#thebongsuspense

Описание к видео #thebongsuspense

বিকালে অফিস থেকে ফেরার সময় বিষন্ন মনে একটা বেঞ্চের উপর বিমলকে বসে থাকতে দেখে। হকচকিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো অর্ক! পাকা আমের মত টকটকে গায়ের রং মানুষটার। মন খারাপ থাকলে, মুখের রং একেবারে উড়ে যায়. আর সত্যি অর্ক লক্ষ করে দেখলো। এখন বিমলের মুখের রং পুরোটা যেনো উড়ে আছে! বেচারা বিবর্ণমুখে পার্কের এক কোণের বেঞ্চিতে চুপচাপ বসে আছে। চোখেমুখে একরাশ আতংক যেনো তার। দেখে মনে হচ্ছে কত রাত যেন সে ঠিকমত ঘুমোতে পারেনি।

তা বন্ধুর এমন হাল কেন জানার জন্য অর্ক এগিয়ে গেলো বিমলের দিকে! রেলিং টপকিয়ে কাঠের বেঞ্চটির কাছাকাছি গিয়ে বিমলের আপাদমস্তক আরও একবার খুঁটিয়ে দেখে নিলো অর্ক! আর মনে মনে ভাবলো.. আসলেই কি এই মানুষটা তার বন্ধু বন্ধু বিমল? নাকি বিমলের মত দেখতে অন্যকেউ? তবে অর্কর মনের ভিতরে উদয় হওয়া প্রশ্নের উত্তরটা তৎক্ষনাৎ বিমল নিজেই দিয়ে দিলো! অর্ককে দেখে কাতর কণ্ঠে বোলে উঠলো!

Bimol :- বন্ধু আমাকে বাঁচা। টানা একটা সপ্তা ঘুম নামক বস্তুটা আমার জীবন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। এভাবে আর কয়েকটা দিন চললে আমি বোধহয় মরেই যাব।

হকচকিয়ে উঠলো অর্ক! তবে মানুষটা যে অর্কর বন্ধু বিমল সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ রইলো না তার । বিমলের পাশের খালি জায়গাটিতে বসে অর্ক ওকে জিজ্ঞেস করলাম!

অর্ক :- কি এমন হয়েছে ভাই! চেহারার এই অবস্থা কেন? এমন কি করেছিস যে রাতে ঘুম আসছেনা?

বিমল কিছুক্ষণ হাঁটুর দিকে মাথা নিচু করে থাকে। তারপর আবার অর্কর দিকে ফ্যালফ্যালে চোখে কয়েক মূহুর্ত তাকিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বলতে শুরু করে সে!

Bimol :- ঘটনার শুরু হয়ছে গত মঙ্গলবার থেকে। তুই তো জানিস আমি ব্যাচেলর মানুষ, কয়েকজনার সাথে ঘর সেয়ার করেই থেকেছি এতদিন।তোকে সেদিন বলেছিলাম না! অফিসের কাছাকাছি একটা এককামরার ঘরের খোঁজ পেয়েছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ব্যাচেলর ঘর ছেড়ে ওইখানেই উঠবো।'

অর্ক :- হ্যাঁ,তাতো বলেছিলিস। তা উঠেছিস নতুন ঘরে?

Bimol :- 'হ্যাঁ। কিন্তু সমস্যা বাড়ি নিয়ে নয়। সমস্যাটা অন্যখানে।

অর্ক :- একটু ঝেড়ে কাশ তো ভাই। আমি এতো ঘোরানো কথা বুঝিনা।কি হয়েছে সবটা খুলে বল আমাকে।


বিমল এইবার একটু গলা ঝাড়া মেরে নিজের দুহাত দিয়ে চোখ দুটো একবার ভালো করে মুছে নিলো! তার পর নড়েচড়ে বসে বলতে শুরু করলো।

Bimol :- ঘরটা যেদিন দেখতে গেলাম! দেখেই বেশ ভালো লাগলো জানিসতো! তা চটজলদি Broker কে হ্যাঁ বলে ঘরের চাবি নিয়ে নিলাম!চাবি টা হাতে নিয়ে সোজা এলাম মেসবাড়ির দিকে। এতদিন যাদের সাথে ঘর Share করে ছিলাম তাদের বললাম আগামী মাস থেকে আমি এই মেস ছেড়ে দেবো! তারা.. খুব একটা জোরাজোরি করলো না। তা মেসে থাকাকালীন আমরা সবাই কিছু কিছু করে টাকা দিয়ে ঘরের সবকিছু ভাগাভাগি করে কিনেছিলাম! তাই মেস ছেড়ে দেওয়ার সময় তেমন কোনকিছুই সঙ্গে করে নিয়ে যাইনি নতুন ঘরে। ঐ কিছু Tubelight, একটা বালতি আর জামাকাপড় ব্যাস! ভেবেছিলাম নতুন ঘরে আবার সবকিছু নতুন করেই কিনবো। আর কিছুদিনের ভেতরে ব্যবহারের সবকিছু কিনেও নিয়েছিলাম। তবে ঝামেলাটা শুরু হলো যবে থেকে একটা অপয়া বিছানা ঘরে আনলাম সেদিন থেকে।

বিমলের কথা একটু থামতে অর্ক বিমলকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলো!
অর্ক :- অপয়া বিছানা টা কি জিনিস ভাই? শোবার খাট অপয়া হয় নাকি! হ্যাঁ.... হাহাহাহা..

অর্ক এই বলে একটু হেসে উঠলো ! কিছুক্ষন পর বিমলের মুখে ভারী বিষন্নতা দেখে আবার চুপ করে গেলো! আর মনে মনে ভাবলো.. সামনের মানুষটার মনে কি চলছে, সেটা নিজের সাথে না ঘটলে কোনোদিনো তার টের পাওয়া যায়না!

যাইহোক!

অর্ক আবার বিমলকে জিজ্ঞেস করে! :- আচ্ছা পরেরটা বল..

Bimol :- তুই তো জানিস আমি প্রতি মঙ্গলবার গৌহাটে অনেক নতুন, পুরাতন আসবাবপত্র সহ নানান জিনিস দেখতে যাই। তো সেদিন আমি অফিস থেকে ফেরবার পথে গৌহাটের এক কোণে রাখা একটা পালঙ্ক দেখলাম! একবার দেখাতে বেশ চোখে লাগলো জানিসতো। খাটটা পুরোনো আমলের হলেও দেখতে ভারি চমৎকার। একদম রাজবাড়ী টাইপের। আর খাটের নকশাগুলো এতটাই নিখুঁত যে দেখলে চোখ ফেরানো যায়না! তা আমার মাথায় এলো.. আমার বাড়িতে কোনো বিছানা নেই! এতদিন শুধু Blanket পেতে ঘুমোচ্ছি আমি। তাই ভাবলাম খাটটা যদি দামদরে হয়ে যায় তাহলে নিয়েই ফেলবো। এইসব ভেবে বিক্রেতার কাছে গেলাম তা দামের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারলাম! খাটটা কোনো পুরোনো জমিদার বাবুর শোবার খাট। তিনি মারা যাওয়ার পর বাড়ির কর্মচারী রা খাটটা পুরোনো হাটে বেঁচে দিয়ে গেছে! শুনে ভারী আশ্চর্য লেগেছিলো জানিসতো একটা এমন খাট বানাতে কত খরচা হয়েছিল ভাবলেই বুকের ভিতরটা হুহু করে ওঠে আর এরম জিনিস নাকি বাড়ির চাকর বাকর রা দিয়ে গেছে! তা তখন জিনিসটা এতটাই পছন্দ হয়েছিল আমার! আর অন্য কথায় মন যায়নি.. আবার নিক্ষুত করে দেখতে শুরু করলাম। পালঙ্ক টার কারুকার্য দেখে আমারো মনে হচ্ছিলো! এমন দূর্লভ কাঠ আর এমন নিক্ষুত হাতের কারুকার্য করা খাট নিতান্ত কোনো সাধারণ ব্যক্তির ব্যবহারের জন্য তৈরী হতে পারেনা। আমি কখনো এমন পুরোনো জিনিস কিনিনি, তবে সেদিন ওই খাট টাকে দেখার পর কেন জানিনা.. নেওয়ার মন হলো। তা দামাদামি করা শুরু করলাম। অনেক কথা কাটাকাটির পর শেষমেশ নগদ সাত হাজার টাকা দিয়ে ওই পুরোনো খাটটাকে কিনেছিলাম। তবে পরে বুঝদে পারলাম, খাট টার সবকিছুই ভালো কিন্তু ডানদিকের একটা পায়া গোড়া থেকে ভাঙা ছিলো। কিন্তু সেটা নিয়ে আমার বেশি মাথাব্যাথা ছিলো না। শেষমেশ যে পালঙ্ক টার মালিক হতে পেরেছি সেটা ভেবেই একরকম শান্তি কাজ করছিলো মনে।

লেখা ও ভাবনায় : শুভদীপ ঘোষ

কন্ঠে :
শুভদীপ ঘোষ
অঙ্কিতা ঘোষ
মধুমিতা ঘোষ
অনিমেষ পাল
সুতীর্থ পাল


পোষ্টার ডিজাইন :
শুভদীপ ঘোষ
অঙ্কিতা ঘোষ

Facebook :- https://www.facebook.com/profile.php?...

#horror #punorjonmo #horrorstories #horrorstory #thebongsuspense #goppomirerthek #horrorspecial #sundaysuspence #horrorspeacial #horrormovies
#scary #scarystories #bhoyspecial

#thebongsuspense | Jomidar babur bichana | Subhodip ghosh | #HorrorSpecial

Комментарии

Информация по комментариям в разработке