Скачать или смотреть অলৌকিক শক্তিধর মোদগল্লায়ন ভান্তের নন্দোপনন্দ সাপকে দমন করার কাহিনী

অলৌকিক শক্তিধর মোদগল্লায়ন ভান্তের নন্দোপনন্দ সাপকে দমন করার কাহিনী chakma vasay
☸ ☸

নন্দোপনন্দ নাগরাজ দমন কাহিনী
একসময় তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধ পাঁচশত ভিক্ষু সহ তাবতিংস দেবলোকে যাচ্ছিলেন
যাবার পথে তাঁদের নন্দোপন্দ নাগরাজের ভবনের উপর দিয়ে যেতে হয়
প্রতিদিনকার নিয়ম অনুসারে প্রত্যূষকালে শ্রাবস্তীর জেতবন আরামে দিব্যদৃষ্টি বিস্তার করে ত্রিলোক অবলোকন করতে থাকেন ভগবান তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধ
এবং আজ কিভাবে কার উপকার করা যায় তা দেখছিলেন
তখনি দেখতে পেলেন নাগরাজ নন্দোপন্দকে
তিনি ছিলেন মিথ্যা দৃষ্টি সম্পন্ন
তাই নাগরাজকে সত্যধর্মের সুধা পান করাতে স্ব শিষ্য সহ তাবতিংস দেবলোকে যাবার সময় নাগভবনের উপর দিয়ে এমন ভাবে যাচ্ছিলেন যাতে করে নাগরাজ নন্দোপন্দের নজর কারে
তখন নাগরাজ্যে সপ্তাহ ব্যাপি উৎসব অনুষ্ঠান চলছিল

বুদ্ধ এবং ভিক্ষুগণ একএক করে নাগভবনের উপর দিয়ে যেতে লাগলেন তখন নাগরাজের অন্যেসকল নাগরাজ নন্দোপন্দকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন কে এই সন্যাসী
তার এমনি কি ঋদ্ধি যে তোমার নাগ ভবনের উপর সে যাতায়াত করছে
কে এই মানব
উত্তরে নন্দোপন্দ বললেন তিনি হচ্ছেন শ্যাক্য পুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম
প্রায় সময় এ পথে যাতায়াত করেন
কিন্তু আজকে আমার এখানে অনুষ্টান হচ্ছে জেনেও সে যাতায়াত করছে না এভাবে তো আর তাকে যাতায়াত করা দেওয়া যায় না আজকে যে ভাবেই হোক তাঁকে প্রতিরোধ করবো
এতে করে তিনি রেগে যান
রাগে থাকতে না পেরে ঋদ্ধিবলে তাঁর বিশাল আকারের দেহ দিয়ে সুমেরু পর্বতকে পেঁচিয়ে রাখেন
ফলে তাবতিংস স্বর্গ গমনের পথ অবরুদ্ধ হয়
এবং পুরা এলাক অন্ধকার করে রাখে তার ফেনার মাধ্যমে।

এভাবে পুরা এলাকা অন্ধকার দেখে অগ্রশ্রাবক মহামৌদ্গল্যায়ন ভান্তে বুদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলেন ভগাবান বুদ্ধ অন্যান্যবার তাবতিংস স্বর্গে যাবার সময় মনোরম স্বর্গের দজা দেখতে পেতাম
আলোকিত লাগতো পুরা এলাকা
কিন্তু এখন সব অন্ধকার অন্ধকার লাগতেছে কিছুই দেখা যাচ্ছে না কেন
উত্তরে তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধ বললেন নন্দোপন্দ নামক নাগরাজ আমাদের উপর রাগে বশিভুত হয়ে সুমেরু পর্বতকে তার ঋদ্ধিবল দিয়ে ফেনার মাধ্যমে পেঁচিয়ে রেখেছে এবং তার ঋদ্বিবলের কারন পুরা এলাকা অন্ধকার হয়ে আছে
বুদ্ধের মুখে এমন কথা শুনে এক এক করে রাষ্ট্রপাল ভদ্রিয় রাহুল এবং অনান্যে অর্হৎগণ বুদ্ধের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেন নন্দোপন্দ নাগরাজকে দমন করার জন্যে
বুদ্ধ কাউকে অনুমতি প্রদান না করাতে অগ্রশ্রাবক মহামৌদ্গল্যায়ন ভান্তে অনুমতি প্রার্থনা করেন
মৌদ্গল্যায়ন ভান্তে প্রার্থনা করা মাত্রই ভগবান বুদ্ধ তাঁকে অনুমতি প্রদান করেন
এবং সতর্ক করেন যে এই নন্দোপন্দ নাগরাজ অনেক ভয়ানক এবং হিংস্র

