Скачать или смотреть গাছের হেলথ ড্রিংকস তরল জৈব সার# mustard cake fertilizer # liquid fertilizer

আমরা আমাদের বাগানের গাছের জন্য বিভিন্ন প্রকার তরল জৈবসার ব্যবহার করে থাকি, তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হলো খোল পচা সার বা সরিষার খোল ভেজানো তরল সার। এই স্যারের এন পি কে রেশিও ৪:১:১। নাইট্রোজেন,ফসফরাস, পটাশিয়াম ছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে সালফার, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ও অন্যান্য পুষ্টি মৌল যথেষ্ট পরিমাণে বর্তমান থাকে। তাই বলা যায় এটি গাছের জন্য একটি সুষম খাবার। অনেক হয়তো আমরা বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে চায় না, তো সেই রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে এই এই খোল পচানো তরল সার ব্যবহার করতে পারেন। কেবলমাত্র ইনডোর ও সাকুলেন্ট প্ল্যান ছাড়া বাগানের সমস্ত গাছে এই সার প্রয়োগ করা যায়। শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয়ে একটু খেয়াল রাখা প্রয়োজন....

১. বৃষ্টির মধ্যে এই সার প্রয়োগ করা যাবে না।

২. পাতলা করে প্রয়োগ করতে হবে খুব বেশি মোটা করে প্রয়োগ করবেন না।

৩. মোটামুটি সকালের দিকে গাছ পিছু ২০০ থেকে ২৫০ এম এল প্রয়োগ করবেন, দুপুর রোদের এই সার প্রয়োগ করবেন না।

৪. টানা কয়েকদিন বৃষ্টি চললে তখন এই সার
প্রয়োগ করতে বিরত থাকবেন।

৫. সার দেয়ার সময় খেয়াল করবেন গাছের পাতায় যেন না পড়ে, গাছের পাতায় পড়লে সেই পাতাতে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে, তাই প্রয়োগ করার সময় যদি গাছের পাতায় পড়ে তাহলে জল দিয়ে পাতাটিকে ধুয়ে দেবেন।

৬. যেদিন সার প্রয়োগ করবেন তার আগের দিন টবের মাটিটি হালকা ভাবে ভিজিয়ে রাখবেন।

৭. সার প্রয়োগের পরের দিন টবের মাটিতে বা গাছের গোড়ার মাটিতে যদি হালকা আস্তরণ তৈরি হয় তাহলে একটি নিরেনির সাহায্যে মাটিটি হালকা ভাবে খুসে দিন।

এই সার তৈরি করার জন্য এক লিটার জল অনুপাতে ১০০ গ্রাম খোল পাঁচ থেকে ছয় দিন পচিয়ে নিন । পচানোর সময় হালকা করে ঢাকনা দিয়ে রাখবেন,যাতে এর মধ্যে তৈরি হওয়া গ্যাস বের হতে পারে। এই গ্যাসটি বের করার জন্য মাঝে মাঝে মিশ্রণটিকে নাড়িয়ে দেবেন । তিন থেকে চার দিন পর যখন দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু হবে তখন মনে করবেন আপনার সার তৈরি হয়ে গেছে। তারপর সেই খোল পচানো জলের সাথে আরো ১০ লিটার জল মিশিয়ে পাতলা করে গাছে প্রয়োগ করুন। 🙏🙏🙏🙏