ঝোপ জঙ্গলে পরিণত হয়েছে রেলওয়ের সিজিপি ইয়ার্ড

Описание к видео ঝোপ জঙ্গলে পরিণত হয়েছে রেলওয়ের সিজিপি ইয়ার্ড

রেলওয়ের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট (সিজিপি) ইয়ার্ডে পড়ে আছে সহস্রাধিক ওয়াগন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা এসব ওয়াগন জং ধরে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ সরকারি নিলামে এসব নষ্ট ওয়াগন বিক্রি করে দিলে একদিকে যেমন রেলওয়ের আয় বাড়ত অন্যদিকে অবমুক্ত হতো ইয়ার্ডের জায়গাও। নানা জটিলতায় কারণে নিলাম হয়না। যুগের পর যুগ রেল লাইনে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে ওয়াগনগুলো। আর এসব ওয়াগন পরিণত হয়েছে নানা অসামাজিক কাজের আঁখড়ায়।

সরজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সিজিপি ইয়ার্ডে পাশাপাশি রেললাইনে হাজারেরও অধিক ওয়াগন পড়ে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকার কারণে মরিচা পড়ে বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। যেসব স্থানে ওয়াগনগুলো রাখা হয়েছে তার পুরোটাই যেন পরিণত হয়েছে ঝোপ জঙ্গলে। অনেক ওয়াগন ঢেকে গেছে গুল্ম লতায়। আবার অনেক গুলোতে রাতের বেলায় চলে নানা অনৈতিক কার্যকলাপ। এই ইয়ার্ডের এছাক ব্রাদার্স ডিপো এলাকায় কোনো প্রাচীর না থাকায় দুষ্কৃতিকারীরা অনায়াসে ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। অসামাজিক কাজের পাশাপাশি আসর বসে মাদক সেবীদের। স্থানীয় একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে উঠে আসে এসব তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিজিপি ইয়ার্ডের পাশেই রেলওয়ের জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ বস্তি। বস্তির লোকজনের অযাচিত যাতায়াত ইয়ার্ডের নিরাপত্তাহীনতার চিত্রকে ফুটিয়ে তুলছে। পাশাপাশি রেলওয়ের বিভিন্ন সামগ্রীর প্রায়শ: চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

সিজিপি ইয়ার্ডের সহকারী ইয়ার্ড মাস্টার আবদুল মালেক সিভয়েসকে বলেন, স্বাধীনতার আগের পরিত্যক্ত অনেক ওয়াগনও এই ইয়ার্ডে আছে। মাঝে মধ্যে নিলাম অনুষ্ঠিত হলেও সবগুলো ওয়াগন বিক্রি হয়না। এজন্য বছর বছর কেবল ওয়াগনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এই ইয়ার্ডে তৈল এবং পন্যবাহী নষ্ট ওয়াগনের সংখ্যা ৬শ’ বলে জানান মালেক।

তিনি আরো জানান, নষ্ট এবং মোটামুটি ব্যবহারযোগ্য ওয়াগনের সংখ্যা হবে প্রায় ১ হাজার। মাঝে মধ্যে কিছু ওয়াগন পাহাড়তলীর ওয়ার্কশপে নিয়ে গিয়ে মেরামত করা হয়। মেরামতযোগ্য ওয়াগনের সংখ্যা ১ শ’র মত হবে বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ইয়ার্ড থেকে ঢাকা’সহ বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন গড়ে ৬ টি ট্রেন ছেড়ে যায়। আবার চট্টগ্রাম সিজিপি ইয়ার্ড অভিমুখে আসে ৪ থেকে ৫ টি ট্রেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ এই ইয়ার্ড। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই এই ইয়ার্ডকে ঘিরে। সীমাহীন দুর্নীতি আর খামখেয়ালির কারনে দিন দিন জৌলুস হারাচ্ছে সিজিপি ইয়ার্ড। যুগের পর যুগ নষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকা এসব ওয়াগনগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়া গেলে খালি হয়ে যেতো পুরো ইয়ার্ড।

বন্দর সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি নাম না করার শর্তে সিভয়েসকে জানান, দিন দিন বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে আভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহনে রেলের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। সেই বাস্তবতায় সিজিপি ইয়ার্ডের এই হাল খুবই দুঃখজনক। তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান, সিজিপি ইয়ার্ডের আধুনিকায়নের পাশাপাশি নষ্ট ওয়াগনগুলো সরিয়ে ইয়ার্ডের সৌন্দর্য বর্ধনে যেন উদ্যোগ নেওয়া হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমদের সাথে টেলিফোনে একাধিকবার যোগযোগে চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке