SUBSCRIBE Our Channel For New Videos ► / amaderdoctor
গর্ভবতী মায়েরনানা ধরনেরসমস্যা ও সমাধান
গর্ভকালীন ৫ টি সমস্যা ও কার্যকরী সমাধান
১) বমি বমি ভাব
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বমি বমি ভাব, বার বার বমি হওয়া, গা গোলানো যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় মর্নিং সিকনেস। ফার্স্ট ট্রাইমেস্টার বা প্রেগন্যান্সির প্রথম ৩ মাস শরীরে হরমোনের ওঠানামার কারণে বমি বমি ভাব হতে পারে। কম বেশি সব মায়েরই এই সমস্যা হয়ে থাকে।
প্রতিকার
ঘুমোতে যাবার আগে হাতের কাছে হালকা স্ন্যাকস জাতীয় খাবার রাখতে হবে। যেন ঘুম ভেঙে গেলে কিংবা ঘুম থেকে উঠে একটু কিছু খেয়ে নেয়া যায়।
ঘুম ভাঙার পর বিছানায় কিছুক্ষণ বসে থেকে নিজেকে ধাতস্থ করে নিতে হবে। তারপর বিছানা থেকে নামতে হবে।
তাড়াহুড়া না করে আস্তে আস্তে বিছানা ছেড়ে উঠতে হবে।
একবারে বেশি খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ঘন্টায় ঘন্টায় কিংবা দুই ঘন্টা পর পর হালকা কিছু খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় পাকস্থলী যেন কখনোই একদম খালি না থাকে।
কর্মজীবী মায়েরা বাইরে যাবার আগে সাথে করে খাবার নিতে ভুলবেন না যেন!
খাবারে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, লো ফ্যাট এবং অধিক পরিমাণে খনিজ লবণের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার যেমন ভাত, কলা, টোস্ট, আপেল রাখতে হবে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে যেন বার বার বমি হলেও শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা না হয়।
গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করতে হবে।
২) ব্রেস্ট টেন্ডারনেস
নবজাতকের জন্য মায়ের দুধই প্রথম ও একমাত্র খাদ্য। ব্রেস্ট টেন্ডারনেস বাংলায় যাকে বলে স্তন এবং তার আশপাশের এলাকায় ব্যথা যা গর্ভাবস্থায় একটি সাধারণ সমস্যা। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যেমন স্তনে হালকা ব্যথা, স্তন প্রদাহ দেখা যায়, এই সময়েও তেমনি স্তনে হালকা হালকা ব্যথা, স্তনে অতিরিক্ত ভার অনুভূত হয়। গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ থেকে অষ্টম সপ্তাহের মধ্যে ব্রেস্টের পরিবর্তন গুলো বোঝা যায়। পুরো প্রেগন্যান্সি জুড়েই ব্রেস্টের আকার বড় হতে পারে, তবে চার মাসের পর ব্যথা সাধারণত থাকে না।
প্রতিকার
সম্পূর্ণ প্রতিকার করা সম্ভব নয়, তবে ব্যথা সহনীয় করার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়া যায়। এজন্য গর্ভবতী মায়েদের ব্র্যাশিয়ার বা ব্রা পরা উচিত যেন স্তনের ভার কম অনুভূত হয়।
ঘুমানোর সময় ব্রেস্টকে সাপোর্ট দেয় এমন একটি নরম ব্র্যাশিয়ার ব্যবহার করতে হবে।
সব সময় ঢিলাঢালা আরামদায়ক সুতির জামা ব্যবহার করতে হবে।
ব্যথা বেশি হলে হালকা গরম ভাপ নেয়া যেতে পারে।
৩) ক্লান্তি ও অবসাদ
প্রেগন্যান্সিতে প্রতিনিয়ত হরমোন লেভেলের ওঠানামার জন্য শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন হতে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি ও অবসাদ আসাটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ক্লান্তি ও অবসাদ কমানোর জন্য কিছু কাজ করতে পারেন।
প্রতিকার
আমাদের দেশে মায়েরা বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ পান না। যখনি হাতে সময় থাকবে, একটু রেস্ট নিয়ে নেয়া উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয়।
