Скачать или смотреть মোংলা বন্দর দেখতে কত সুন্দর।

মংলা বন্দর (Mongla Port) বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর। নিচে এর উৎপত্তি, ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণসহ বর্ণনা দেওয়া হলো:

উৎপত্তি ও প্রতিষ্ঠা

মংলা বন্দরের ভিত্তি হিসেবে প্রথম চিহ্ন পাওয়া যায় “চালনা (Chalna)” নামক স্থানে, যা পটুয়াখালি ও খুলনা অঞ্চলে পাসুর নদীর উপরে ছিল।

গেজেট বিজ্ঞপ্তি PD‑4(48)/50/1 অনুসারে, চালনা বন্দরকে বিদেশী জাহাজের জন্য খোলা হয় ১১ ডিসেম্বর ১৯৫০ তারিখে।

১৯৫৪ সালে ওই কার্যক্রম ধীরে ধীরে মংলা এলাকায় শিফট করা হয়, কারণ সেখানে গভীরতা বেশি ছিল এবং বড় জাহাজ চালনা সহজ ছিল।

১৯৮৭ সালে “চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ (Chalna Port Authority)” কে “মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (Mongla Port Authority)” হিসেবে পুনঃনামকরণ করা হয়।

সুতরাং, আপনি যদি “উৎপত্তি” দ্বারা অর্থ করেন বন্দর কার্যক্রম শুরু হওয়া — তাহলে ১৯৫০ সালকে বলা যায় মংলা বন্দরের কার্যক্রমের সূচনা।

ভৌগলিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

মংলা বন্দর অবস্থিত বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলা, সেলাবুনিয়া মৌজাতে, পাসুর (Pashur) ও মংলা নদীর সঙ্গমে।

খুলনা শহর থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত, এবং বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে জুনোযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।

ইতিহাস ও উন্নয়ন ধাপ

নিচে মংলা বন্দরের বিভিন্ন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বিশ্লেষণ করা হলো:

সময় / পর্যায়অবস্থা ও চ্যালেঞ্জপরিবর্তন ও উন্নয়নপ্রথম দশক (১৯৫০–৬০)চালনা বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত, তুলনামূলকভাবে ছোট জাহাজ দের আগমনমংলা অংশে ধীরে ধীরে জাহাজ সুবিধাজনক করার জন্য শিফট করা১৯৬০–১৯৮০গভীরতা সংকট, নাব্যতা হ্রাসমাঝে মাঝে ড্রেজিং (নদী খনন) করা হয়েছে১৯৮০–২০০০অনেকসময় বন্দর কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্তপ্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সংস্কার বিলম্বিত২০০০ এর পরনতুন উদ্যোগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি, আরও জাহাজ আগমননাব্যতা বৃদ্ধির জন্য ড্রেজিং প্রকল্প গ্রহণ ও বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ শুরুবর্তমান ও ভবিষ্যৎনতুন চীনা অর্থায়ন প্রকল্প, জেটি উন্নয়ন, গভীরতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা২০২৪–২০২৮ সালের মধ্যে আধুনিকীকরণ ও প্রসারিত করার পরিকল্পনা চলছে

বর্তমান অবস্থা, গুরুত্ব ও সীমাবদ্ধতা

মংলা বন্দর বর্তমানে বাংলাদেশের একমাত্র কার্যকর দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর, যার মাধ্যমে দেশের পশ্চিম অংশ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বাণিজ্য আনা-নেওয়া হয়।

বন্দরে বর্তমানে কয়টি জেটি ও ঘাট রয়েছে ও জাহাজের ড্রাফট (নাব্যতা) সীমা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করার কাজ চলছে।

সীমাবদ্ধতা: গভীরতা হ্রাস (নাব্যতা কমে যাওয়া), ড্রেজিং প্রয়োজন, জলবায়ু ও নদীর স্রোতের পরিবর্তন, অবকাঠামোগত সীমা।

সম্প্রতি চীনের অর্থায়নেও বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে কনটেইনার হ্যান্ডলিঙ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির জন্য।

প্রতি বছর নতুন নতুন রুট ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বন্দরকে আরও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

সারমর্ম

মংলা বন্দরের কার্যক্রম মূলত ১৯৫০ সালে শুরু হয় (চালনা নামে) এবং ১৯৫৪ সালে মংলা এলাকায় স্থানান্তরিত হয়।

এটি বাগেরহাট জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অঞ্চলীয় যোগাযোগে বড় ভূমিকা রাখে।

গভীরতা বৃদ্ধির, অবকাঠামো সংস্কার, আধুনিকীকরণ ও ব্যয়বহুল প্রকল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।