সুদ দেওয়া হারাম, সুদ খাওয়া হারাম, এবং সুদের সাক্ষী থাকাও হারামঃ ডা. জাকির নায়েক
আমরা জানি, পৃথিবীতে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ হচ্ছে আপন মায়ের সাথে যিনা করা। আর সেটার থেকেও নিকৃষ্ট কাজ আমরা অনেকেই করে থাকি। অনেকেই জেনে বুঝে করে আসছি আবার অনেকেই না বুঝে করছি। আর সেই সেই গুনাহটি হচ্ছে আমাদের অতি পরিচিত একটি কাজ তা হচ্ছে সুদ খাওয়া। সুদ খাওয়ার ৭০টি গুনাহের মধ্যে ১টি হচ্ছে নিজ মায়ের সাথে যিনা করা।
হাদীসে উল্লেখ আছে: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লা’নত করেছেন, সুদখোরের উপর, সুদদাতার উপর, এর লেখকের উপর ও উহার সাক্ষীদ্বয়ের উপর এবং বলেছেন এরা সকলেই সমান (মুসলিম, জাবির (রাঃ), আবূ দাউদ, তিরমীযী)
অপর এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সুদ হল সত্তর প্রকার পাপের সমষ্টি । তার মাঝে সবচেয়ে নিম্নতম হল-আপন মায়ের সাথে ব্যভিচার করা (ইবনে মাজাহ) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সা:) নিশ্চয়ই যে অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্যে নির্ধারিত রয়েছে জাহান্নাম। (বুখারী, মিশকাত)
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেন: শবে মেরাজ রাতে আমাকে উর্ধ্বলোকে বিচরণ করানোর সময় আমি আমার মাথার উপরে সপ্তম আকাশে বজ্রে প্রচন্ড গর্জনের শব্দ শুনতে পেলাম। চোখ মেলে এমন কিছু লোক দেখতে পেলাম, যাদের পেটগুলো বিশাল ঘরের মত সামনের দিকে বের হয়ে আছে। তা ছিলো অসংখ্য সাপ ও বিচ্ছুতে পরিপূর্ণ। যেগুলো পেটের বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাঈল (আ:) ! এরা কারা? তিনি উত্তরে বললেনঃ এরা সুদখোরের দল। (ইবনে মাযা ও আহমদ)
হযরত আবদুর রহমান ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, যখন কোন জাতির মধ্যে ব্যভিচার ও সুদ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে, তখন আল্লাহ পাক সেই জাতিকে ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। (আবু ইয়া’লা ও হাকেম) সুদ থেকে অর্জিত এক দিরহাম পরিমাণ অর্থ ইসলামের দৃষ্টিতে ৩৬ বার ব্যভিচার করা অপেক্ষা গুরুতর অপরাধ (ইবনে মাজা, বায়হাকী)
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠান, সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত, ইসলাম কী বলে?
হযরত সামুরা বিন জুনদুব (রা:) থেকে বর্ণিত। নবীয়ে আকরাম (সা:) বলেছেন: আজ রাতে আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, দু’জন লোক আমার কাছে আগমন করে আমাকে এক পবিত্র ভূমির দিকে নিয়ে চলছে। যেতে যেতে আমরা রক্তে পরিপূর্ণ এক নহরের পাড়ে দাঁড়ালাম। এ সময় আমরা দু’জন লোককে দেখতে পেলাম, একজন এ নহরের মাঝে দাঁড়ানো, আরেকজন নহরের পাড়ে দাঁড়ানো। কিনারে দাঁড়ানো লোকটির সম্মুখে অনেকগুলো পাথর। নহরের ভিতরে দাঁড়ানোর লোকটি কিনারার দিকে আসতে ইচ্ছা করলে, পাড়ের লোকটি তার মুখে স্বজোরে পাথর নিক্ষেপ করে যে, লোকটি পুনরায় পূর্বেকার জায়গায় পৌঁছে যায়। সে যতবারই পাড়ে আসতে চায় ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। রাসূলে আকরাম (সা:) জিজ্ঞাসা করলেন: এ লোকটি কে? যার মুখে পাথর নিক্ষেপ করা হচ্ছে। উত্তরে বলা হল: এ হচ্ছে সুদখোর ব্যক্তি (বুখারী)
রাসূলুল্লাহ্ (সা:) তার স্বপ্ন সম্পর্কে এক দীর্ঘ হাদীসের একাংশে বলেন: সুদখোর মৃত্যুর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত আযাব দেয়া হবে। আর তার আযাব হবে, তাকে এমন নদীতে সাঁতার কাটতে হবে, যার পানি হবে রক্তের মত লাল। সুদের ভিত্তিতে দুনিয়ায় বসে সে সম্পদ সঞ্চয় করেছে আর হারাম সম্পদ সঞ্চয় করার জন্য তাকে আগুনের পাথর খেতে হবে। এটাই হচ্ছে কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত বরযাখী জীবনের শাস্তি এর সাথে থাকবে তার প্রতি আল্লাহ্র অভিশা। (বূখারী) কোন ব্যক্তির এক দিরহাম পরিমান সুদ উপার্জন করা মুসলমান অবস্থায় তেত্রিশ বার যিনা করা হতেও বেশি গুনাহের কাজ (তাবরানী)
সুদের গুনাহ সত্তরটি। তার মধ্যে অপরাধের দিক থেকে সর্বনিম্ন গুনাহটি হল, আপন মায়ের সাথে যৌনাচারের গুনাহের সমান। আর সবচেয়ে জঘন্য প্রকারের সুদ হলো, সুদের পাওনা আদায়ের জন্য কোন মুসলমান ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি করা বা তার সম্পদ দখল করা। (ইবনে মাজা, তাবারানী)
এর থেকে বুঝা যায় যে সুদের গুনাহ্ নিজ মায়ের সাথে যিনা করার করার থেকেও মারাত্মক গুনাহ্। অর্থাৎ তার শাস্তি হবে যিনার পাপের থেকেও মারাত্মক। আল্লাহ্ই সর্বাপেক্ষা ভাল জানেন। আসুন আমরা এই নিকৃষ্ট গুনাহের কাজ পরিহার করে আল্লাহর কাছে তওবা করি। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের এসব নিকৃষ্ট কাজ থেকে হেফাজত করুন।
======================== Needs and Advice ==================== ✔Email:- [email protected] ✔Phone:- +8801706-917791 ☺ ===========FOLLOW US=============☺ SUBSCRIBE►LIKE►COMMENT►SHARE► ►► / peacewazbd ►► / shantitv ►► / peacewazbd ►► / mkhalilurr ►► / khalilurrahma. . ◉ প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও দেখতে চ্যানেলটি Subscribe করুন !! ▶ ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন, শেয়ার করুন আর অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করুন!! ▶ Copyright Disclaimer : Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use. If you like the video, please like, comment and share it with your friends. Don't forget to subscribe. I have two more channels to visit. Hope you see something better. Thanks. @peace waz bd @শান্তি টিভি - shanti tv #peacewazbd #সুদ _রিবা #Zakir_Naik
Информация по комментариям в разработке