অতিরিক্ত রাত জাগা উচিত নয়। সব কাজকর্ম মিটিয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তে হবে।
এক্ষেত্রে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যত্নবান হওয়া উচিত। সবাই কাজ ভাগ করে নিয়ে গর্ভবতী মাকে বিশ্রামের সময় দিতে হবে।
৪) ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
গর্ভাবস্থায় প্রচুর পানি পান করার দরুন বার বার প্রস্রাব হয়। বিশেষ করে প্রথম ও শেষদিকে মায়েরা অতিরিক্ত প্রস্রাবের অভিযোগ করে থাকেন। প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা গর্ভাশয় ক্রমেই মূত্রথলির উপর চাপ দিতে থাকে, এর ফলে বার বার প্রস্রাবের বেগ হতে পারে।
প্রতিকার
প্রচুর পানি খেতে হবে। কোনভাবেই পানির পরিমাণ কমানো যাবে না। অনেকে প্রস্রাব বেশি হচ্ছে ভেবে পানি খাওয়া কমিয়ে দেন। এটা ঠিক নয়।
প্রতিবার প্রস্রাব করার সময় মূত্রথলি যেন পুরোপুরি খালি হয়।
৫) বুকজ্বালা, বদহজম, ক্ষুধামান্দ্য
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে বদহজম ও ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়। জ্বালা পোড়া ভাব, ক্ষুধা না হওয়া, খেতে ইচ্ছা না করা এইসব সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় পাকস্থলীর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, ফলে খাবার পাকস্থলী থেকে ইসোফ্যাগাস বা অন্ননালীতে চলে আসে। এ থেকে মুখে টক ভাব, বুক জ্বালাপোড়া, চোয়া ঢেকুরের মত সমস্যা হতে পারে।
প্রতিকার
বার বার অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে।
প্রচুর তরল জাতীয় খাবার, প্রচুর পানি, ফলের রস পান করুন।
ঘুমানোর একদম আগে আগে কিছু খাবেন না। খেয়েই শুয়ে পড়া যাবে না। খাবার পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা ভালো।
একদম চিত হয়ে না শুয়ে হেলান দিয়ে বা মাথা একটু উচুতে রেখে কাত হয়ে শোয়া অভ্যাস করতে হবে।
৬) অতিরিক্ত ঘাম
হরমোন ওঠানামা, অতিরিক্ত ওজন, শরীরে বেড়ে যাওয়া রক্তপ্রবাহ গর্ভাবস্থায় দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। এজন্য এসময় মায়েদের খুব বেশি ঘামতে দেখা যায় বিশেষ করে রাতের বেলা খুব ঘাম হয়।
প্রতিকার
হালকা নরম সুতি পোষাক পরে ঘুমাতে যান। অতিরিক্ত টাইট, বডি ফিটিং পোষাক না পরাই ভালো।
ক্যাফেইন আছে এমন পানীয় বর্জন করা উচিত। যেমন, চা বা কফি।
প্রচুর পানি খেতে হবে যেন ঘামের ফলে ডিহাইড্রেশন না হয়।
যারা ব্যায়াম করেন, বাইরের রোদ গরম ধূলা বালি এড়িয়ে ঘরের ভিতরেই হালকা ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে।
৭) মাথাব্যথা
হরমোন, স্ট্রেস, অবসাদ, রক্তে শর্করা কমে যাওয়া, ক্যাফেইনের অভাব সব মিলিয়ে এ সময় মাথা ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
প্রতিকার
যখনি সময় পাবেন, বিশ্রাম নিতে হবে। চাইলে অল্প ঘুমিয়েও নেয়া যায়।
রক্তে শর্করার পরিমাণ যেন অতিরিক্ত কমে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
--------------------------
All Rights Reserved By Amader Doctor.
Also, Find us
Email Address: [email protected]
Facebook: / amaderdoctortips
Twitter: / amaderdoctor
Instagram: / amaderdr
Pinterest: / amaderdr
Address: 330/7, TV road, East Rampura, Dhaka 1219
Информация по комментариям в разработке