আড়ং-এর একচেটিয়া ব্যবসার আড়ালে: কারিগরদের শোষণ নাকি বাজারের আধিপত্য? | Aarong & BRAC Power
আড়ং—বাংলাদেশের ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডের এক সুপরিচিত নাম। ১৯৭৮ সালে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ এই প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের স্থানীয় কারুশিল্প এবং হস্তশিল্পকে বাণিজ্যিকভাবে সফল করে তোলা। আজ, আড়ং দেশের অন্যতম বৃহৎ এবং প্রভাবশালী ব্র্যান্ড। কিন্তু এই জনপ্রিয়তার আড়ালে কি কোনো একচেটিয়া ব্যবসার মডেল লুকিয়ে আছে? চলুন, খুঁজে দেখি এর পেছনের বাস্তবতা। প্রথমেই আসি, আড়ং-এর বর্তমান অবস্থার দিকে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৩০ টি আউটলেট রয়েছে, যেগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিস্তৃত। আড়ংয়ের উৎপাদন ও বিক্রয় কার্যক্রমে প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি কারুশিল্পী যুক্ত আছেন, যারা বিভিন্ন ধরনের পোশাক, গয়না, হোম ডেকর, এবং অন্যান্য হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরি করেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, আড়ং কি শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, নাকি এটি একচেটিয়া বাজার তৈরির দিকে যাচ্ছে? অনেকেই অভিযোগ করেন, আড়ং স্থানীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসার সুযোগ কমিয়ে দিয়েছে এবং বাজারে দামের ভারসাম্য নষ্ট করছে। অনেক সময় দেখা যায়, সাধারণ হস্তশিল্পের একটি পণ্য স্থানীয় কারিগরদের থেকে অনেক কম দামে কেনা হলেও, আড়ং সেটি উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। এই অভিযোগের বিপরীতে আড়ং-এর যুক্তি হলো, তাদের পণ্যগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ এবং ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়। আড়ং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কারুশিল্পীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য বাজার তৈরি করা, যেখানে তারা তাদের শ্রমের সঠিক মূল্য পাবেন।" তবে, প্রশ্ন থেকেই যায়—এই ব্যবসায়িক মডেল কি স্থানীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে? ২০১৯ সালে আড়ং-এর বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযোগ ছিল, একটি পাঞ্জাবি ৭০০ টাকায় বিক্রি করার পর সেটির দাম বাড়িয়ে ১৩০০ টাকা করা হয়েছিল। এ ঘটনার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই ধরনের ঘটনার ফলে অনেক গ্রাহক প্রশ্ন তুলেছেন, আড়ং কি শুধু ব্র্যান্ডিংয়ের নামে উচ্চমূল্যে পণ্য বিক্রি করছে,
এই প্রথম নয়, এর আগেও আড়ং-এর বিরুদ্ধে একাধিক সমালোচনা উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তারা কারুশিল্পীদের কাছ থেকে পণ্য কম দামে কিনে নেয় এবং সেই পণ্যগুলো বহুগুণ বেশি দামে বিক্রি করে। অনেক কারুশিল্পী অভিযোগ করেছেন, আড়ং-এর নির্ধারিত মূল্যে তারা কাজ করলেও প্রকৃত লাভের বড় অংশ প্রতিষ্ঠানই নিয়ে যায়। একাধিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আড়ং-এর সঙ্গে কাজ করা অনেক কারুশিল্পী ন্যায্য পারিশ্রমিক পান না। অনেক সময় তাদের কাজের মূল্য নির্ধারণ করা হয় কোম্পানির সুবিধামতো, যা বাস্তবে শ্রমের প্রকৃত মূল্যকে প্রতিফলিত করে না। অন্যদিকে, অনেক কারুশিল্পীর অভিযোগ, তাদের কাজের স্বীকৃতি দেয়া হয় না। পণ্য বিক্রির সময় আড়ং নিজেদের ব্র্যান্ডকে বেশি গুরুত্ব দেয়, ফলে যারা পণ্য তৈরি করেন, তাদের কৃতিত্ব চাপা পড়ে যায়।
Keyword:
আড়ং,ওয়ারী আড়ং,আড়ং উত্তরা,আড়ং জরিমানা,ধানমন্ডি আড়ং আউটলেট,ওয়ারী আড়ংয়ে একদিন,ঢাকার সেরা আড়ং কালেকশন,আড়ং ওয়ারী আউটলেট থেকে শপিং,আড় আর্থ,dhaka vlogger abida,aarong shopping vlog,eid collection 2025,aarong dress shopping,aarong shopping,dress design,ideas,আড়ং শপিং,shopping,shopping vlog,shopping video,dress,eid shopping,eid,ramadan,viral video,bengali shopping,bengali video,bangla vlog,bangladesh,new video,idea,tips,shopping idea
Информация по комментариям в разработке