রাষ্ট্রক্ষমতা ছাড়া আল্লাহ কেন আহকাম নাজিল করেন না? Allama Mozammel Haque New Tafsir

Описание к видео রাষ্ট্রক্ষমতা ছাড়া আল্লাহ কেন আহকাম নাজিল করেন না? Allama Mozammel Haque New Tafsir

সূরা দুখান এর ধারাবাহিক তাফসীর, পর্ব-২, আয়াত : ১৬-৫৯ শেষপর্ব || Sura Dukhan tafsir : 16-59 || অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাম্মেল হক || Mozammel Haque Barisal || Tahjib Center.

#tahjibcentermozammelhaque

আলোচ্য বক্তব্যে যে আয়াতগুলোর তাফসীর রয়েছে

يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنتَقِمُونَ
যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই। [সুরা দুখান - ৪৪:১৬]
وَلَقَدْ فَتَنَّا قَبْلَهُمْ قَوْمَ فِرْعَوْنَ وَجَاءهُمْ رَسُولٌ كَرِيمٌ
তাদের পূর্বে আমি ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি এবং তাদের কাছে আগমন করেছেন একজন সম্মানিত রসূল, [সুরা দুখান - ৪৪:১৭]
أَنْ أَدُّوا إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
এই মর্মে যে, আল্লাহর বান্দাদেরকে আমার কাছে অর্পণ কর। আমি তোমাদের জন্য প্রেরীত বিশ্বস্ত রসূল। [সুরা দুখান - ৪৪:১৮]
وَأَنْ لَّا تَعْلُوا عَلَى اللَّهِ إِنِّي آتِيكُم بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ
আর তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করো না। আমি তোমাদের কাছে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করছি। [সুরা দুখান - ৪৪:১৯]
وَإِنِّي عُذْتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُمْ أَن تَرْجُمُونِ
তোমরা যাতে আমাকে প্রস্তরবর্ষণে হত্যা না কর, তজ্জন্যে আমি আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তার শরনাপন্ন হয়েছি। [সুরা দুখান - ৪৪:২০]
وَإِنْ لَّمْ تُؤْمِنُوا لِي فَاعْتَزِلُونِ
তোমরা যদি আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না কর, তবে আমার কাছ থেকে দূরে থাক। [সুরা দুখান - ৪৪:২১]
فَدَعَا رَبَّهُ أَنَّ هَؤُلَاء قَوْمٌ مُّجْرِمُونَ
অতঃপর সে তার পালনকর্তার কাছে দোয়া করল যে, এরা অপরাধী সম্প্রদায়। [সুরা দুখান - ৪৪:২২]
فَأَسْرِ بِعِبَادِي لَيْلًا إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
তাহলে তুমি আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিবেলায় বের হয়ে পড়। নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধবন করা হবে। [সুরা দুখান - ৪৪:২৩]
وَاتْرُكْ الْبَحْرَ رَهْوًا إِنَّهُمْ جُندٌ مُّغْرَقُونَ
এবং সমুদ্রকে অচল থাকতে দাও। নিশ্চয় ওরা নিমজ্জত বাহিনী। [সুরা দুখান - ৪৪:২৪]
كَمْ تَرَكُوا مِن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
তারা ছেড়ে গিয়েছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবন, [সুরা দুখান - ৪৪:২৫]
وَزُرُوعٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ
কত শস্যক্ষেত্র ও সূরম্য স্থান। [সুরা দুখান - ৪৪:২৬]
وَنَعْمَةٍ كَانُوا فِيهَا فَاكِهِينَ
কত সুখের উপকরণ, যাতে তারা খোশগল্প করত। [সুরা দুখান - ৪৪:২৭]
كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا قَوْمًا آخَرِينَ
এমনিই হয়েছিল এবং আমি ওগুলোর মালিক করেছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে। [সুরা দুখান - ৪৪:২৮]
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاء وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
তাদের জন্যে ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি। [সুরা দুখান - ৪৪:২৯]
وَلَقَدْ نَجَّيْنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنَ الْعَذَابِ الْمُهِينِ
