Скачать или смотреть হিমোফিলিয়া রোগ কি?? ডাঃ মোঃ মারুফ আল হাসান

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস ২০২৫

১৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে #হিমোফিলিয়া_দিবস। ১৯৮৯ সাল থেকে ওয়ার্লড ফেডারেশন অফ হিমোফিলিয়া এর উদ্যোগে প্রতিবছর এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
#হিমোফিলিয়া_দিবসের উদ্দেশ্য হলো, হিমোফিলিয়া সম্পর্কে গনসচেতনতা বৃদ্ধি করা ও আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহন করা।বাংলাদেশে প্রায় ১৮০০০ – ২০০০০ হাজার হিমোফিলিয়া রোগী থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সচেতনতার অভাবে শনাক্ত হয়েছে মাত্র ৩০০০ থেকে ৩৫০০ হাজার যা খুবই কম। জনবল ,দক্ষতা, সচেতনতার অভাবে বাংশাদেশে এখনও ৭০% হিমোফিলিয়া রোগী সঠিক রোগ নির্নয় থেকে বঞ্চিত, যা অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়।
এখন আমরা জানবো হিমোফিলিয়া সম্পর্কে
হিমোফিলিয়া কি?
#হিমোফিলিয়া (Hemophilia) হলো বংশগত বা জিনগত রক্তপাত জনিত সমস্যা, যেখানে শরীর রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।
হিমোফিলিয়া দুইধরনের হয়ে থাকে।
১। হিমোফিলিয়া- এ ( ক্লটিং ফেক্টর ৮ এর অভাবে হয়)
২। হিমোফিলিয়া – বি ( ক্লটিং ফেক্টর ৯ এর অভাবে হয়)

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন হিমোফিলিয়া প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন:
• পরিবারের ইতিহাস ও রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় ।
• নিয়মিত প্রফিল্যাকটিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনে #ক্লটিং_ফ্যাক্টর ব্যবহার করে রক্তপাত বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
• রোগী ও পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ
• দেশজুড়ে আরও বেশি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ
চিকিৎসা:
• প্রধান চিকিৎসা হলো ইনজেকশনের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণে ক্লটিং ফ্যাক্টর (Factor VIII বা Factor IX) দেওয়া।
• বাংলাদেশে এই ওষুধগুলো তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ সবসময় থাকে না।
হিমোফিলিয়া সম্পর্কে আমাদের সকলকে সতর্ক হতে হবে। সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসাই পারে হিমোফিলিয়া প্রতিরোধ করতে


আলোচনা করছেনঃ

থ্যালাসেমিয়া, রক্তরোগ ও রক্ত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ

ডাঃ মোঃ মারুফ আল হাসান
এমবিবিএস (আরএমসি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (হেমাটোলজি), সিসিডি (বার্ডেম), এমএসিপি (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ
রেজিস্ট্রার, হেমাটোলজি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল