উক্ত আলোচনাটি ভালো করে পড়ুন।
নিজেকে "মুসলিম" পরিচয় দেওয়ার দলিল নায় বানীতে (মুজ্জাফর বিন মহসিন)।
কথা ক্লিয়ার আ--/হ///লে হা///দি/স অ-মু/স/লি/ম
হটকার হয় এমন হটকারও হয়! আস্তাগফিরুল্লাহ। ভিডিওর মানহাজি শায়েখ বলছে, নিজেকে "মুসলিম" পরিচয়দেয়ার দলিল নাকি নেই। "আহলে হাদিস" নামে পরিচয় দেয়ার দলিল নাকি আছে। সুতরাং মুসলিমরা নাকি নিজেদেরকে "মুসলিম" নামে পরিচয় দিতে পারবে না। বরং "সালাফি" নামে পরিচয় দিতে হবে। আবার এক মানহাজী বলছে, নিজেদেরকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত পরিচয় দেয়া যাবে। অপর মানহাজী বলছে, আহলে হাদিস নাকি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত নয়। বরং আহলে হাদিস আর আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত নাকি দুই সম্পুর্ণ ভিন্ন দল।
এতে প্রমান হয়, আজো তারা নিজেদের পরিচয়টুকুও ঠিক করতে পারে নি। অথচ তাদের দাবি, তাদের অস্থিত্ব নাকি ইসলামের শুরু থেকেই আছে। নাউজুবিল্লাহ।
তার কথাটি সরাসরি কুরআন বিরোধি। ইসলাম বিরোধি। মহান আল্লাহর মনশা বিরোধি। কারণ মহান আল্লাহ বলেন,
مِلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ،
‘তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মের উপর (তোমরা দৃঢ় থাক)। তিনি (আল্লাহ) তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ (হজ্জ ২২/৭৮)।
অত্র আয়াতে মহান আল্লাহ নিজেই মুসলিমদেরকে "মুসলিম" পরিচয়দিতে আদেশ দিয়েছেন। এবং তিনি নিজেই তার ব্যখ্যাকরে বলছেন, আমি আল্লাহ তোমাদের নাম "মুসলিম" চয়েস করলাম। কারণ তোমাদের পিতা ইবরাহীম তোমাদের নাম মুসলিম রেখেছে তাই আমি আল্লাহও তোমাদের জন্য সেই নামটা বেচে নিলাম। সুতরাং তোমরা নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিবে।
মহান আল্লাহর এই মহা নির্দেশ মোতাবেক আজ হাজার বৎসরধরে পৃথিবী জুড়ে সমস্ত ইমানদাররা নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে এসেছে। ফিতনাবাজরা আবার বিশ্ব মুসলিম জাতির জাতীয় পরিচয়, জাতিয় নাম নিয়ে ফিতনা ছড়াচ্ছে। বড় আফসুসের ব্যপার। আর কুরআনের আয়াত ও হাদিস।
(সুরা নমল ২৭/৩০-৩১)।
মহান আল্লাহ আরো বলেন, আরো স্মরণ কর, আমি হাওয়ারী[১] (শিষ্য)দেরকে এ আদেশ দিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা আমার প্রতি ও আমার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর।’ তারা বলেছিল, ‘আমরা বিশ্বাস করলাম এবং তুমি সাক্ষী থাক যে, আমরা মুসলিম ।’
(সুরা মায়িদা ৫/১১১)।
.*. হাদিসে
الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমগণ
নিরাপদ থাকে সে ব্যক্তিই প্রকৃত মুসলিম।’’ (তিরমিজি: ২৬২৭)
(আহমাদ ১৭ ১৭০, তিরমিযী ২৮৬৩, ত্বাবারানী ৩৩৫০, আবু য়্যা’লা ১৫৭১,)
◾কুরআন বলছে,
আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’? (সুরা ফুসসিলাত ৪১/৩৩)
মুসলিমদের অন্তরভুক্ত তখনই বলা যাবে যখন মুসলিমদের জাতিয় নাম মুসলিম হবে। মুসলিম জাতির জাতিয় নাম যদি আহলে হাদিস হতো তবে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত না বলে আহলে হাদিসের অন্তর্ভুক্ত বলা হতো।
জানার বিষয় হলো, ইহুদিদের দালালেরা এখন কি জবাব দিবে?
◾মানহাজি বলছেন, তিনি নাকি মুসলিম পরিচয় দেয়ার দলিল পান নি।
সরাসরি এমন পরিস্কার আয়াত থাকার পরেও দলিল না পাওয়ার কারণ কি? এর চেয়ে শক্তিশালি দলিল কি আর হতেপারে? পাবে কেন, তারাতো মুসলিম নয়। যদি মুসলিম হতো তবেইতো দলিল পেত।
তারা ভালকরে জানে, কোন জাতিকে সমূলে ধংস করতে চাইলে তাদের জাতিয় পরিচয়, জাতিয় সংস্কৃতি কেড়ে নিলে, যুদ্ধকরতে হয়না না, সেই জাতি এমনিই বিলুপ্ত হয়ে যায়।
এরাও সেই থিউরি অবলম্বনকরে মুসলিম জাতির জাতিয় পরিচয় কেড়ে নিয়ে মুসলিম জাতিকে নির্মূল নিশ্চিহ্নকরার জন্য গোপন এজেন্ডা হাতে নিয়ে নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে মাঠে নেমেছে। না হয় এমন জঘন্য কথা তারা কখনোই বলতে পারে না।
ভাবলে অবাক লাগে এদের মুকাল্লিদরা এমন জঘন্য মিথ্যাচার কিভাবে মেনে নেয়। অন্ধ অনুসারি হয়, এমন জঘন্য অন্ধ মুকাল্লিদও হয়! এসব অন্ধ মুকাল্লিদদের মাথায় কি মগজ বলতে কিছুই নেই! নাউজুবিল্লা।
.*. আহলে হাদিসের আকীদা, মুশরিক নাকি মুসলিম।
তথা কথিত আহলে হাদিস মানহাজীদের আকীদা, মুশরিকরাও নাকি মুসলিম। নাউজুবিল্লাহ। কুরআন ঘোষাণা করছে, মুশরিকরা মুসলিম নয়। মুশরিক মুশরিকই।
رُبَمَا یَوَدُّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَوۡ کَانُوۡا مُسۡلِمِیۡنَ ﴿۲﴾
কোন কোন সময় কাফিরেরা আকাংখা করবে যে, তারা যদি মুসলিম হত! (সুরা হিজর ১৫/২)
মুশরিকরা যদি মুসলিম হতো তবে তারা মুসলিম হওয়ার আকাংকা কেন পোষণ করতো? অতএব আয়াত দ্বারা প্রমান হয়, মুশরিক মুশরিকই মুশরিকদেরকে মুসলিম বলা যাবে না।
মুশরিকরাও মুসলিম, কথাটি বলা মানে গোটা ইসলামকে বিকৃতি করা। কারণ, ইসলামে মুসলিম কারা তাও বলে দেয়া হয়েছে,
মুশরিক কারা তাও বলে দেয়া হয়েছে।
وَ اِذَا رَاَ الَّذِیۡنَ اَشۡرَکُوۡا شُرَکَآءَہُمۡ قَالُوۡا رَبَّنَا ہٰۤؤُلَآءِ شُرَکَآؤُنَا الَّذِیۡنَ کُنَّا نَدۡعُوۡا مِنۡ دُوۡنِکَ ۚ فَاَلۡقَوۡا اِلَیۡہِمُ الۡقَوۡلَ اِنَّکُمۡ لَکٰذِبُوۡنَ ﴿ۚ
.*. প্রপাগন্ডার জবাবঃ
মানহাজি "আনসার, মহাজির" এর কথা বলে ধোকা দিতে অপচেষ্টা করছেন।
কত বড় জাহেল হলে, কিপরিমান মুর্খ হলে "আনসার, মহাজির" নিয়ে এমন জঘন্য মিথ্যাচার করতেপারে বুঝে আসেনা।
আনসার মহাজির কি মুসলিম জাতির জাতিয় নাম? নাকি ব্যক্তি বিশেষের বিশেষ বিশেষ কোন কাজের কারণে তাদেরকে বিশেষ উপাদি দেয়া হয়েছে? এই জালিম, নাম আর উপাদির মধ্যে পার্থক্য কি তাও জানে না।
রাসুল সঃএর হাতে যারা ঈমান এনেছেন, তারা সবাই কি নিজেদেরকে আনসার মোহাজির পরিচয় দিতেন?
আনসার আর মুহাজির পৃথক দু'টি নাম। জানার বিষয় হলো, মুসলিম জাতির জাতীয় নাম কি দু'টি? মুসলিম জাতি কি দু'ভাগে বিভক্ত?
বিশেষ কি মহা মানবদেরকে শহিদ বলা হয়েছে, মুজাহিদ বলা হয়েছে, তাহলে কি মুসলিমরা নিজেদেরকে শহিদ পরিচয় দিবে? মুজাহিদ পরিচয় দিবে? শয়তান কোথাকার।
মহান আল্লাহ মুসলিম জাতিকে মুসলিম হয়ে মরতে বলছেন। মুসলিমদের জাতিয় নাম যদি আহলে হাদিস হয় তাহলে আহলে হাদিস হয়ে কেন মরতে বলা হয় নি?
#MuslimIdentity #Fitnah #IslamicLecture #IslamInBangla #BanglaIslamicVideo #AhleHadith #IslamicKnowledge #TruthOfIslam
Информация по комментариям в разработке