পুরনো গাড়ি (প্রাইভেটকার) কিনার আগে যা যা দেখে কিনবেন।

Описание к видео পুরনো গাড়ি (প্রাইভেটকার) কিনার আগে যা যা দেখে কিনবেন।

আমার নতুন চ্যানেল। সাবস্ক্রাইব করবেন-    • Видео  

আমাদের আরো কিছু ভিডিও-
গাড়ি চালানো শিখুন মাত্র ২০ মিনিটে ফুল কোর্স-    • গাড়ি চালানো শিখুন মাত্র ২০ মিনিটে ফুল...  
সি এন জি চালানো শিখুন How to Drive A CNG-    • সি এন জি চালানো শিখুন How to Drive A CNG  

♦Contact Us :

👉website- www.bdbiker24.com

👉Facebook personal :   / suhag550  

👉Facebook Page :   / poloking111  

👉Twitter :   / suhag550  

👉Instragram :   / suhag550  

📩Email: [email protected]
#poloking

পুরোনো গাড়ি কেনার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

দেখেশুনে গাড়ি কেনাটা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ । আপনি যখন আপনার টাকার বেশ বড় একটা অংশ খরচ করবেন, যা চাইছেন তার পুরোটা পাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়েই করুন। নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে এসব ভাবনা খুব একটা প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু পুরাতন গাড়ি কেনা এত সহজ নয়। একই বছরে বের হওয়া, একই ব্র্যান্ড এবং মডেলের দুটো ব্যবহৃত গাড়ির অবস্থা একইরকম থাকে না, পুরোনো গাড়ির অবস্থা নির্ভর করে ব্যবহারের ইতিহাসের উপর। পুরনো গাড়ি কেনা অনেক বেশি কঠিন। কারণ গাড়ির অনেক বিষয় আপনার বিবেচনায় আনতে হবে গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে, যদি পরবর্তীতে পস্তাতে না চান। আজ পুরনো গাড়ি কেনার কিছু বিষয় নিয়ে যা বিবেচনায় রাখা উচিৎ। তাই যদি পস্তাতে না চান তাহলে নিচের বিষয় গুলো খেয়াল করুন-

১- গাড়িতে জটিল কোন আঘাত কিংবা মেরামতের চিহ্ন আছে কি?
যখন আপনি প্রথম বিক্রেতার সাথে দেখা করবেন গাড়িটি দেখার জন্য, সময় নিয়ে নিবিড়ভাবে নিরীক্ষণ করুন। গাড়ির বডিতে দুর্ঘটনার ফলে কোনো আঘাত কিংবা সারাইয়ের চিহ্ন থাকার কথা না যদি না বিক্রেতা পূর্বেই আপনাকে কোনো সতর্কতা দিয়ে থাকে গাড়ির ড্যামেজ সম্পর্কে। আঘাতের ফলে সৃষ্ট গর্ত, দাগ পড়া, জং ধরা, কোনো পার্টস না থাকা অথবা ভাঙ্গা গ্লাস, এমন জরুরি যেকোনো কিছুই আপনার জন্য বিপদজনক। বাইরের অপরিপক্কতার দুটো কারণ হতে পারে, হতে পারে এটি গাড়ির বর্তমান মালিকের অবহেলার ফলাফল অথবা গাড়িটি কোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। প্রথম কারণটি মেনে নেয়া গেলেও দ্বিতীয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। তাই প্রথমে তদন্ত করে দেখুন সহজে সমাধানযোগ্য কোনো সমস্যা কিনা, তা না হলে গাড়িটি না কেনাই শ্রেয়। বাইরের পর্যবেক্ষণ শেষ হলে ভেতরটাতেও নজর দিন। গাড়ির সিট, মেঝে-ছাদের দাগ, নোংরা কিংবা বাজে গন্ধ আছে কিনা ভালো করে পরীক্ষা করুন। যদি আপনার মনে হয় বিক্রেতা আপনার আসার ঠিক আগেই গাড়িটির কোনো কিছু সাময়িক ভাবে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন এবং চেষ্টাটা যে অতি সম্প্রতি, তা যদি আপনার চোখে ধরা পড়েই যায়, তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন বিক্রেতা আরো অনেক সমস্যাই আপনার কাছে লুকিয়ে যাচ্ছেন হয়তো। অদক্ষ হাতের সারাই, নতুন রং করা এসব দেখে সহজেই বুঝে ফেলা উচিত বৃহৎ সমস্যা ভেতরে লুকোনো, এসব ক্ষেত্রে গাড়িটি না কিনে পাশ কাটানোই উত্তম।