আমি বনী-ইসরাঈলক ে অপমানজনক শাস্তি থেকে উদ্ধার করছি। [সুরা দুখান - ৪৪:৩০]
مِن فِرْعَوْنَ إِنَّهُ كَانَ عَالِيًا مِّنَ الْمُسْرِفِينَ
ফেরাউন সে ছিল সীমালংঘনকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। [সুরা দুখান - ৪৪:৩১]
وَلَقَدِ اخْتَرْنَاهُمْ عَلَى عِلْمٍ عَلَى الْعَالَمِينَ
আমি জেনেশুনে তাদেরকে বিশ্ববাসীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম। [সুরা দুখান - ৪৪:৩২]
وَآتَيْنَاهُم مِّنَ الْآيَاتِ مَا فِيهِ بَلَاء مُّبِينٌ
এবং আমি তাদেরকে এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে ছিল স্পষ্ট সাহায্য। [সুরা দুখান - ৪৪:৩৩]
إِنَّ هَؤُلَاء لَيَقُولُونَ
কাফেররা বলেই থাকে, [সুরা দুখান - ৪৪:৩৪]
إِنْ هِيَ إِلَّا مَوْتَتُنَا الْأُولَى وَمَا نَحْنُ بِمُنشَرِينَ
প্রথম মৃত্যুর মাধ্যমেই আমাদের সবকিছুর অবসান হবে এবং আমরা পুনরুত্থিত হব না। [সুরা দুখান - ৪৪:৩৫]
فَأْتُوا بِآبَائِنَا إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে এস। [সুরা দুখান - ৪৪:৩৬]
أَهُمْ خَيْرٌ أَمْ قَوْمُ تُبَّعٍ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ أَهْلَكْنَاهُمْ إِنَّهُمْ كَانُوا مُجْرِمِينَ
ওরা শ্রেষ্ঠ, না তুব্বার সম্প্রদায় ও তাদের পূর্ববর্তীরা? আমি ওদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। ওরা ছিল অপরাধী। [সুরা দুখান - ৪৪:৩৭]
আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। [সুরা দুখান - ৪৪:৩৮]
আমি এগুলো যথাযথ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না। [সুরা দুখান - ৪৪:৩৯]
নিশ্চয় ফয়সালার দিন তাদের সবারই নির্ধারিত সময়। [সুরা দুখান - ৪৪:৪০]
যেদিন কোন বন্ধুই কোন বন্ধুর উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। [সুরা দুখান - ৪৪:৪১]
তবে আল্লাহ যার প্রতি দয়া করেন, তার কথা ভিন্ন। নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী দয়াময়। [সুরা দুখান - ৪৪:৪২]
নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ [সুরা দুখান - ৪৪:৪৩]
পাপীর খাদ্য হবে; [সুরা দুখান - ৪৪:৪৪]
গলিত তাম্রের মত পেটে ফুটতে থাকবে। [সুরা দুখান - ৪৪:৪৫]
যেমন ফুটে পানি। [সুরা দুখান - ৪৪:৪৬]
একে ধর এবং টেনে নিয়ে যাও জাহান্নামের মধ্যস্থলে, [সুরা দুখান - ৪৪:৪৭]
অতঃপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানির আযাব ঢেলে দাও, [সুরা দুখান - ৪৪:৪৮]
স্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত। [সুরা দুখান - ৪৪:৪৯]
এ সম্পর্কে তোমরা সন্দেহে পতিত ছিলে। [সুরা দুখান - ৪৪:৫০]
নিশ্চয় খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে- [সুরা দুখান - ৪৪:৫১]
উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমূহে। [সুরা দুখান - ৪৪:৫২]
তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে। [সুরা দুখান - ৪৪:৫৩]
এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে আনতলোচনা স্ত্রী দেব। [সুরা দুখান - ৪৪:৫৪]
তারা সেখানে শান্ত মনে বিভিন্ন ফল-মূল আনতে বলবে। [সুরা দুখান - ৪৪:৫৫]
তারা সেখানে মৃত্যু আস্বাদন করবে না, প্রথম মৃত্যু ব্যতীত এবং আপনার পালনকর্তা তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। [সুরা দুখান - ৪৪:৫৬]
আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য। [সুরা দুখান - ৪৪:৫৭]
আমি আপনার ভাষায় কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা স্মরণ রাখে। [সুরা দুখান - ৪৪:৫৮]
অতএব, আপনি অপেক্ষা করুন, তারাও অপেক্ষা করছে। [সুরা দুখান - ৪৪:৫৯]

Комментарии

Информация по комментариям в разработке