Скачать или смотреть ইসলামে সকল প্রকার জীবের প্রতি সহানুভূতি ও করুণা প্রদর্শনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইসলাম অর্থসংগ্রহের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করলেও, তা নৈতিকতা, বিনয় এবং ইবাদতের মর্যাদা রক্ষার সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে।
​🚫 ১. ইবাদতের সময় চাঁদা তোলার উপর আপত্তি
​জুমার মর্যাদা লঙ্ঘন: কুরআন (সূরা আল-জুমুআ ৬২:৯) আযানের পর "আল্লাহর স্মরণের দিকে ছুটে যেতে" নির্দেশ দেয়। এই সময়ে দুনিয়াবি ঘোষণা, হিসাব-নিকাশ বা চাঁদা তোলা ইবাদতে বিঘ্ন ঘটায়।
​খুতবার সময় নীরবতা: খুতবার সময় কথা বলা নিষিদ্ধ (হাদিস: আবু দাউদ ১০৫০)। সেই ফজিলতের সময়ে মাইকে দীর্ঘ চাঁদার ঘোষণা মনোযোগ আরও বেশি নষ্ট করে।
​দানের আদব নষ্ট: ঘোষণা দিয়ে বা চাপ সৃষ্টি করে দান করানো ইখলাস (আন্তরিকতা) নষ্ট করে এবং মানুষকে দেখানোর (রিয়া) প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে (সূরা আল-বাকারা ২:২৬৪)।
​✅ ২. অর্থসংগ্রহের ইসলামী পদ্ধতি
​ইসলাম উৎসাহ দিতে বলে, কিন্তু চাপ সৃষ্টি করতে বারণ করে।
​রাসূল ﷺ সাহাবিদের দান করার প্রতি উৎসাহ দিতেন। এরপর সাহাবায়ে কেরাম স্বেচ্ছায় দান করতেন—কেউ মাইক ধরতেন না বা জোর করতেন না (সহিহ মুসলিম ১০১৭)।
​❌ ৩. যা ইসলাম সমর্থন করে না
​বক্তার বিলাসী পারিশ্রমিকের জন্য গরিবদের উপর চাঁদার চাপ।
​মাইক ধরে বা মানুষকে বিব্রত করে জোর করে চাঁদা তোলা।
​রাস্তায় গাড়ি আটকে বা পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করে অর্থ সংগ্রহ।
​নামাজ বা খুতবার ফজিলতপূর্ণ সময়ে ঘোষণা করা।
​🕌 ৪. মসজিদ-মাদ্রাসার জন্য ৪টি বৈধ ও টেকসই পদ্ধতি