২- গাড়িটি কত কিলো চলেছে বা মাইলেজ কত-
গাড়িটি কোথা থেকে কিনছেন সেই উৎসটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এটা হতে পারে কোনো বন্ধুর, কোনো অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখেও আগ্রহী হতে পারেন, কিংবা বিক্রেতা হতে পারে পুরনো গাড়ি বেচাকেনা করার কোনো তৃতীয় পক্ষের ব্যবসায়ী। সাধারণত যত্নের সাথে ব্যবহৃত একটি গাড়ি অনেক বেশি মাইল চললেও তা অযত্নে থাকা কম ব্যবহৃত গাড়ির থেকে ভাল সেবা দিয়ে থাকে। তাই গাড়ি কোন হাতে কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, তা জানাও জরুরি। তারপরও মাইলেজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা বহন করে। সাধারণত ১,২০,০০০ মাইল পর্যন্ত চলা কোনো গাড়িকে বিবেচনা করা যেতে পারে, এর চেয়ে বেশি মাইল চলে থাকলে তা থেকে সরে আসাই ভাল। বরং আমরা পরামর্শ দেবো ৫০,০০০ মাইলের কম কিছু পেলে তা নিতে এবং এর থেকে বাড়লেও সর্বোচ্চ ৩০,০০০ মাইল উপরে যাবেন, তার বেশি কখনোই নয়। তবে আরেকটি ব্যাপার মাথায় রাখা উচিত, অডোমিটার ম্যানুয়ালি কাস্টোমাইজ করে নেওয়া যায়। তাই বিক্রেতা যদি সংখ্যাটি আগেই পরিবর্তন করে থাকেন, তাহলে এ থেকে গাড়ির সত্যিকারের অবস্থা জানা সম্ভব নয়।

৩-বিক্রেতার বয়স কত?
আপনি যদি কারো ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে বিক্রেতার গতিপ্রকৃতির দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন।কম বয়সী কারো গাড়ি কেনা তুলনামূলক ঝুঁকিপূর্ণ। গাড়িটি যদি কমবয়সী কারো হয়ে থাকে, যেমন কিশোর- কিশোরী অথবা মধ্য পঁচিশ, সেক্ষেত্রে খুব সম্ভাবনা থাকে যে তারা গাড়িটি বেপরোয়া চালনায় অভ্যস্ত। তরুণ বয়সীরা গতির দিকে বেশি আগ্রহী থাকে। গাড়ি চালানোর সময় সঙ্গী যাত্রীর সাথে মজা করে, ফোনে কথা বলা কিংবা চ্যাট করে থাকেন অনেকে। খেতে খেতেও এক হাতে অনেকে গাড়ি চালাতে ভালোবাসেন। তাই ফলাফল হিসেবে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যদিও আপনার চোখে আপাতভাবে ধরা নাও পড়তে পারে। এসব দিক থেকে ভাবলে ত্রিশোর্ধ কারো গাড়ি কেনাটা তুলনামূলক নিরাপদ।

৪- দীর্ঘমেয়াদী খরচ হিসাব করা?
পুরাতন গাড়ি কেনার সবচেয়ে বড় কারণই কিছুটা কমে পাওয়া, কিছু খরচ বাঁচানো। তবে এই বাঁচানো টাকা খুব বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে না যদি গাড়িটি দুদিন পরপরই মেকানিকের কাছে পাঠাতে হয় একটা দুটা করে পার্টস বদলানোর জন্য। তাই গাড়ির যন্ত্রাংশগুলো কোনটি কী অবস্থায় আছে, খারাপ অবস্থায় যেসব আছে, তা বদলে নিতে কী পরিমাণ খরচ হতে পারে কতদিন পরে, সেসব বিষয় নিয়ে একটু হিসাব-নিকাশ করেই মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিন, তাতে হয়তো ভবিষ্যতের অনেক বড় সমস্যায় পড়া থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।

৫- কেমন দামে পাচ্ছেন গাড়িটি?
দাম যেকোনো কিছু কেনার ব্যাপারেই অত্যন্ত বিবেচ্য বিষয়, বিশেষ করে গাড়ির মতো বড় খরচের ব্যাপারে তো বটেই। বিক্রেতার কাছে থেকে বর্তমানে নতুন ও পুরনো গাড়ির দাম জানার পর তাই ভালভাবে যাচাই-বাছাই করুন, ক্রয় পরবর্তী খরচের হিসাবটাও মাথায় আনুন, সবকিছু মিলিয়ে ধীরে সুস্থে সিদ্ধান্ত নিন গাড়িটি সত্যিই আপনি এমন দামেই কিনতে চান কিনা। যদি মনে হয় বিক্রেতা বেশি দাম চাইছে, দামাদামি করে তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке