রাজনীতি করতে পারবে না শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ! | awami league | অন্তর্বর্তীকালীন সরকার | bnanews24

Описание к видео রাজনীতি করতে পারবে না শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ! | awami league | অন্তর্বর্তীকালীন সরকার | bnanews24

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাসিবাদী দলের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়। দেশের রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের এখন আর কোনো স্থান নেই’। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার মনোভাবের বিষয়টি জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন মনোভাব প্রকাশ পাওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা- সমালোচনার ঝড় বইছে।

ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর অন্তর্বর্তী সরকার এখনই ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইবে না। তিনি বলেন, ‘স্বল্প সময়ের জন্য হলেও শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই—আওয়ামী লীগেরও কোনো জায়গা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, রাজনৈতিক কাঠামোকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, নিজ স্বার্থ হাসিলে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।’

আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, এখানে রাজনৈতিক দলগুলো ‘ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, ‘তাদের রাজনীতির জায়গার বিষয়ে দলগুলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে’।
প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো শেখ হাসিনার ১৫ বছরের বেশি সময়ের শাসনামলে তাঁর দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে ভোটে কারচুপি, বিচারবহির্ভূত হত্যা ঘটানো এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কুক্ষিগত করার অভিযোগ করেছে।

শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে—দলটির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সাময়িকভাব স্থগিত করা হবে, না দলটির সংস্কার হবে, নাকি দলটিকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে।

শেখ হাসিনা ভারতে কোথায় আছেন, তা পরিষ্কার নয়। সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে বলেছেন, তাঁদের দল ‘যেকোনো সময় নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত’।
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। রায়ের পর ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে আমরা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাব। রায় হওয়ার আগে কিছু করার আছে বলে আমি মনে করি না

ড. ইউনূস বলেন, তাঁর সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে চাইবে। তবে তা শুধু তখনই, যখন দেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসে এই ট্রাইব্যুনাল থেকে শেখ হাসিনা এবং আরো ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

ড. ইউনূস বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার বা রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো বিভিন্ন বিষয়ের নিষ্পত্তি করা এবং নতুন একটি সংস্কারসূচির বাস্তবায়ন। নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করব।’

অর্থনীতির সাবেক অধ্যাপক এবং স্বতন্ত্র গুণের অধিকারী ‘গরিবের ব্যাংকার’ ড. ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। এর আগে তিনি শেখ হাসিনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন, সমালোচকরা যে বিষয়টিকে প্রতিহিংসা বলে উল্লেখ করেছেন। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে দুজন ছাত্রনেতা রয়েছেন। এই পরিষদ নতুন নির্বাচন সামনে রেখে ভিত্তি তৈরির কাজ করছে।

ড. ইউনূসের ধারণা, আওয়ামী লীগ ভেঙে যেতে পারে। তবে গুরুত্বের সঙ্গে এ কথাও বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না। কারণ এটি ‘কোনো রাজনৈতিক সরকার’ নয়। সাক্ষাৎকারে ইউনূসের সরকার নতুন সংসদীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে উল্লেখ করলেও নির্বাচন কখন হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке