Скачать или смотреть একজন মুক্তিযোদ্ধার গল্প | Freedom Fighter Sub Major Abdul Mabud Chy | Coxsbazar

সুবেদার মেজর আব্দুল মাবুদের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৫ মে। আব্দুল মাবুদ ১৮ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দশম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বাবার আদেশে দল বেধে তরুণদের সাথে যুদ্ধে যান। পরে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের আগরতলায় চলে যান। সেখানে বিভিন্ন সিমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর অধীনে ৫০ দিনের একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরে কুমিল্লায় এসে থার্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেন।

যুদ্ধক্ষেত্র'র মধুর স্মৃতি নিয়ে কথা প্রসংগে তিনি বলেন, গেরিলা স্টাইলে মুখে গায়ে কালি মেখে ও মাথায় পাতার ঝুপড়ি পরিধান করে যখন যুদ্ধ এর মাঠে যেতেন তখন পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী দূর থেকে দেখে ভয়ে পালাতেন। প্রথম প্রথম আমরা হাতে ডামি অস্ত্র হাতে যুদ্ধে যেতাম তখন বুঝতাম না এই অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধের মাঠে ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের দলে অনেকের হাতে রিয়েল অস্ত্র ছিলো আবার নতুনদের হাতে ডামি অস্ত্র থাকতো। পরে যখন কয়েকটি মিশনে যাওয়া যুদ্ধের মাঠে পরিস্থিতি সহ অস্ত্র চালানোর পারদর্শীতা অর্জন করি তখন আমাদের রিয়েল অস্ত্র দিয়ে সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন গ্রুপের সাথে যুদ্ধে পাঠাতো। পরে ১৯৭২ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করে।

সেসময় পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরর অনেক যুবকদের ধরে ধরে জেলে ভরে দিতো। এবং তাদের কথা না শুনলে গুলি করে মেরে ফেলতো।

এই ভয়ে আমাদের বাবা-মা ঘর থেকে বের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের ডাকে যুদ্ধক্ষেত্রে চলে যায়। অল্প বয়সে তখন বুঝতামই যুদ্ধ কত ভয়ংকর। সেসময় বাড়ির আত্বীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগের তেমন কোন উপায়ও ছিলো না।
বিভিন্ন টিমে যখন ভাগ করা হতো তখন নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয়। তাদের বেশিরভাগ ছিলো স্কুল কলেজের ছাত্র। উঠতি বয়সী সেসময় সাহসও ছিলো দুরন্তর।

ভাবতে অবাক লাগে সেসময় গ্রেনেড কি জিনিস ও কি ভয়ংকর তা বুঝতামই না। শুধু এইটুকু জানতাম এটি লক খুলে দিয়ে শত্রুর জায়গায় নিক্ষেপ করলে শত্রুর দারুণ ক্ষতি হতে পারে। পরে সেনাবাহিনীতে যখন এই গ্রেনেড নিয়ে প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন অভিযানে গিয়েছি তখন বুঝতে কি ভয়ংকরা জিনিস সেই তরুণ বয়সে সহজে নিয়েছি।