Hello my favorite viewers thanks for watching my videos and subscribing to my channel. I hope you will always enjoy the entertainment and my videos and I will always try to give more entertaining videos.
Our videos are always unique and innovative; In addition, we try our best to provide videos of innovation. Today we showed তুমুল গতিতে গৌরনদী থেকে ঢাকার পথে রাজধানী লঞ্চ | Rajdhani 1 Launch | BD Launch | রাজধানী-১ লঞ্চ
Like to enjoy the whole video. Please let us know in the comment box how you like the video. Please support me and subscribe to my channel.
নদীমাতৃক বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের সকল জেলা ও উপজেলার সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম লঞ্চ সার্ভিস। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সর্বমোট ৪৫ টি রুটে এই সকল লঞ্চ চলাচল করে। ঢাকা থেকে বরিশাল, গৌরনদী, টরকী, কয়ারিয়া, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠী, মাদারীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, মংলা বন্দর, কাউখালী, চরখালী, বড় মাছুয়া, হাতিয়া, মোড়েল গঞ্জ, লালমোহন, হুলারহাট, ভান্ডারীয়া, ইচলী, দৌলতখাঁ, বোরহান উদ্দিন এবং সুরেশ্বররে উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লঞ্চ ছেড়ে যায়। লঞ্চগুলো সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়।
ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চগুলো সাধারণত সকাল ৬ টা থেকে শুরু করে রাত ১২ টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সদরঘাটের ১৩ টি পন্টুন দিয়ে যাত্রী লঞ্চে উঠানামা করে।
১৮০০ বর্গফুট থেকে ৩০০০ বর্গফুট আয়তনের লঞ্চগুলো ২৫০ থেকে ১৫০০ যাত্রী বহন করতে পারে। লঞ্চগুলোতে ভিআইপি কেবিন, ডাবল কেবিন, সিঙ্গেল কেবিন, সাইড বেঞ্চ, ফ্লোর এবং ডেকে যাত্রীদের বহনের ব্যবস্থা থাকে। এছাড়া প্রত্যেক লঞ্চেই নামাজ পড়ার আলাদা ব্যবস্থা বা জায়গা রয়েছে। এই জায়গায় এক সাথে ১৫ থেকে ৩০ জন একসাথে নামাজ পড়তে পারে।
ঢাকা সদরঘাট থেকে বিভাগীয় শহর বরিশালের যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো আকার আকৃতিতে বেশ বড় ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত পটুয়াখালী, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, ভোলা ও বরগুনার লঞ্চগুলো বরিশালের লঞ্চগুলোর তুলনায় বেশ ছোট। এসকল দূরযাত্রার লঞ্চগুলোর অনেকগুলোই আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন। বরিশালগামী বড় লঞ্চগুলো প্রায় ১,৫০০ (দেড় হাজার) যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। এই লঞ্চগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক আর আরামদায়ক সব ব্যবস্থা।
তবে ঢাকা থেকে স্বল্প দূরত্বের লঞ্চগুলো তুলনামূলকভাবে বেশ ছোট। লঞ্চের দুরপাল্লা ও স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী লঞ্চ সমূহকে আকৃতির দিক দিয়ে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
টিকিট সংগ্রহ:
১. লঞ্চের কেবিনে ভ্রমনের চাহিদা বাড়ার ফলে। এখন ৩ থেকে ৪ দিন আগে কেবিন বুকিং না দিলে পাওয়া দুস্কর।
২. শুধুমাত্র কেবিন ও সোফার ক্ষেত্রে কেবিন বুকিং দেয়া যায়। ডেকের জন্য অগ্রীম টিকিটের কোন ব্যবস্থা নেই।
৩. ফোনে ৫০% অগ্রীম দিয়ে লঞ্চের কেবিন বুকিং দেয়া যায়। অনেক লঞ্চের ক্ষেত্রে পুরোটাই অগ্রীম দিতে হয়।
৪. কোন কারণে যাত্রা বিরতি করতে চাইলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে লঞ্চ ছাড়ার কমপক্ষে দু’ঘন্টা আগে জানাতে হবে।
মালামালের ভাড়া
একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহন করতে পারে যা টিকেটের অন্তর্ভূক্ত। অতিরিক্ত মালামালের জন্য অতিরিক্ত চার্জ প্রদান করতে হয়। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ৫ ও ৮ নং গেট দিয়ে মালসহ গাড়ি সরাসরি লঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়। ভ্যান গাড়ির ভাড়া ১০ টাকা।
ক্যান্টিন:
প্রায় প্রতিটি লঞ্চেই একটি ক্যান্টিন রয়েছে। এস ক্যান্টিনে দাম স্বাভাবিক মূল্যে ১০% থেকে ২৫% পর্যন্ত বেশি রাখা হয়।
নামাজের স্থান:
সাধারনত লঞ্চের উপরের তলায় ছাদ নামাজের জন্য সংরক্ষিত থাকে যেখানে একসাথে ২০ থেকে ৫০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন।
নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা:
লঞ্চে আরোহিত যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। যেকোন দুর্যোগে যাত্রীদের জীবন রক্ষার জন্য ৮০ টি বয়া ও ১০ টি টায়ার ও অগ্নি নিরাপত্তায় ৪ টি ফায়ার বাকেট রয়েছে। এগুলো প্রতি ফ্লোরের দুই দিকে ছাদের অংশে এবং কেবিনের পাশে সারিবদ্ধভাবে সংরক্ষিত থাকে। প্রতিটি বয়া ৪ জন যাত্রী বহন করতে পারে।
জরুরী প্রয়োজনে যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ফার্স্ট এইড ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত ২ নম্বর সংকেত পর্যন্ত চলাচল করতে পারে। ৩ নম্বর সংকেত দেখা দিলে আর চলাচল করে না।
সাবধানতা
০১. বাংলাদেশে প্রতিবছর লঞ্চ দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ মারা যায়। সুতরাং অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কখনও লঞ্চে উঠা ঠিক না।
০২. নিজের ব্যাগ লাগেজ ও মালামাল নিজ দ্বায়িত্বে রাখবেন।
০৩. অপরিচিত কারও দেয়া খাবার খাবেন না।
০৪. নগদ বেশি টাকা থাকলে তা লঞ্চের মাস্টারের কাছে জমা রাখতে পারেন।
০৫. বৈধ লাইসেন্সকৃত অস্ত্র থাকলে তা লঞ্চের মাস্টারকে অবহিত করে আনসার সদস্যদের কাছে জমা রাখুন।
০৬. যাত্রা পথে লঞ্চ বয়লা (যা দ্বারা পানিতে ভেসে থাকা যায়) আছে কিনা তা লক্ষ করুন।
০৭. প্রয়োজন বোধে একটা লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে রাখতে পারেন।
০৮. চাঁদপুর মোহনা অর্থাৎ পদ্মা ও মেঘনা নদীর সংগম স্থান এখানেই বেশিরভাগ লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং চাঁদপুর এলে একটু সজাগ থাকার চেষ্টা করুন।
Информация по комментариям в разработке