১৯৭১ - হুমায়ূন আহমেদ 1971 - Humayun Ahmed
হুমায়ূন আহমেদের লেখা “১৯৭১” একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভয়াবহতা, ত্যাগ, ও বীরত্বকে তুলে ধরে। এটি এসএসসি পাঠ্যসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ বই এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা, ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে।
📌 কাহিনির সংক্ষেপ:
উপন্যাসটি মূলত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের একটি গ্রামের মানুষের জীবনচিত্র তুলে ধরে। পাকিস্তানি বাহিনীর আগ্রাসন, গ্রামবাসীদের প্রতিক্রিয়া, ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ—এসবই গল্পের মূল উপজীব্য। গল্পের চরিত্রগুলো বাস্তবসম্মত, যাদের মধ্যে আছে মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ গ্রামবাসী, রাজাকার, ও নির্যাতিত নারীরা।
📌 প্রধান চরিত্রসমূহ:
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস "১৯৭১" আমাদের নিয়ে যায় নীলগঞ্জ নামের এক ছোট্ট গ্রামে, যেখানে যুদ্ধের ছায়া ধীরে ধীরে নেমে আসে। এই উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলো প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধের বাস্তবতা তুলে ধরে।
The novel "1971" by Humayun Ahmed takes us to the small village of Neelgonj during the Liberation War of Bangladesh. As war looms over the village, each character brings a unique perspective on the struggles, fears, and resilience of that time.
🔸 মীর আলী – সত্তরোর্ধ্ব এক অন্ধ বৃদ্ধ, যিনি শব্দ সহ্য করতে পারেন না এবং নীরবতা ভালোবাসেন।
🔸 বদিউজ্জামান (বদি) – মীর আলীর বড় ছেলে, মধুবন বাজারে ছোট্ট একটা দোকান চালান, প্রতিদিন সাত মাইল পথ হেঁটে বাড়ি ফেরেন।
🔸 আনুফা – বদির স্ত্রী, শ্বশুরের দেখাশোনা করেন এবং পরিবারের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল।
🔸 জয়নাল মিয়া – গ্রামের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, অনেক সম্পত্তির মালিক এবং বাজারে দুইটি দোকান আছে। তিনি দ্বিধাগ্রস্ত ও সবার মন জয় করতে চাওয়া একজন মানুষ।
🔸 ইমাম সাহেব – নীলগঞ্জ মসজিদের ইমাম, রহস্যময় এক চরিত্র যিনি অজানা কারণে এই গ্রামে এসেছেন এবং এখানে বসবাস করছেন।
🔸 আজিজ মাস্টার – নীলগঞ্জ প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অসুস্থ ও দুর্বল মানুষ, যিনি কবিতা লিখতে ভালোবাসেন।
🔸 মেজর এজাজ আহমেদ – পাকিস্তানি বাহিনীর একজন কর্মকর্তা, যিনি পঞ্চাশজন সৈন্য নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করেন।
🔸 রফিক – মেজর এজাজের সঙ্গী, যিনি গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান পরিচালনায় সাহায্য করেন।
🔸 মনা – গ্রামের জেলেদের একজন, যার সাথে ছোট ভাই সহ এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
🔸 পাগল বদি – গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, যার চরিত্র যুদ্ধের ভয়াবহতার মাঝে এক ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ করে।
---
📌 উপন্যাসের মূল বার্তা:
“১৯৭১” উপন্যাসটি শুধু মুক্তিযুদ্ধের গল্পই নয়, এটি দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, আত্মত্যাগ ও স্বাধীনতার মূল্য বোঝানোর একটি অনন্য দলিল। যুদ্ধের ভয়াবহতা, নারীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, বিশ্বাসঘাতকদের ভূমিকা, ও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব—এসবই চিত্রিত হয়েছে বইটিতে।
এই বইটি শুধু এসএসসি শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে চাইলে সবারই পড়া উচিত!
Информация по комментариям в разработке