Скачать или смотреть গুপ্তিপাড়ার গুপ্ত কালী মন্দির ভ্রমণ : এক ঝলকে দেখে নিন মন্দিরের অন্দরমহল। ইতিহাস পূজো এবং দর্শন ।

গুপ্তিপাড়ার গুপ্ত কালী মন্দির ভ্রমণ : এক ঝলকে দেখে নিন মন্দিরের অন্দরমহল। ইতিহাস পূজো এবং দর্শন ।

গুপ্তিপাড়া গুপ্ত কালী মন্দির: ইতিহাসের গভীরে এক আধ্যাত্মিক যাত্রা
হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া এক প্রাচীন জনপদ, যা তার সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈষ্ণব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী পুজোর জন্য সুপরিচিত। এই গুপ্তিপাড়ার অন্দরেই অবস্থিত গুপ্ত কালী মন্দির, যা স্থানীয়দের কাছে গুপ্তিপাড়া গুপ্ত কালী মন্দির: হুগলির এক ঐতিহাসিক তীর্থস্থান
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া তার সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈষ্ণব সংস্কৃতি এবং প্রাচীন ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। এই গুপ্তিপাড়ার কেন্দ্রেই অবস্থিত গুপ্ত কালী মন্দির, যা স্থানীয়দের কাছে এক অত্যন্ত পবিত্র ও শ্রদ্ধার স্থান। এটি কেবল একটি উপাসনালয় নয়, বরং বাংলার প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী, জনশ্রুতি এবং গভীর আধ্যাত্মিকতার এক জীবন্ত নিদর্শন।
মন্দিরের তাৎপর্য ও স্থাপত্যশৈলী
গুপ্ত কালী মন্দির তার নিজস্ব বিশেষত্বের জন্য পরিচিত। যদিও এর নামকরণ 'গুপ্ত' বা গোপন, তবে এর মাহাত্ম্য ও আকর্ষণ কোনো অংশে কম নয়।
কিংবদন্তি ও ইতিহাস: মশাল কালীর গল্প
এই মন্দিরের নামকরণের পেছনে প্রচলিত আছে নানা কিংবদন্তি। শোনা যায়, এক সময় এই অঞ্চলে ডাকাতদের আনাগোনা ছিল এবং তারা নাকি ডাকাতি করার আগে এই গুপ্ত কালী মন্দিরে পুজো দিত। রাতের অন্ধকারে মশাল জ্বালিয়ে তারা মায়ের আরাধনা করত। সেই থেকেই এই কালী 'মশাল কালী' নামেও পরিচিতি লাভ করেন। যদিও সেই ডাকাত দলের অস্তিত্ব আজ নেই, তবে তাদের দ্বারা শুরু হওয়া এই পুজো আজও প্রচলিত। প্রতি বছর কালীপুজোর সময় মশাল হাতে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এই পুজোর আয়োজন করা হয়, যা এক বিশেষ আকর্ষণ। এই উৎসব দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ভিড় জমান।
পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা
গুপ্ত কালী মন্দিরে গেলে আপনি শুধু একটি ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন করবেন না, বরং বাংলার এক প্রাচীন অধ্যায়ের সঙ্গে পরিচিত হবেন। এখানকার শান্ত পরিবেশ, প্রাচীন মন্দিরের গঠন এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা লোককথা আপনাকে এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যাবে। স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে গিয়ে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়। এটি ইতিহাসপ্রেমী এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য একটি আদর্শ স্থান।
গুপ্তিপাড়ার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থান
গুপ্ত কালী মন্দিরের পাশাপাশি গুপ্তিপাড়ায় আরও অনেক ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান রয়েছে, যা আপনার ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে:
বৃন্দাবনচন্দ্র মঠ: চারটি বৈষ্ণব মন্দিরের সমষ্টি, যার মধ্যে রামচন্দ্র মন্দিরের টেরাকোটা কাজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বারোয়ারি পুজোর উৎপত্তিস্থল: শোনা যায়, বাংলার প্রথম বারোয়ারি বা সর্বজনীন দুর্গা পুজো এই গুপ্তিপাড়াতেই শুরু হয়েছিল।
দেশকালী মাতার মন্দির: গুপ্তিপাড়ার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পরিচিত।
গুপ্তিপাড়ার রথ: পুরীর রথের পরেই যার স্থান।
কিভাবে পৌঁছাবেন:
হাওড়া-কাটোয়া রেলপথের গুপ্তিপাড়া স্টেশনে নেমে টোটো বা রিকশা করে সহজেই মন্দিরে পৌঁছানো যায়। কলকাতা থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানটি একদিনের ভ্রমণের জন্য দারুণ।
গুপ্ত কালী মন্দির কি আপনার পরবর্তী ভ্রমণের গন্তব্য হতে পারে?
অত্যন্ত পবিত্র ও শ্রদ্ধার স্থান।
Guptipara Gupta Kali Mandir
Guptipara's Gupta Kali Mandir,
Hashtags:
#Guptipara
#GuptiparaTemple
#GuptaKaliMandir
#Hooghly
#WestBengalTourism
#BengalTemples
#SpiritualBengal
Deity & Devotional Hashtags:
#GoddessKali
#KaliPuja
#MaaKali
#DivineMother
#HinduTemple
#Pilgrimage
#Devotion
Hashtags:
#BengalHeritage
#HistoricalTemple
#AncientTemple
#TempleArchitecture
#BengaliCulture
#CulturalHeritage
#DurgaPuja
#KaliPujo
#FestivalVibes
#Navratri
Thanks for watching 🙏🎬
‪@Dhatrigramvloger‬
‪@creatorinsider‬