ভগবান বুদ্ধের অনুমতি পাওয়া মাত্রই মৌদ্গল্যায়ন ভান্তে ঋদ্ধিবলে তাঁর পরিদেয় চীবর বদলিয়ে বিশাল আকারের নাগের শরীর ধারণ করলেন। তাদের মধ্যে উভয়ে অনেকক্ষন ধরে ঋদ্ধিবল প্রদর্শন দিয়ে যুদ্ধ চলে
কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়
নন্দোপন্দ নাগ সুমেরু পর্বতকে তার ঋদ্ধিবলে সাতপেঁচ মুরিয়ে রেখেছিল
কিন্তু বুদ্ধের মহাঅগ্রশ্রাবক মহামৌদ্গল্যায়ন ভান্তে চৌদ্দপেঁচ দিয়ে সুমেরু পর্বতকে সহ নাগরাজ নন্দোপন্দকে পেঁচিয়ে ফেলে
এভাবে চলতে থাকে উভয়ের ঋদ্ধিপ্রদর্শন
ঋদ্ধিবলে পরাজয়ের ভয়ে নাগরাজ নন্দোপন্দ তার শেষ ঋদ্ধি শক্তি প্রয়োগ করার প্রয়াস ব্যক্ত করে
এবারে নন্দোপন্দ তার শেষ ঋদ্ধিবল প্রয়োগ করবেন সে ঋদ্ধিবল এতটায় বিশাক্ত যে যে কোন সময় মৌদ্গল্যায়ন ভান্তের জীবন সংকটাপূণ্য হতে পারে
আর তার ধরনে নন্দোপন্দ ফাঁদ পেতে বসে রয়েছেন
এবার ভগবান বুদ্ধ মৌদ্গল্যায়ন ভান্তেক সাবধান বাণী দিয়ে সর্তক করলেন যে এটিই হচ্ছে নাগরাজ নন্দোপন্দের সর্বশেষ ভয়ানক ঋদ্বিশক্তি
সুতরাং তোমার ঋদ্ধিশক্তি দিয়ে সাবধানে প্রতিরোধ কর
ভগবান বু্দ্ধের মুখে সাবধান বাণী শ্রবন করে মৌদ্গল্যায়ন এবার তার চতুর্থ ধ্যানের ঋদ্ধিবল দিয়ে নন্দোপন্দ নাগরাজের নাগের ভিতর দিয়ে তার শরীরে প্রবেশ তার মুখের প্রবেশ ধারে প্রবেশ করে
নন্দোপন্দ এবা হা করে বসে থাকে যখনি বের হতে যাবে ঠিক তখনি সে তার বিষক্রিয়া প্রয়োগ করবে
মৌদ্গল্যায়ন ভান্তে মুখদ্বার দিয়ে বের হয়ে পাল্টাঋদ্ধি দিয়ে নন্দোপন্দ নাগরাজকে পরাস্ত করেন
এবং নাগরাজ মৌদ্গল্যায়ন ভান্তের কাছে পরাজয় বরণ করে বুদ্ধের শরণাপন্ন হয়ে বুদ্ধ ধর্ম গ্রহন করেন এবং বুদ্ধ ও প্রমুখ ভিক্ষু সঙ্ঘকে বন্দনা নিবেদন করে সপ্তাহকালের জন্যে ফাং করেন
ভগবান বুদ্ধ নাগরাজ নন্দোপন্দের ফাং গ্রহন করেন এবং সপ্তাহ কাল নাগরাজ্যে অবস্থান করেন
নাগগণ বুদ্ধকে পেয়ে আনন্দে আত্বহারা
তারা সপ্তাহ কাল বুদ্ধ ও মহান ভিক্ষু সঙ্ঘকে বিবিধ আকারে পূজা নিবেদন করেন

এরপর ভগবান বুদ্ধ নাগরাজ্যে হতে তাতিংস স্বর্গে গমন করেন ভগবান বুদ্ধ যখন তাবতিংস স্বর্গে আগমন করেন তখন দেবলোকে দেবগণের মধ্যে সাধুবাদের ঝড় উঠে
তাদের মধ্যে আলোচনা চলতে থাকে নন্দোপন্দ দমনের কাহিনী তাবতিংস হতে ভগবান বুদ্ধ জেতবনে ফিরে এসে নন্দোপন্দ নাগরাজ প্রসঙ্গে ধর্মদেশনা দানকালে বললেন হে ভিক্ষুগণ অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে আমরা তো সবাই এক এক করে ভগবানের কাছে নন্দোপন্দ নাগরাজকে দমন করার জন্যে প্রার্থনা করি কিন্তু ভগবান আমাদের অনুমতি না দিয়ে মৌদ্গল্যায়ন ভান্তেকে কেন অনুমতি প্রদান করলেন
ভিক্ষুগণ নন্দোপন্দ নাগরাজ ছিলেন অশেষ ক্ষমতাধর সে আমাদের প্রতি ছিল ঈষ্য পরায়ন
সবাই তাকে দমন করতে পারলেও শেষ মুহুর্তে নাগরাজ নন্দোপন্দ যে বিষক্রিয়া প্রয়োগ করেছিল তা কাটিয়ে উঠবার ক্ষমতা একমাত্র আয়ুসমান মৌদ্গল্যায়নের ছিল
তাই সবাইকে বাদ দিয়ে আমি আয়ুসমান মৌদ্গল্যায়নকে অনুমতি প্রদান করি
নাগরাজ নন্দোপন্দ দমনের কথা শুনে শ্রাবস্তী-বাসী ও বুদ্ধের শিষ্যগণ খুবই আনন্দিত হন
তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধ যে প্রখর বুদ্ধিবলে অগ্রশাবক মৌদ্গল্যায়নের ঋদ্ধি বল প্রয়োগের মাধ্যমে নন্দোপন্দ নাগরাজকে দমন করেছিলেন
⛔Copyright :
We allow anyone to make reaction videos but the video must remain branded under Buddho_Hoda_24 (with our channel link) in the description box.