Скачать или смотреть বিশ্বের সেরা ৮ টি স্পেশাল এলিট ফোর্স !!

বিশ্বের সেরা ৮ স্পেশাল এলিট ফোর্স।
Visit our channel: https://bit.ly/2Vfgntx
Visit Our Facebook Page: https://bit.ly/2XTBenn

একটি দেশের শক্তি বৃদ্ধিতে এলিট স্পেশাল ফোর্সের জুড়ি নেই। এরা সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অদম্য ফোর্স। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, প্রশিক্ষিত সেনারাও যেখানে যেতে সাহস করনে না, এলিট স্পেশাল ফোর্স সেখানে চলে যান অনায়াসে। তারা হুমকি চিহ্নিত করেন, কৌশলে কাজ উদ্ধার করেন এবং মিশন সফল করে বেরিয়ে আসেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অতি শক্তিশালী এলিট ফোর্স রয়েছে। এদের মধ্যে তুলনা করা খুব কঠিন বিষয়। তবে এদের র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে। একটি দেশের গোটা সেনাবাহিনী যথেষ্ট হয়। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে এলিট স্পেশাল ফোর্সগুলোই ভরসা। এখানে জানা যাবে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ও ক্ষমতাশালী ৮টি স্পেশাল এলিট ফোর্সের পরিচয়।

পাকিস্তানের দ্য স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ বা এসএসজি রয়েছে তালিকার আট নম্বরে। দেশে এরা 'ব্ল্যাক স্টোর্কস' নামে পরিচিত। এদের মাথায় পরা বিশেষায়িত হেডগিয়ারের জন্যে এ নাম পেয়েছে। মৌলিক প্রশিক্ষণে অস্ত্র-গোলাসহ যাবতীয় মালামালসহ এদের ১২ ঘণ্টায় ৩৬ মাইল এবং ৫০ মিনিটে ৫ মাইল দৌড়াতে হয়। ২০০৯ সালের অক্টোবরে এসএসজি কমান্ডোরা তালিবানের দখলে থাকা আর্মি হেডকোয়ার্টার ভবনে অভিযান চালিয়ে ৩৯ জনকে উদ্ধার করেন।

স্পেনের ইউনিদাদ ডি অপারেসিয়োনেস এসপেসিয়ালস ২০০৯ সালে নাভাল স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ফোর্স নামে পরিচিতি লাভ করে। এরা ইউরোপের অন্যতম সেরা স্পেশাল ফোর্সের একটি। ১৯৫২ সালে এটি মূলত অ্যাম্ফিবিয়াস ক্লাইম্বিং কম্পানি ইউনিটের ভলান্টিয়ার হিসাবে গঠিত হয়। পরে একে এলিট ফাইটিং ফোর্স হিসাবে গড়ে তোলা হয়। এদের গ্রিন বেরেট উপাধি পেতে হয়। তবে সহজে মেলে না। প্রমিক্ষণ ও কর্মদক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থতায় প্রয়োজনে সবাইকে বাদ দেওয়া হয়।

বিশ্বের সেরা স্পেশাল ফোর্সদের মধ্যে অন্যতম রাশিয়ার আলফা গ্রুপ। ১৯৭৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করে কেজিবি। আধুনিক যুগে তা এফএসবি-এর অংশ হিসাবে কাজ করছে। ২০০২ সালে সন্ত্রাসী বাহিনী একটি থিয়েটার দখল করলে সাধারণ মানুষ উদ্ধারে তাদের অপারেশন সমালোচনার মুখে পড়ে। সন্ত্রাসীদের কাবু করতে তারা যে গ্যাস ব্যবহার করেন, তাতে মৃত্যুবরণ করেন ১২৯ জন মানুষ।

পৃথিবীতে যতগুলো কাউন্টারটেরোরিজম ফোর্স রয়েছে তাদের কেউ ফ্রাসেস ন্যাশনাল গেন্ডারমেরি ইন্টারভেনশন গ্রুপ বা জিআইজিএন-এর সঙ্গে তুলনীয় নয়। সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাধারণ মানুষ অপহরণ বা আটক পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ গ্রুপে রয়েছেন ২০০ জন উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে এরা মোট ৬০০ মানুষকে উদ্ধার করে।

ইসরায়েলের সায়েরাত মাতকাল পৃথিবীর আরেকটি সেরা এলিট ফোর্স। এটা শত্রুদের বিরুদ্ধে গভীর সব অপরেশন পরিচালনা করে থাকে। এদের চরম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক এবং মনোবিজ্ঞানীরা তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। টিকে থাকারাই এ গ্রুপের সদস্য হতে পারেন। ২০০৩ সালে ইসরায়েলি ট্যাক্সি ড্রাইভার ইলিইয়াহু গুরেল ৪ জন প্যালেস্টাইনিকে নিয়ে জেরুজালেম পৌঁছে দেন। পরে তাকেই আবার অপহরণ করা হয়। এই চালককে পরে উদ্ধার করনে স্পেশাল ফোর্স।

ব্রিটিশ স্পেশাল এয়ার সার্ভিস বেশিরভাগের কাছে এসএএস (সাস) নামেই পরিচিত। এরা স্পেশাল বোট সার্ভিসের ইনফ্যানট্রি কাউন্টারপার্ট। ইরাক যুদ্ধে সাস-এর গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইউএস জেনারেল স্ট্যানলি ম্যামক্রাইস্টাল বলেছিলেন, অতি জরুরি ছিল। তাদের ছাড়া এ কাজ করা সম্ভব হতো না।

স্পেশাল বোট সার্ভিসের ইউকে নেভি সিলস আরেকটি পেশাদার গ্রুপ। ব্রিটিশ সাস ও এরা সম পর্যায়ের স্পেশাল ফোর্স। বেলিজের রেইন ফরেস্টে ব্যাপক ট্রেনিং এবং টিকে থাকার লড়াই ইত্যাদিতে পাস করতে হয়।
ইউএস নেভি সিলস মেরিনদের সেরা। এদের সদস্যরা কঠিন প্রশিক্ষণে অভ্যস্ত। দুই মিনিটে ৪২টি বুকডন, দুই মিনিটে ৫০ ডন বৈঠক এবং ১১ মিনিটে দেড় মাইল দৌড়ানোর সক্ষমতা থাকতে হবে। এ ক্ষমতা অর্জনেই পর মূল প্রশিক্ষণ শুরু হয়।