Скачать или смотреть ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ: উঠে এলো কতদিন পর নির্বাচন চান মানুষ | Bangladesh Election | TheReport.Live

ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ: উঠে এলো কতদিন পর নির্বাচন চান মানুষ |
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরই, বাংলাদেশের অন্যতম আলোচনার বিষয় নির্বাচন। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচন দেয়ার দাবি জানাচ্ছে। ভোটের কথা উঠছে অন্যান্য মহল থেকেও। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে সঠিক কোনো উত্তর মিলছে না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নির্বাচন নিয়ে এক জরিপ চালিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর কেমন আছে বাংলাদেশ, কী ভাবছেন দেশের নাগরিকরা, এ বিষয়ে অক্টোবরের ১৩ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশব্যাপী একটি জরিপ করে ভয়েস অব আমেরিকা।
সেই জরিপে উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থাৎ ৬১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এক বছরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তবে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে, বেশির ভাগ মানুষ, অর্থাৎ ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে, তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। আর শুধু মাত্র নির্বাচন সংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে ভোট দিতে হবে, এমন মত জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতার।
ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার এডিটোরিয়াল নির্দেশনা অনুযায়ী, জরিপটি পরিচালনা করেছে গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড। ভয়েস অফ আমেরিকার ঠিক করে দেয়া সুনির্দিষ্ট প্রশ্নমালার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার এসিস্টেড টেলিফোন ইন্টারভিউইং এর মাধ্যমে দেশের আটটি বিভাগে ১৮ বছরের বেশি বয়সী এক হাজার মানুষের জরিপে অংশ নেয়। জরিপটি করা হয়, র‍্যান্ডম ডিজিটাল ডায়ালিং পদ্ধতিতে।
অংশ নেওয়াদের মধ্যে নানা ধরনের মত দেখা গেছে। ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা ভোট চান দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে। আর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ১৮ মাসের মধ্যে ভোট চেয়েছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার চার বছর থাকুক, এটার পক্ষে মত দিয়েছেন সবচেয়ে কম মানুষ। মাত্র ৫ দশমিক ৮ শতাংশ জনগণ চার বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় পর নির্বাচন হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন সরকার নানা ধরনের সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বড় ধরনের সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ যেটুকু সংস্কার না করলেই নয়, শুধু সেটুকু করেই বর্তমান সরকারের উচিত ভোট দেয়া।
তবে কবে ভোট হবে, তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো স্পষ্ট অবস্থান জানায়নি। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে একটি ধারণা দেন। সেনাপ্রধান বলেন, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সে জন্য তিনি যে কোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করবেন।
কয়েকদিন আগে আল জাজিরাতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে একটা ধারণা দেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিশ্চিতভাবেই চার বছরের কম হবে। আরও কম হতে পারে। এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে মানুষের চাওয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়ার ওপর।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে আলোচনার মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের আরেক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন হতে পারে ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে।
নির্বাচন নিয়ে এরকম আলোচনার মধ্যেই ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ প্রকাশিত হলো।

#TheReportlive #bangladesh #election #interimgovernment #voa #অন্তর্বর্তীসরকার #বাংলাদেশ #নির্বাচন