লালবাগ কেল্লা নাকি সমাধি । Point of View । পুরান ঢাকা

Описание к видео লালবাগ কেল্লা নাকি সমাধি । Point of View । পুরান ঢাকা

লালবাগ কেল্লা নাকি সমাধি
Point of View । পুরান ঢাকা
‪@BISKUTPAGLA‬

সেই বিখ্যাত শায়েস্তা খাঁর কথা মনে আছে ? যার আমলে টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যেন। আজ জানবো তার মেয়ের সমাধি নিয়ে।

লালবাগের কেল্লার অভ্যন্তরে মূলত তিনটি স্থাপনা রয়েছে সেগুলো হলো– মসজিদ, পরী বিবির সমাধি ও দেওয়ান-ই-আম। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল পরীবিবির মাজার। মূলত লালবাগ কেল্লার বিভিন্ন ছবিতে পরীবিবির মাজার ভবনটিই দেখানো হয়।

পরিবিবির মাজার ভবনটি বর্গাকার চতুষ্কোণ। ভবনের একদম মাঝের বর্গাকার কক্ষটিতে রয়েছে পরীবিবির কবর। এই কক্ষটিও ঘিরে আরও আটটি ঘর রয়েছে। ভবনের চার কোনায় রয়েছে চারটি ছোট মিনার এবং ছাদের কেন্দ্রভাগে রয়েছে অষ্টকোণ আকৃতির গম্বুজ। গম্বুজটি পূর্বে সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো ছিল।

১৬৭৮ সালে সুবাহ বাংলার তৎকালীন সুবাহদার শাহজাদা মুহাম্মদ আজম লালবাগ কেল্লার নির্মান শুরু করেন। তিনি বাংলার সুবাহদার (গভর্নর) হিসেবে মোট ১৫ মাস ঢাকায় ছিলেন। কিন্তু লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার আগেই তার পিতা মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য তাকে দিল্লিতে ফিরে আসার নির্দেশ দেন।

এসময়ের মধ্যে একটি দরবার হল ও একটি মসজিদ নির্মিত হয়। তারপর ১৬৮০ সালে পরী বিবির বাবা শায়েস্তা খান পুনরায় বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। তিনি পুনরায় দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৬৮৪ সালে কেল্লার ভেতর শায়েস্তা খানের কন্যা ইরান দুখত রহমত বানুর (পরী বিবি) মৃত্যুর ফলে শায়েস্তা খান দুর্গটিকে অপয়া মনে করে ১৬৮৪ সালে এর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।

তিনি দুর্গের অভ্যন্তরে পরীবিবির সমাধি উপর একটি সুদৃশ্য সমাধি সৌধ তৈরি করেন। যা পরিবিবির মাজার হিসেবে পরিচিত। এই পরী বিবি শায়েস্তা খানের কন্যা কিনা তা নিয়ে কিছু ঐতিহাসিকদের মধ্যে দ্বিমত থাকলেও তিনি যে শায়েস্তা খানের কন্যা তা স্বয়ং শায়েস্তা খানের নিজের ওসিয়তনামা থেকেই প্রমাণিত হয়। ওসিয়তনামাটি বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাটরা ওয়াকফ পরিদপ্তরে সংরক্ষিত আছে।
#লালবাগকেল্লা
#Lalbagh
#পুরানঢাকা

Комментарии

Информация по комментариям в разработке