Скачать или смотреть গর্ভবতী মায়ের ৫টি বিপদ চিহ্ন | ৩টি সতর্কতা ও পরামর্শ

আজকের ভিডিওতে আমরা গর্ভবতী মায়ের ৫টি বিপদ চিহ্ন এবং ৩টি সতর্কতা অর্থাৎ 5 Danger Signs of Pregnant Mother 3 Warnings and Advice সম্পর্কে সচেতনতা ও পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করেছি। গর্ভাবস্থায় কিছু লক্ষণ কখনো অবহেলা করা উচিত নয়। গর্ভকালীন ৫টি বিপদ সংকেত অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় যে সব বিপদ চিহ্ন দেখলে দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে হবে তা আমাদের সবাইকে জানতে হবে।
আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার আগের তুলনায় অনেক কমেছে কিন্তু এখনও যে পর্যায়ে আছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের। তাই ভিডিওটি না কেটে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার অনুরোধ করছি। গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের সময় এই ৫ টি বিপদ চিহ্ন মা ও শিশু উভয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এরকম অবস্থায় মায়েদের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। যেমনঃ
১. রক্তস্রাব
প্রসবের সময় ছাড়া গর্ভাবস্থায় যেকোনো সময় রক্তক্ষরণ বা প্রসবের সময় বা প্রসবের পর খুব বেশি রক্তক্ষরণ বা গর্ভফুল না পড়া বিপদের লক্ষণ। তাই এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কোনো রকম চিন্তা না করে পরিবারের সকলের উচিত মাকে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। অন্যথায় তা বাচ্চা এবং মা উভয়ের জীবনেই হুমকি ডেকে আনতে পারে।
২. তীব্র মাথাব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখা
গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা প্রসবের পর শরীরে পানি আসা, খুব বেশি মাথাব্যথা বা চোখে ঝাপসা দেখা পাঁচটি প্রধান বিপদ চিহ্নের মধ্যে একটি। এটি প্রি-একলামসিয়া অথবা একলামসিয়ার লক্ষণ তাই এ ব্যাপারে মায়েদের বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। যদিও গর্ভাবস্থায় মায়ের পায়ে সামান্য পানি আসা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠলে যদি এ পানি চলে যায় তাহলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিন্তু যদি পায়ে অতিরিক্ত পানি আসে এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করে ও পা ভারি হয়ে আসে তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
৩. ভীষণ জ্বর হলে
গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর তিন দিনের বেশি জ্বর এবং মাসিকের রাস্তাদিয়ে যদি দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব যায় তাহলে এটিও একটি বিপদ চিহ্ন। এই বিপদ চিহ্ন গর্ভবতী মায়ের শরীরে ইনফেকশনের ইঙ্গিত বহন করে। এই ইনফেকশন গর্ভবতী মা এবং অনাগত সন্তান উভের জন্য বিপদজনক। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যদি কেঁপে কেঁপে ভীষণ জ্বর আসে এবং প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় তবে তা অনেক সময় মূত্রনালির সংক্রমণের ইঙ্গিত বহন করে। সময়মতো উপযুক্ত চিকিৎসা করলে অল্প সময়ে এ জটিলতা দূর হয়ে যায়।
৪. খিচুনি
গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা প্রসবের পর যেকোনো সময় যদি খিচুনি দেখা দেয় তবে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষায়িত হাসপাতালে মাকে। ভর্তি করাতে হবে। খিচুনি একলামসিয়ার প্রধান লক্ষণ। দ্রুত পদক্ষেপ ও চিকিৎসায় বাচ্চা এবং মা দু’জনের জীবনকেই রক্ষা করতে পারে। তা না হলে এ রোগে দু’জনের জীবন হানী হতে পারে।
৫. বিলম্বিত প্রসব
গর্ভবতী মায়ের প্রসবব্যথা যদি ১২ ঘণ্টার বেশি হয় অথবা প্রসবের সময় যদি বাচ্চার মাথা ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গ বের হয়ে আসে, তবে বাসাবাড়িতে প্রসবের চেষ্টা না করে সবারই উচিত মাকে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
এছাড়াও গর্ভবতী মাকে কিছু বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। যেমন-
বাচ্চার নড়াচড়াঃ
গর্ভাবস্থায় সাধারণত মা ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করেন। পেটের ভেতর বাচ্চা ঘুমায় ও খেলা করে, যার অনুভূতি মা বাইরে থেকে বুঝতে পারেন। বাচ্চার নড়াচড়ার একটা নির্দিষ্ট সীমা এবং সময় রয়েছে যা শুধু মা-ই অনুভব করেন। (সাধারণত ১২ ঘন্টায় বাচ্চা ১০-১২ বার নড়াচড়া করে) এর কোনো ব্যতিক্রম হলে মা সেটা খুব দ্রুত বুঝতে পারেন। বাচ্চার অধিক নড়াচড়া বা কম নড়াচড়া দু’টিই ক্ষতিকর এবং এসব ক্ষেত্রে নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ডাক্তারকে দেখানো উচিত।
রক্তচাপ বেড়ে যাওয়াঃ
গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর মায়ের রক্তচাপ লক্ষ রাখা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময় মায়ের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এটি প্রিএকলামসিয়ার লক্ষণ। তাই যাঁরা আগে থেকেই রক্তচাপে আক্রান্ত বা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
তলপেটে তীব্র ব্যথাঃ
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে সাধারণত তিন মাসের মধ্যে যদি কোনো সময় তলপেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, রক্তক্ষরণ ও পেট শক্ত হয়ে যায় তবে দ্রুত ডাক্তারকে দেখানো উচিত। এটি একটি ব্যতিক্রম এ ক্ষেত্রে জরায়ু ছাড়া টিউবে অর্থাৎ নালিতে (অন্যান্য স্থান যেমন : পেটের ভেতর, ডিম্বাশয়ের মধ্যে ইত্যাদি) গর্ভধারণ হতে পারে যা একটোপিক প্রেগন্যান্সি নামে পরিচিত এবং অনেক সময় এটি ফেটে গিয়ে মায়ের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
তো মায়ের এই ৫টি বিপদ চিহ্ন ও ৩টি সতর্কতা চিনে রাখব, দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করব।
গর্ভবতী মায়ের এই বিপদচিহ্নগুলো চিনে রাখব যাতে জটিল অবস্থা দ্রুত বোঝা যায়।
যেকোন একটি বিপদচিহ্ন দেখা দিলে এক মুহূর্ত দেরি না করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাব।
যত দ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করব।
এই ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও পেতে আমাদের Raju Health Care চ্যানেলটিকে SUBSCRIBE করে সাথেই থাকুন। ভিডিওটি ভাল লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।
#গর্ভবতীমায়েরকয়েকটিবিপদচিহ্ন #banglahealthtips #rajuhealthcare #womenshealth

Previous video
গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও পুষ্টি সেবা
   • গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও পুষ্টি সেবা | গর্ভকাল...  

গর্ভকালীন মায়ের ৫ ধরনের খাবার খাওয়ার গুরুত্ব ও তার পরিমাণ
   • গর্ভকালীন মায়ের ৫ ধরনের খাবার খাওয়ার গুরুত...  

গর্ভকালীন মায়ের পুষ্টির গুরুত্ব ও শিশুর বিকাশ
   • গর্ভকালীন মায়ের পুষ্টির গুরত্ব ও শিশুর বিক...  

Please Subscribe our Channel
   / @rajuhealthcare  

Abdur Razzak CHCP
Facebook Link
  / abdurrazzak621  

Raju Health Care
Instagram Link
  / rajuhealthcare  

Free video credit
https://www.pexels.com