Скачать или смотреть কেন আমেরিকা, কানাডা সহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে খাবার তেল হিসেবে সরিষার তেল নিষিদ্ধ করেছে?

আপনি কি জানেন আমেরিকা, কানাডা সহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের  দেশগুলোতে খাবার তেল হিসেবে সরিষার তেল নিষিদ্ধ?
অনেকেই হয়তো জানেন না।

ঐসব দেশে যারা থাকেন তারাও বলবেন, কই আমরা তো এখানকার দোকানগুলো থেকেই সরিষার তেল কিনি। নিষিদ্ধ হলে কেন পাওয়া যায়?
নিষিদ্ধ হলেও ওইসব দেশে পাওয়া যায় এবং আপনারা কিনেন এটাও ঠিক আছে। বিষয়টি জানার আগে আমিও নিউইয়র্কের জেকসন হার্টসের আপনা বাজার থেকে কিনেছিলাম।   কিন্তু কখনো কি খেয়াল করে দেখছেন এর লেবেলে কি লেখা আছে?
খেয়াল করে দেখুন cooking oil হিসাবে যে তেলগুলি আমরা জানি সেগুলোর লেভেলের গায়ে কি কোথাও লেখা আছে এক্সটার্নাল ইউস অনলি? না নাই।
কিন্তু সরিষার তেলের লেভেল এর মধ্যে লেখা আছে এক্সটার্নাল ইউস অনলি।    
এর মানে হচ্ছে এই তেল খাওয়া যাবে না।শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহার করার জন্য।
সরিষার তেল খাবার তেল হিসেবে  সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কিভাবে তাহলে পাওয়া যায়। পাওয়া যায় ইন্ডিয়ান কিংবা বাঙালির চিকন বুদ্ধির কারণে।  ব্যবসায়িক বাটপারি  বুদ্ধি। উন্নত দেশগুলির  আইনের ফাক ফোকর দিয়ে ঠিকই বিক্রি করছে ।
সরিষার তেল খাবার তেল হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে কিন্তু মাসাজ তেল হিসেবে নিষিদ্ধ করে নাই। চিকন বুদ্ধির ব্যবসায়ীরা সরিষার তেলকে  বডি মাসাজ তেল হিসেবে কাগজপত্র দেখিয়ে আমদানি করে  আর আমরা প্রবাসীরা খাবার তেল হিসেবে কিনে নিয়ে আসি।

এখন চলুন জেনে নেই কেন উন্নত দেশগুলি সরিষার তেল নিষিদ্ধ করেছে। কেন এটি শরীরের জন্য বিষ।
 
শরীরে  ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ফুসফুসের সমস্যা সরষের তেল থেকে হতে পারে অনেক কিছুই।
পরপর বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে সরষের তেলে ৪২ থেকে ৪৭ শতাংশ ইউরিক অ্যাসিড থাকে। সেই সঙ্গে থাকে ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড। আর এই ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের পক্ষে বিষ। যে কারণে বেশি পরিমাণ সরষের তেল খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়ে।

সরষের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ইরেটিক অ্যাসিড। যা হার্টের জন্য মোটেই ভালো নয়। বেশি সরষের তেল কিংবা ঝাল মশলাদার খাবার খেলে হতে পারে মায়ো-কার্ডিয়াল লিপি-ডোসিস। যা শরীরে বেশি পরিমাণ ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি করে হার্টের ক্ষতি করে। যেখান থেকে হার্ট ফেলের সম্ভাবনা থাকে প্রবল।

ইরেটিক অ্যাসিড ফুসফুসের জন্যেও খুব ক্ষতিকর। বেশি পরিমাণ সরষের তেল খেলে প্রথমে ফুসফুসের উপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ক্ষতি না আটকালে ধীরে ধীরে ফুসফুস আরও ড্যামেজ হয়। যেখান থেকে ক্যানসার হতে পারে।

সরষের তেল পরিশোধন করলেই তাতে উপস্থিত হয় ক্ষতিকর যৌগ অ্যালাইল আইসোথিয়োকানেট। যার ফলে মুখে জ্বালা করে। সেই সঙ্গে ফুসফুস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট প্রভৃতিতে প্রদাহ সৃষ্টি করে।

ত্বকের উপর সরষের তেলের বেশ কিছু ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। সরষের তেল এপিডার্মিসের ক্ষতি করে ত্বকের জলীয় অংশের পরিমাণ কমিয়ে দেয়য়। সেই সঙ্গে এপিডার্মাল কেরাটিনোসাউটগুলির গঠনগত পরিবর্তনও ঘটে। যার ফলে ত্বকে ফোসকা পড়ে। যে কারণে বাচ্চাদের সরষের তেলে মালিশ এড়ানোর পরামর্শ দেন বর্তমান ভালো চিকিৎসকেরা।

হবু মায়েদের এমনিই বেশি মশলাদার খাবার খেতে বারণ করা হয়। সেই সঙ্গে সরষের তেলও। কারণ এর মধ্যে থাকে বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ। যা ভ্রূণের গঠনে বাধা দেয়। সেই সঙ্গে রাসায়নিক যৌগের প্রভাবে গর্ভপাতও হতে পারে।

সবার ভালোর জন্য তথ্যটা শেয়ার করলাম। এবার শরীরের জন্য বিষাক্ত এই সরিষার তেল খাবেন কি খাবেন না তা  একান্ত আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।

আজ এ পর্যন্তই আসবো নতুন কোন ভিডিও নেই সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

পিঁপড়া মামুন
pipramamun

#pipramamun
#newyork