Скачать или смотреть একদিনের জন্য আল্লাহর কাছে বেশি আমলকারী হিসাবে গণ্য হওয়ার যিকির।

হাসতে হাসতে জান্নাতে পৌঁছাবে যে আমল

সব মুসলমানের ধ্যান-জ্ঞান একটা-ই হওয়া উচিত-আল্লাহকে পাওয়া। তাকে পেতে হলে ওঠতে-বসতে, নিদ্রায়-জাগরণে, সকাল-সন্ধ্যা, দিন-রাতে, ঘরে-বাইরে একমনে একধ্যানে পরম ভালোবাসায় দয়ালু মাওলাকে ডাকা উচিত। আর আল্লাহকে ডাকার নাম-ই হচ্ছে জিকির।

কেন জিকির করব?

কারণ জিকির মনের শান্তি ও আত্মার তৃপ্তি। মহান আল্লাহ বলছেন, যারা মুমিন (আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী) তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; আর জেনে রেখ– আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায় [সুরা রা’দ, আয়াত নং ২৮]

এ আয়াত থেকে কী বুঝলাম? মুমিন মুসলমানের যদি আত্মার প্রশান্তি দরকার হয়, তা হলে নিরিবিলি পরিবেশে চুপচাপ এক মনে আল্লাহর জিকির করতে হবে।

অবশ্যই, তোমাকে আল্লাহ স্মরণ করবেন। শর্ত হলো– তুমিও আল্লাহকে স্মরণ করবে। কথাটি আল্লাহ নিজেই কোরআনে বলেছেন।

আল্লাহপাক বলেন, সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ (জিকির) কর, আমিও তোমাদের স্মরণ করব। আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়োনা [সুরা বাক্বারা, আয়াত নং ১৫২]


জিকিরের উপকারিতা

১. জিকিরের ফজিলত সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জিকির করে আর যে করে না তাদের দৃষ্টান্ত হলো জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মতো। {বোখারি শরিফ, হাদিস নং ৬০৪৪}

২. রাসুলে আরাবি (সা.) আরও বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার বলবে, সে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সওয়াব লাভ করবে, তার নামে ১০০টি সওয়াব লেখা হবে ও তার আমলনামা হতে ১০০ গুনাহ মুছে ফেলা হবে।

উচ্চারণ :‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আ'লা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর’

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। রাজত্বও তার। প্রশংসা শুধু তারই। তিনিই সব কিছুর সর্বশক্তিমান।

আর সে সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকবে। কেয়ামতের দিন কেউ তার থেকে ভালো আমল আনতে পারবে না, একমাত্র সেই ব্যক্তি ব্যতীত যে তার থেকে বেশি নেক আমল করেছে {বোখারি শরিফ, হাদিস নং ৬০৪০}

আল্লাহর জিকিরে কী লাভ কোরআন ও হাদিসের আলোকে তা যখন জানলেন, তখন চুপচাপ বসে থাকার সুযোগ আছে?

সিদ্ধান্ত আপনার, আমলনামাও আপনার। যেমন কর্ম তেমন ফল।

জিকিরের মাধ্যমে যদি আল্লাহকে পাওয়া যায়, তখন আর কবর, হাশর, পুলসিরাতের ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হবে না ইনশাআল্লাহ। হাসতে হাসতে জান্নাত।

দোয়াটি পড়ার ৫ ফজিলত বা মর্যাদা
এ দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ যে ৫টি পুরস্কার দান করবেন তাহলো-
***আল্লাহ তাআলা তাকে ১০ জন গোলাম বা ক্রীতদাসকে স্বাধীন করার কিংবা ১০ জন বন্দি মানুষকে মুক্ত করার সাওয়াব দান করবেন।
***আল্লাহ তাআলা তাকে ১০০ নেকি দান করবেন।
***আল্লাহ তাআলা তার ১০০ গোনাহ মাফ করবেন।
***ওই দিনের জন্য তাকে শয়তানের আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দান করবেন।
***ওই দিন আল্লাহর কাছে এ ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ বেশি আমল পাবে না। তবে যে ব্যক্তি এ দোয়াটি ১০০ বারের চেয়েও বেশি পাঠ করবে, তার কথা ভিন্ন।

হাদিসে পাকে এ দোয়াটি সকাল ও বিকাল ১০ বার করে পাঠ করার কথাও এসেছে। যে যত বেশি এ দোয়াটি পাঠ করবে, তার মর্যাদা তত বেশি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার মাধ্যমে উল্লেখিত নেয়ামতগুলো লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

#shortsvideo #shortsislamic #shortsislam #shortsislamicvideo #youtubeshorts #youtubeshort