''ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শূদ্র কে.? আলোচক প্রভুপাদ প্রেম গোপাল গোস্বামী ৷৷ @Gour_Katha
জানুন পবিত্র বেদ এর আলোকে, আমি জ্ঞানের ব্রাহ্মণ, যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষত্রিয়, ব্যাবসা বানিজ্যের বৈশ্য, কর্মক্ষেত্রের শুদ্র। আমার বর্ণের সাথে কর্মের সম্পর্ক, জন্মের সম্পর্ক নয়। জন্মগত বর্ণ বলতে আমার কিছু নেই।
'ব্রাহ্মণ কে.?...
'যে ঈশ্বরের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত,অহিংস,সৎ,নিষ্ঠাবান,সুশৃঙ্খল, বেদ প্রচারকারী,বেদ জ্ঞানী সেই ব্রাক্ষ্মণ। ঋগ্বেদ, ৭/১০৩/৮
'ব্রাক্ষ্মনরা নিজো স্বার্থত্যগ করে কাজ করবেন, বেদ পড়বেন, এবং তা
অপরকে শেখাবেন'। মনুসংহিতা, ১/৮৮
১) মন নিগ্রহ করা,
২) ইন্দ্রিয়কে বশে রাখা,
৩) ধর্মপালনের জন্য কষ্ট স্বীকার করা,
৪) বাহ্যান্তর শুচি রাখা,
৫) অপরের অপরাধ ক্ষমা করা,
৬) কায়-মনো-বাক্যে সরল থাকা,
৭) বেদ-শাস্ত্রাদিতে জ্ঞান সম্পাদন করা,
৮) যজ্ঞবিধি অনুভব করা,
৯) পরমাত্মা, বেদ ইত্যাদিতে বিশ্বাস রাখা,এই সবই হর ব্রাহ্মণের স্বভাবজাত কর্ম বা লক্ষণ।। গীতা, ১৮/৪২
'ক্ষত্রিয় কে.?...
'যে দৃঢ়ভাবে আচার পালনকারী, সৎ কর্ম দ্বারা শুদ্ধধ, রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন, অহিংস, ঈশ্বর সাধক, সত্যের ধারক ন্যায়পরায়ণ ,বিদ্বেষমুক্ত ধর্মযোদ্ধা,অসৎ এর বিনাশকারী সে ক্ষত্রিয়। (ঋগ্বেদ, ১০/৬৬/৮)
'ক্ষত্রিয়রা বেদ পড়বে, লোকরক্ষা ও রাজ্য পরিচালনায় নিযুক্ত থাকবে।" (মনুসংহিতা, ১/৮৯)
১) শৌর্য,
২) তেজ বা বীর্য,
৩) ধৈর্য,
৪) প্রজা প্রতিপালনের দক্ষতা,
৫) যুদ্ধে পশ্চাদপসরণ না করা,
৬) মুক্ত হস্তে দান করা,
৭) শাসন করার ক্ষমতা,এগুলি হল ক্ষত্রিয়ের স্বাভাবিক কর্ম। গীতা ১৮/৪৩
'বৈশ্য কে.?...
'যে দক্ষ ব্যবসায়ী,দানশীল চাকুরীরত এবং চাকুরী প্রদানকারী সেই বৈশ্য। অথর্ববেদ, ৩/১৫/১
'বৈশ্যরা বেদ পড়বে,ব্যবসা ও কৃষিকর্মে নিজেদের নিযুক্ত থাকবে।মনুসংহিতা, ১/৯০
১) চাষ করা,
২) গো-রক্ষা করা,
৩) ব্যবসা-বাণিজ্য ও সত্য ব্যবহার করা,এগুলি হলো বৈশ্যদের স্বাভাবিক কর্ম। গীতা ১৮/৪৪
'শূদ্র কে.?
যে অদম্য,পরিশ্রমী,অক্লান্ত জরা যাকে সহজে গ্রাস করতে পারেনা, লোভমুক্ত কষ্টসহিষ্ণু সেই শূদ্র।
ঋগ্বেদ, ১০/৯৪/১১
'শুদ্ররা বেদ পড়বে, এবং সেবা মুলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে।মনুসংহিতা, ১/৯১
বৈশ্যদের স্বভাবজাত কর্ম এবং সর্ব চার বর্ণের সেবা করাই হলো শূদ্রদের স্বাভাবিক কর্ম। গীতা, ১৮/৪৪, চতুর্বর্ণের কর্মগুণে।
'চাতুর্ব্বর্ণ্যন ময়া সৃষ্টং গুণকর্ম্মবিভাগশঃ।
তস্য কর্তারমপি মাং বিদ্ধকর্তারমব্যয়ম্।। গীতা, ৪/১৩
অনুবাদঃ-প্রকৃতির তিনটি গুণ ও কর্ম অনুসারে আমি মানব-সমাজে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র চারটি বর্ণবিভাগ সৃষ্টি করেছি। আমি এই প্রথার স্রষ্টা হলেও আমাকে অকর্তা এবং অব্যয় বলে জানবে।
'বিশ্লেষণঃ-ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র, এই বর্ণচতুষ্টয় গুণ এবং কর্মের বিভাগ অনুসারে আমি সৃষ্টি করেছি। জীবেদের গুণ এবং কর্ম অনুসারে আমি ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র,তাদের চার বর্ণের সৃষ্টি ভাগ করি। কিন্তু এই সৃষ্টি-রচনা প্রভৃতির কর্মগুলি কর্তৃত্ব ও ফলেচ্ছা পরিত্যাগ করেই করি।।
To receive regular updates on devotional songs subscribe to us on the following link: / @gour_katha
--------------------------------------
** More kirtan videos**
=====================
🙏ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র চতুর্বর্ণ জন্মের ভিত্তিতে নাকি গুণ ও কর্মের ভিত্তিতে নির্ধারিত
#ব্রাহ্মণ_ক্ষত্রিয়_বৈশ্য_শূদ্র
#ক্ষত্রিয়_কে
#শূদ্র_কে
#Gour_Katha
#Probhupad_Prem_Gopal_Goswami
#গৌর_কথা
#adham_narottom
#GOURNITAI_MEDIA
#Gourkatha
🙏 জয় নিতাই 🙏
►For bookings and work queries: [email protected]
DISCLAIMER Some contents are used for educational purpose under fair use. copyright disclaimer under section 107 of the copyright act 1976 allowance is made for fair use for purposes such as criticism comment news reporting teaching scholarship and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. non-profit educational or personal use tips the balance in favour of fair use all credit for copyright material used in video goes to the respected owner.
Thanks for Watching।
Информация по комментариям в разработке