Скачать или смотреть জুম্মার দিন ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও বরকতময় একটি দিন । তারিখ ২০২৫-০১-৩১

জুম্মার দিন ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও বরকতময় একটি দিন। কুরআন ও হাদিসে জুম্মাবারের বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে অনেক আলোচনা রয়েছে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও রাসুল (সা.) এর বানী তুলে ধরা হলো :

রাসুল (সা.) বলেছেন: সপ্তাহের সেরা দিন হলো জুম্মার দিন। এই দিনে আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই তিনি পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছেন। কিয়ামতও এই দিনে সংঘটিত হবে। (সহিহ মুসলিম: ৮৫৪)

হাদিসে এসেছে যে, জুম্মার দিনে এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যেকোনো বৈধ চাওয়া চাইলে, তিনি তা কবুল করেন। রাসুল (সা.) বলেছেন: জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলমান বান্দা নামাজে থাকা অবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে, তিনি অবশ্যই তা তাকে দান করেন। (সহিহ মুসলিম: ৮৫২)

কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন: হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিনের নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে তৎপর হও এবং লেনদেন বন্ধ করে দাও। এটি তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমু'আ: ৯)

রাসুল (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযু করে, তারপর জুম্মার নামাজ পড়তে আসে, মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনে এবং চুপ থাকে, তার এক জুম্মা থেকে আরেক জুম্মা পর্যন্ত সমস্ত ছোট ছোট গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ মুসলিম: ৮৫৭)

রাসুল (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার জন্য পরবর্তী জুম্মা পর্যন্ত নূর জ্বলতে থাকবে।(সুনান দারেমি: ৩৪০৭)

রাসুল (সা.) বলেছেন: তোমরা জুমার দিনে আমার উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কারণ এই দিনে তোমাদের দরুদ আমার কাছে পৌঁছানো হয়। (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)

জুমার দিন দান-সদকা ও নেক আমল করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। কারণ এটি সপ্তাহের সবচেয়ে বরকতময় দিন। জুম্মার দিন আমাদের জন্য অনেক বরকত ও রহমতের দিন। এই দিনে বেশি বেশি ইবাদত, কুরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ ও দোয়া করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই দিনের ফজিলত যথাযথভাবে লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।