Скачать или смотреть সুন্দরবন পঞ্চমুখী জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীকে বাঘে তুলে নিয়ে গেল

বাবলু প্রামানিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনা । ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকালে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের পঞ্চমুখানি ২ নম্বর জঙ্গলে।নিখোঁজ মৎস্যজীবীর বাড়ী সুন্দরবন কোষ্টাল থানার লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতর লাহিড়ীপুর গ্রামে। সুন্দরবন জঙ্গলের নদীখাঁড়িতে মাছ কাঁকড়া ধরতে যেতেন মৎস্যজীবি যামিনী মিস্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা। ফিরেও আসতেন। অন্যান্য দিনের মতো লাহিড়ীপুর গ্রাম থেকে তিনজন সঙ্গী মিলন মিস্ত্রী,অজিত মন্ডল, ও অসিত মাঝিকে নিয়ে শুক্রবার দুপুর দুটোর দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের পঞ্চমুখানি ২ জঙ্গলে মাছকাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এদিন বিকালে সুন্দরবনের নদীখাঁড়িতে যখন সকলে মাছ কাঁকড়া ধরতে ধরছিলেন আপন মনে। ঠিক সেই মুহূর্তে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে আসে।লাফ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে যামিনীর উপর।।মুহূর্তে তাঁর ঘাড়ে কামড় দিয়ে পিঠে তুলে নিয়ে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম যামিনী মিস্ত্রী(৫২)। সঙ্গীকে চোখের সামনে বাঘ আক্রমণ করেছে দেখতে পেয়ে সঙ্গীসাথী মিলন মিস্ত্রী,অজিত মন্ডল, ও অসিত মাঝিরা নৌকার হাল আর কাঁকড়া ধরার শিক দিয়ে বাঘের সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু করে সঙ্গীকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে কিন্তু ক্ষুধার্ত বাঘ তার শিকার ছাড়তে রাজী নয়। ক্ষুধার্ত বাঘের সাথে দীর্ঘক্ষণ লড়াই করে তিন সঙ্গীসাথী। বাঘের ভয়ঙ্কর রুদ্রমূর্তির সামনে সঙ্গীকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েও নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য রণে ভঙ্গ দেয়। অবশেষে বাঘ তার শিকারকে টানতে টানতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে চলে যায়।পরক্ষণে আবার বিপদ হতে পেরে ভেবে তিন সঙ্গী তড়িঘড়ি নৌকার বৈঠা বেয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। লাহিড়ীপুর গ্রামে গিয়ে যামিনীর বাড়িতে খবর দেওয়া হলে,পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।