Скачать или смотреть গরিব মানুষের বউয়ের আবার ইজ্জত কি? তাইতো হাজার টাকায়, ধর্ষণের ঘটনার মীমাংসা করেছে ইউ:পি: চেয়ারম্যান !

পাবনার জেলার, বেড়া উপজেলার, চাকলা ইউনিয়নের, ঈদগাহ মাঠে অবস্থিত, সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের, গত ৩১ জানুয়ারির ঘটনা এটি। ১০ হাত নাকে খত, জুতাপেটা ও এক হাজার টাকা জরিমানা করে, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার অভিযোগ উঠেছে চাকলা ইউ:পি: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ইতোমধ্যে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কারাগারেও পাঠিয়েছে পুলিশ। সারাদেশে এত ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে, তারপরও এ ঘটনাটিকে নিয়ে মূখ্য করে কথা বলছি কারণ, ইউ:পি: চেয়ারম্যান একজন শপথবদ্ধ মানুষ বা জনপ্রতিনিধি। তার একটি আদালতও রয়েছে, যার নাম গ্রাম আদালত। তাহলে তিনি চাইলেই কি, আইনের বাহিরে যেয়ে, যা খুশি তাই করতে পারেন? জবাবটি হচ্ছে না। আমরা জানি, উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে চেয়ারম্যান সাহেবরা উপস্থিত থাকেন। উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত মিটিংগুলোতে উপস্থিত থাকেন। এছাড়াও বহু দপ্তরের বহু মিটিংয়ে তারা অংশগ্রহণ করেন। তাহলে চাকলা ইউনিয়নের ঐ চেয়ারম্যান সাহেব শিখলেন টা কি? না কি গরিব মানুষের বউয়ের আবার ইজ্জত কি? আইনি অধিকার কি? যাখুশি তা একটা শালিস দরবার করলেই চলে ?


ভুক্তভোগীর, দিনমজুর স্বামী, গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রশ্ন করেছে আমার স্ত্রীর ইজ্জতের মূল্য কি এক হাজার টাকা? সেখানে আমাকে অনেক ভয় দেখানো হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেছে- তু্ই যদি মামলা-মোকাদ্দমায় যাস, তাহলে আমি বলে দেব, তুই তোর স্ত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাস। এজন্য আমি প্রথমে পুলিশের কাছে যাইনি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’ যারা শালিস করেছে তাদেরও বিচার চাই।

চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার বলেন, ‘আমার কাছে উভয় পক্ষ আসলে, আমি স্থানীয় মেম্বারদের সহযোগিতায়, একটি সালিশী বৈঠক করেছি। আমাদের শালিস পছন্দ না হলে যা খুশি করবে।


আমাদের বক্তব্য, একজন মানবাধিকার সংগঠক ও কর্মী হিসেবে, আমরা চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

যেহেতু, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের, জনস্বার্থে দায়িত্ব ও কার্যাবলি 'স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯' দ্বারা নির্ধারিত করা হয়েছে । বিধায় চাকলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধর্ষনের মত গুরুত্বপূর্ণ ফৌজদারি দন্ডনীয় অপরাধের বিচার করে, নিজেই একটি দন্ডনীয় অপরাধ করেছেন। আবার দম্ভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীর স্বামীকে, হুমকি দিয়েছেন। যা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী অসদাচরণ বলে গণ্য হয় । 

আমরা অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাই । 'লিগ্যাল এ্যাসিসটেন্স ফর ভালনারেবল সোসাইটি-লিভস' আইনি সহায়তা ও মানবাধিকার রক্ষা সংস্থা হিসেবে প্রত্যাশা করে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা প্রদান করবেন, এবং স্বেচ্ছাচারী শপথবদ্ধ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান দৃষ্টান্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।


#লিগ্যালএ্যাসিসটেন্সফরভালনারেবলসোসাইটিলিভস #মানবাধিকার #পথেরকথন #ধর্ষন #চাকলাইউপিচেয়ারম্যান #পাবনা #একহাজারটাকায়ধর্ষনেরবিচার #ধর্ষনেরবিচারজুতারবাড়ি #অঞ্জনসরকার #anjansarker #legalassistanceforvulnerablesocietyleavs #leavs