Скачать или смотреть যেসব খাবারে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি আছে || Foods that pose a risk of death to humans

যেসব খাবারে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি আছে || Foods that pose a risk of death to humans || Food Vitamin info tv

#যেসব_খাবারে_মানুষের_মৃত্যুঝুঁকি_আছে
#foods_that_pose_a_risk_of_death_to_humans
#humansdeathfoods
#food
#foodvitamininfotv
#healthtips

যেসব খাবারে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি আছে
মানুষ বেঁচে থাকার প্রয়োজনে খায়। সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য খাবারের বিকল্প নেই। কিন্তু এসব খাবারই কখনো কখনো মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কাজেই ভোজন বিলাসীসহ সবার জন্য মৃত্যুর ঝুঁকি আসে এমন সব খাবার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো কোনো খাবার রয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে। আবার কোনো কোনো খাবারের ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা না গেলেও তা দীর্ঘমেয়াদী শরীরের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। যেসব খাবার অবস্থাভেদে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে
পটকা মাছ :চীন, জাপান, কোরিয়াসহ বেশ কিছু দেশের মানুষের কাছে পটকা মাছ বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এ মাছটি ঠিকভাবে প্রসেস করা সম্ভব না হলে এটি খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। কেননা, এর শরীরে থাকে বিষাক্ত টিউরোটক্সিন নামক উপাদান, যা সায়ানাইডের তুলনায় বহুগুণ বেশি কার্যকর। পটকা মাছ খেয়ে প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক মানুষের মৃত্যু খবর পাওয়া যায়।
কাজু বাদাম : কাজু বাদামের দুইটি জাত রয়েছে - একটি মিষ্টি, অপরটি তিতকুটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি পুষ্টিকর খাবার হলেও তেতো কাজুবাদামের ভেতর সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড নামের একটি বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। প্রতিটা তেতো কাজুবাদামের ভেতর ছয় মিলিগ্রাম হাইড্রোজেন সায়ানাইড থাকে। কারো শরীরে ১০০ মিলিগ্রাম হাইড্রোজেন সায়ানাইড প্রবেশ করলে তা তার মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
আলু : প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আলু থাকে না এমন খুব কমই দেখা যায়। সহজলভ্যতা, শর্করা, আর নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করা যায় বিধায় পৃথিবীব্যাপী আলুর চাহিদা ব্যাপক। তবে সবুজ দাগযুক্ত আলু শরীরের জন্য ক্ষতিকর।এতে সোলানাইন নামক বিষাক্ত পদার্থ থাকে, যা রান্না এবং পোড়ানোর পরও দূর হয় না। সবুজ ও গ্যাঁজ হওয়া আলু খেলে ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
টমেটো : টমেটো গাছের পাতা এবং কাণ্ডে অ্যালকালাই থাকে, যা পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কাঁচা টমেটোর ভেতর এই উপাদান থাকে বলে মনে করা হয়। এ কারণে ভালো করে রান্না না করে কাঁচা টমেটো খাওয়া উচিত নয়। কারণ, বেশি পরিমাণে কাঁচা টমেটো খেলে যে কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এমনকি ‘কাঁচা টমেটো খেয়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।’ তাই টমেটো গাছের পাতা কোনোভাবে খাওয়া উচিত নয়।
কাঁচা মধু : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাস্তুরিত করা হয়নি এমন কাঁচা মধু খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ কাঁচা মধুর মধ্যে অনেক বিষাক্ত উপাদান থাকতে পারে। এতে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া এমন মধু খাওয়ার ফলে ঘোর ঘোর ভাব আসা, দুর্বল লাগা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি করার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
মটরশুঁটি-শিমের বিচি : ‘মটরশুঁটি ও শিমের মধ্যে ফাইটোহেমাগ্লুটিনিন নামের একটা পদার্থ থাকে, যা অনেকের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই রান্নার আগে মটরশুঁটি ও শিমের বিচি অবশ্যই ১৫ মিনিটি ধরে পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি ফেলে দিয়ে আবারো রান্না করতে হবে।
কামরাঙ্গা : কামরাঙা কোনোভাবেই খালি পেটে খাওয়া চলবে না। ডায়রিয়া হলে কামরাঙা খাওয়া চলবে না। কামরাঙা একটি অক্সালেট সমৃদ্ধ ভিটামিন সি জাতীয় ফল। সে কারণে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের কামরাঙা খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসা। স্বাভাবিক কিডনির যা কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু কারো কিডনি খারাপ হলে সেই বিষ কিডনির আরো ক্ষতি করতে পারে।
কচু : কচু গাছ যদি ছায়ায় জন্মে বা বড় হয়, তাহলে এর মধ্যে এমন একটি কম্পোনেন্ট তৈরি হয়, যা অনেকের জন্য অ্যালার্জি তৈরি করে। ফলে কচু খেলে তাদের চুলকানি হয়, গলা ফুলে যায়। এর কারণ হলো, কচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট। অনেক সময় এতে করে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে।
ডিম : ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু কাঁচা ডিম খাওয়া, আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়া বা ডিমের এক পাশ পোঁচ করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর।

#food_vitamin_info_tv