ভরত রাজার দেউল, ভরত ভায়না | A medieval Buddhist temple | Archaeological place of Jessore Khulna খুলনা-যশোর সীমান্তে কেশবপুর উপজেলার ভদ্রা নদীর পশ্চিম তীরে ভরত ভায়না গ্রাম। নদী আর সবুজ বৃক্ষ শোভিত এই গ্রাম যে কারো মন কেড়ে নেবে। তবে শুধু সবুজ প্রকৃতি নয় ভ্রমণ পিয়াসী মানুষদের জন্য এখানে রয়েছে আরো একটি মূল্যবান স্থান। যেখানে ভ্রমণকারীরা মহাস্থানগড়ের কিছুটা স্বাদ পাবেন। খুলনা-যশোর সীমান্তবর্তী ভরত ভায়না গ্রামে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ১৮শ বছর পূর্বের এক পুরাকীর্তি। শতবর্ষী বিরাট বটগাছের নিচে অবস্থিত এ পুরাকীর্তিটি স্থানীয় জনপদের কাছে ভরত রাজার দেউল বা ভক্তের দেউল বা নামে পরিচিত। ভরত ভায়না মন্দির দক্ষিণ বঙ্গের একমাত্র আদি ঐতিহাসিক যুগের স্থাপনা। প্রখ্যাত প্রতœতাত্তি¡ক কাশীনাথ দীক্ষিত ভরত ভায়না ও ঢিবি সংলগ্ন এলাকায় প্রাথমিক জরিপ কাজ পরিচালনা করেন ১৯২২-২৩ সালে এবং তিনি ঢিবিটি পর্যালোচনা করে মন্তব্য করেন যে ঢিবির নিচে পাঁচ শতকের প্রাচীন একটি বৌদ্ধমন্দির আছে এবং এটি সম্ভবত হিউয়েন-সাং বর্ণিত সমতটের ৩০টি সংঘারামের একটি। পরবর্তীতে ১৯৮৪-১৯৮৫ সালে ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০১৬-২০১৭ সালে খনন কাজের ভিত্তিতে তিনটি স্থাপত্যিক কাল পর্ব পাওয়া গিয়েছে। এবং এই স্থাপত্যে ব্যবহৃত এত বড় ইট এই অঞ্চলের কোনো পুরাকীর্তিতে আর ব্যবহৃত হতে দেখা যায়নি। স্থাপত্যিক ধ্বংসাবশেষ ছাড়াও মানবমূর্তির বিভিন্ন অংশ যেমন: মাথা, বাহু, হাত ও পা প্রভৃতি পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রাণী মূর্তির বিভিন্ন াংশ যেমন: ষাঢ়ের মাথ, বিভিন্ন ধরনের অলংকৃত ইট এবং মৃৎপাত্র, যা খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরে রক্ষিত আছে। ভরত ভায়নার অপর নাম ভক্তের দেউল। এর পরিধি ধারনা করা হয়, ৫০ ফুটের অধিক উঁচু এবং পরিধি ৯০০ ফুটেরও অধিক। আর এই দেউলকে ঘিরে প্রচলিত রয়েছে অনেক গল্প যার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় গল্পটি হলো, ভরত রাজা তাঁর মায়ের দুধের ঋণ শোধ করার জন্য মন্দিরটি উৎসর্গ করতে চাইলে দেবতাদের ক্রোধ মন্দিরের অগ্রভাগকে মাটির সাথে মিলিয়ে দেয়।ৎ বাংলাদেশ সরকারের প্রতœতত্ত¡ বিভাগের খননের ফলে দেউলটির পূর্ণ অবয়ব মানুষের দৃষ্টিতে আসে। কিন্তু খননের ফলে জানা যায় ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে এ দেউলের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খননে সমগ্র প্রাসাদটির ভিত থেকে শেষ পযন্ত মোট ৯৪টি কক্ষ পাওয়া যায়। চারপাশে চারটি উইং ওয়াল। এর মধ্যে ১২টি কক্ষ। বাকি ৮২টি কক্ষের সমন্বয়ে এ বৌদ্ধ স্তুপটি তৈরি। স্তুপটির চূড়ায় চারটি কক্ষ। এ কক্ষের দুই পাশে আরো আটটি ছোট ছোট কক্ষ রয়েছে। অধিকাংশ কক্ষগুলো মাটি দ্বারা পরিপূর্ণ। ধারণা করা হয় বৌদ্ধ সপ্তকের উপরিভাগে জাঁকজমকপূর্ণ একটি উপাসনালয় ছিল। প্রাসাদটির চারপাশে তিন মিটার চওড়া রাস্তা রয়েছে। উপাসনালয়ের চারপাশে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রদক্ষিণ করে পূণ্য অর্জন করত। চারটি উইং দেয়ালে যে ঘরগুলো ছিল সম্ভবত সেগুলোতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বসবাস করতেন বা অবসর সময় কাটাতেন। #vorot_Vayna # Buddhist_temple
References of Research Data
১. যশোহর- খুলনার ইতিহাস: সতীশ চন্দ্র মিত্র ২. মহানগরী খুলনা: ইতিহাসের আলোকে- ড. শেখ গাউস মিয়া ৩. ১৯ ও বি, শতকের খুলনা নগরী: প্রফেসর হারুনুর রশীদ ৪. খুলনার পুরাকীর্তি: ড. মিজানুর রহমান ৫. সাতক্ষীরার পুরাকীর্তি: ড. মিজানুর রহমান
এখানে যে সব বিষয়গুলোর আঁচড় পাবেন---
ভরত রাজার দেউল, কিভাবে যাবেন ভরতের দেউল, ভরত ভায়না, ভরতের দেউল কেশবপুর যশোর, ভরত ভায়না, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, মহাস্থানগড়, ভদ্রা নদী, bharat bhayna, ভর্তের দেউল, যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান, bharater dewl, voroter dewl, tourist places in jessore district, tourist site in jessore district, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান, যশোর জেলার ঐতিহাসিক স্থান, bharat bhayana, historical palace of bangladesh, somapura vihara, vorot vaina, bharat vaina, bharat rajar deul, যশোরের ঐতিহাসিক স্থান, historic place of jessore, কেশবপুরের ঐতিহাসিক স্থান, প্রাচীন স্থাপনা, jessore, archaeological place of jessore khulna, keshobpur, vorot rajar deul, jessore keshobpur vorot rajar deul, documentaries ভরত ভায়না, buddha bihar, jessore vorot rajar deul, vorot, tourist place, khulna bangladesh, ঐতিহ্যবাহী ভরতের দেওল, historical place, protnototto odhidoptor, প্রত্নতাত্ত্বিত স্থান, mohasthangor, a medival buddhist temple, প্রাচীন নিদর্শন
You can give LIKE | COMMENT | SHARE | SUBSCRIBE this channel And press the bell Icon. Connect with me:
Youtube➤ / @shashwatojibon
Facebook ➤ / shashwatojibon
Pinterest ➤ / shashwatojibon
Instagram ➤ / shashwatojibon
Twitter ➤ / shashwatojibon
Reddit ➤ / shashwatojibon
Website ➤ https://www.shashwatojibon.com/ © Shashwato Jibon
Информация по комментариям в разработке