দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় পিরোজপুরে জনতার হৃদয় স্পর্শ করছেন জননেতা অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) একটি অগ্রণী শক্তি হিসেবে বহু বছর ধরে জনগণের পক্ষে সোচ্চার থেকেছে। এই দলটির প্রাণশক্তি হলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা এবং গণমানুষের প্রতি অঙ্গীকার বারবার দেশের সংকটময় সময়ে আশার আলো হয়ে উঠেছে। আজ সেই নেত্রী গুরুতর অসুস্থতাজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিতেও তাঁকে ঘিরে দলের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত এক গভীর আবেগ, ভালোবাসা ও প্রত্যাশার বিস্তার পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এই আবেগ-ভালোবাসার বাস্তব উদাহরণ হিসেবে পিরোজপুর জেলার রাজনীতিতে একজন বিশেষ ব্যক্তিত্বের নাম বারবার উঠে আসে—তিনি হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় জননেতা অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। দলীয় আদর্শ, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা এবং জনগণের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা তাঁকে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নয়, বরং জনগণের আত্মার আত্মীয়ে পরিণত করেছে।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তাঁর চিকিৎসা, রাজনৈতিক অধিকার এবং জাতীয় রাজনীতিতে পুনঃঅবস্থানকে কেন্দ্র করে যখন দেশজুড়ে আন্দোলন ও দাবির ঝড় ওঠেছে, তখন পিরোজপুরে অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তাঁর ভাষণে, মিছিলে, সভা-সমাবেশে সর্বত্র উচ্চারিত হচ্ছে একটিই কথা—“দেশনেত্রীর অপেক্ষায় রয়েছি, তাঁর দিকনির্দেশনাই আমাদের পথ দেখাবে।”
অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। তিনি ছিলেন একাধারে সংগঠক, চিন্তাশীল কর্মী এবং বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। সময়ের পরিক্রমায় তিনি হয়ে উঠেছেন বিএনপির জন্য এক অবিচল বিশ্বাসযোগ্যতা ও নির্ভরতার প্রতীক। জেলা পর্যায়ের দলীয় সংগঠন যখন নানা চাপে ও বাধায় দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তখন তাঁর দৃঢ় অবস্থান এবং সাংগঠনিক দক্ষতা সেই শূন্যতা পূরণ করেছে।
বিশেষ করে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে মানববন্ধন, মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, পিরোজপুরে তার অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন আলমগীর হোসেন। তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে—যা স্থানীয় প্রশাসনের প্রশংসাও কুড়িয়েছে। তিনি বারবার আহ্বান জানিয়েছেন—রাজনীতি হোক নীতি ও আদর্শভিত্তিক; প্রতিহিংসা নয়, সহনশীলতা হোক রাজনীতির মূল চেতনাভিত্তি।
তার বক্তব্যে উঠে আসে এমন এক বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন, যেখানে গণতন্ত্রের চর্চা থাকবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হেয় না করে যুক্তি ও আদর্শে জয় করার প্রতিযোগিতা থাকবে। তিনি বলেন—“দেশনেত্রী আমাদের শুধু রাজনীতি শিখিয়েছেন না, তিনি আমাদের জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়েছেন। তিনি আমাদের আত্মমর্যাদায় উজ্জীবিত করেছেন।”
পিরোজপুরের সাধারণ জনগণ অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপির সংগঠন এখন আরো কার্যকর ও ঐক্যবদ্ধ। তিনি নিয়মিত কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, নানান সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, এবং তৃণমূলের সমস্যাগুলোর বাস্তবসম্মত সমাধানের পথ খোঁজেন।
তিনি বিশ্বাস করেন, খালেদা জিয়া শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকারের এক প্রতীক। তাঁর বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপ এবং চিকিৎসার অধিকার হরণ করার প্রচেষ্টা প্রকৃতপক্ষে দেশের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। এ বিষয়গুলো নিয়ে তিনি প্রায় প্রতিটি সভা-সমাবেশে স্পষ্টভাবে বক্তব্য রাখেন এবং দাবি জানান অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার।
জননেতা অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন মনে করেন, একজন অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিককে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া মানবাধিকারের পরিপন্থী। তাঁর মতে, খালেদা জিয়ার মুক্তিই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের প্রথম ধাপ।
বর্তমানে পিরোজপুর জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও পৌরসভায় অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে যে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গঠিত হয়েছে, তা ভবিষ্যতের গণআন্দোলনের ভিত্তি রচনা করছে। তিনি স্থানীয় পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে যেমন উৎসাহ দেন, তেমনি দলীয় কর্মীদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণেও তিনি গুরুত্ব দেন।
তাঁর ব্যক্তিজীবনও সাধারণ জনগণের জন্য এক অনুপ্রেরণা। বিনয়ী, পরিশ্রমী ও নীতিবান এই নেতার দরজা সর্বদা সাধারণ জনগণের জন্য খোলা থাকে। যেকোনো সংকটে, যেকোনো জনদুর্ভোগে তিনি উপস্থিত থাকেন নিজ হাতে সাহায্য নিয়ে। তাঁর কার্যক্রম শুধুমাত্র রাজনৈতিক অঙ্গনে সীমাবদ্ধ নয়; শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক উন্নয়ন, বেকার সমস্যা ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাঁর অবদান স্থানীয় জনগণ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে।
বর্তমান সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আজ দেশে সত্য বলার অধিকার নেই, বিরোধী মত প্রকাশ করার সুযোগ নেই। যারা গণতন্ত্র চায়, তারা নির্যাতিত। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ফিরলে এই আন্দোলন নতুন গতিপথ পাবে।”
তিনি সকল নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন—ব্যক্তি নয়, দলীয় আদর্শকে সামনে রেখে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি মনে করেন, আন্দোলনের সফলতা তখনই আসবে, যখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হব এবং দেশনেত্রীর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে সংগঠনকে সুসংহত করব।
শেষে বলা যায়, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক জননেতা অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন” শুধুমাত্র একটি বাক্য নয়; এটি একটি বিশ্বাস, একটি আদর্শিক অবস্থান, এবং এক নির্ভরতার প্রতীক। পিরোজপুরের জনগণ, বিএনপির কর্মীবাহিনী ও সর্বস্তরের মানুষ আজ এই নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে অপেক্ষায় আছে সেইদিনের, যেদিন দেশনেত্রী আবার জাতিকে নেতৃত্ব দেবেন এবং গণতন্ত্রের নতুন সূর্যোদয় ঘটবে।
Информация по комментариям в разработке