ
ভু মণ্ডলে, জম্বু দ্বীপে, ভারতবর্ষে, ভারত খণ্ডে, মেদি ভূতসো, সুমেরু দক্ষিনে, গঙ্গায় পশ্চিম ভাগে, ...(দুর্গাপুর) ...নামক স্থানে, ...(শ্রী রাধা মদনমোহন, দুর্গাপুর চন্দ্র, শ্রীশ্রী জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা সুদর্শন,).... ব্রাহ্মণ বৈষ্ণব সান্নিধ্যে, শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ প্রীতার্থাম অস্মীন শুভ ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত প্রথম দিবসে (অস্মিন ) গোত্র (অস্মিন) নাম সংকল্প করিস্য ।
ভীষ্মপঞ্চব্রত__কিভাবে__করব?
পিতামহ ভীষ্মদেব এই ব্রত করেছিলেন বিধায় এর নাম ভীষ্মপঞ্চক ব্রত। অত্যন্ত মহিমান্বিত এই ব্রত করার ফলে যে কেউ গোলকাধিপতি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করতে পারেন। শাস্ত্র উল্লেখ আছে যে, বিশেষতঃ যারা আজীবন নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচর্য পালন করতে চান, তারা এই ব্রত করে ভীষ্মদেব ও তাঁর আরাধ্যদেব শ্রীকৃষ্ণের করুণা ভিক্ষা করতে পারেন। ভক্তরা তাদের সুবিধামতো নিম্নোক্ত স্তরগুলোর যেকোনটি অনুসরণ করতে পারেন যাতে তাদের নিত্য ভগবৎ সেবা ও সাধনার বিঘ্ন না ঘটে।
🔸১ম স্তর : পঞ্চগব্যের একেকটি একেক দিনে গ্রহণ করা যেতে পারে।
◾️১ম দিন - গোময়,
◾️২য় দিন-গোমূত্র,
◾️৩য় দিন- দুধ,
◾️৪র্থ দিন- দধি,
◾️৫ম দিন- গোময়, গোমূত্র, দুগ্ধ, দধি ও ঘিয়ের মিশ্রণে
তৈরী পঞ্চগব্য।
🔸২য় স্তর : যদি কেউ ১ম স্তর অনুসরণ করতে না পারেন তবে ফলমূল গ্রহণ করা যেতে পারে। যেসব ফলে প্রচুর বীজ রয়েছে যেমন পেয়ারা, ডালিম, পেঁপে, শসা প্রভৃতি বর্জন করা উচিত। আলু, কাঁচাকলা বা মিষ্টিআলু সেদ্ধ করে গ্রহণ করা যেতে পারে । স্বাদের জন্য সৈন্ধব লবণ ব্যবহার অনুমোদিত । কাজুবাদাম, কিসমিস ও খেজুর গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে দুধ বা দুগ্ধজাত কোন দ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না। নারকেল ও নারকেলের জল গ্রহণ করা যাবে ।
🔸৩য় স্তর : যদি কেউ ২য় স্তর পালনে অসমর্থ হন তবে হবিষ্যান্ন গ্রহন করতে পারেন। এতদিন গঙ্গার মত পবিত্র নদীতে স্নান করা উচিত। নিম্নলিখিত মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে দিনে তিনবার ভীষ্মদেবের উদ্দেশে তর্পণ করা উচিত।
◾️তর্পণ-
ওঁ বৈয়াগ্ৰপাদ্য গোত্রায় সংস্কৃতি প্রবরায় চ।
অপুত্রায় দদ্যামেতৎ সলিলম্ ভীষ্মবর্মনে ॥
◾️আর্ঘ-
বসুনামাবতারায় শান্তনোরাত্মজায় চ ।
অর্ঘ দদামি ভীষ্মায় আজন্ম ব্রহ্মচারিণে ॥
◾️পরণাম-
ওঁ ভীষ্ম সনাতনেভ্য বীরঃ সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয়ঃ ।
আভীরান্ধির্বাপুতু পুত্রপৌত্রচিতম্ ক্রিয়াম্ ॥
🔸ভক্তরা নিম্নের ফুলগুলো বিগ্রহকে নিবেদন করতে পারেন-
◾️১ম দিন- শ্রীবিগ্রহের শ্রীচরণে অবশ্যই পদ্মফুল,
◾️২য় দিন- শ্রীবিগ্রহের উরুতে বিল্বপত্র,
◾️৩য় দিন- শ্রীবিগ্রহের নাভিদেশে গন্ধদ্রব্য,
◾️৪র্থ দিন- শ্রীবিগ্রহের স্কন্ধদেশে জবাফুল ও বিল্বপত্র।
◾️৫ম দিন- শ্রীবিগ্রহের মস্তকে মালতী ফুল নিবেদন
করা উচিত ।
🔸যদি কখনো দু'টি তিথি একত্রে পড়ে তবে ঐদিন দুইদিনের উদ্দিষ্ট ফুলগুলো একই দিনে নিবেদন করতে পারেন ।
👉২৬শে দামোদর ২৮শে কার্ত্তিক ১৫ই নভেম্বর সোমবার। উত্থান একাদশীর উপবাস ও ভীষ্মপক ব্রত আরম্ভ। পরদিন একাদশী ব্রতের পারনের জন্য পঞ্চ রবিশষ্য এক দানা গ্রহণ করে একাদশীর পারণ করা যাবে। এবং ভীষ্মপঞ্চব্রত যথানিয়মে পালন করবেন।
হরেকৃষ্ণ 🙏🙏
Информация по комментариям в разработке