চাঁদপুরের বেদেদের দুঃখ-কষ্টের জীবন | রহস্যময় বেদে সম্প্রদায় |

Описание к видео চাঁদপুরের বেদেদের দুঃখ-কষ্টের জীবন | রহস্যময় বেদে সম্প্রদায় |

বিচিত্র সংস্কারাচ্ছন্ন আদি কৌম গোষ্ঠীগুলোর একটি হলো বেদে জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশের বেদে জনগোষ্ঠী নিয়ে নানারকম গবেষণামূলক কাজ হলেও তাদের ভাষা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণা হয়নি। এমনকি এ সম্পর্কে কোনো গবেষণা প্রবন্ধও নজরে আসে না। এর মুখ্য কারণ, বেদেরা আড়ালপ্রিয় ও ভ্রাম্যমাণ জাতি। এ কারণে তাদের ভাষা বিষয়ে উপাত্ত সংগ্রহ করা কঠিন।

বাংলাদেশের বেদেদের ভাষা পরিস্থিতি জানতে হলে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নামসহ জনসংখ্যার তথ্য জানা জরুরি। বাংলাদেশে সরকারি আদমশুমারী প্রতিবেদন ১৯৯১ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্টভাবে ২৭টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উল্লেখ পাওয়া যায়। এরা হলো বম, বুনো, চাকমা, গারো, হাজং, হরিজন, খুমি, খাসিয়া, খিয়াং, কোচ, লুসাই, মাহাতো, মণিপুরি, মারমা, ম্রো, মুরাং, মুন্ডা, ওঁরাও, পাহাড়িয়া, পাঙ্খো, রাজবংশী, রাখাইন, চাক, সান্তাল, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা ও উরুয়া। এদের সংখ্যা নয় লাখ চুয়ালিশ হাজার দুইশত পঁয়ত্রিশ জন।(অশোক বিশ্বাস, বাংলা ভাষায় ভোটবর্মী ভাষার প্রভাব, পৃ: ১০)  এ ছাড়া অন্যান্য নামের আর একটি কলামে যে তালিকা আছে তাতে অন্যান্য বলতে কোনো কোনো জাতি গোষ্ঠীকে শনাক্ত করা হয়েছে তার উল্লেখ নেই। অথচ সারা বাংলাদেশে এই অন্যান্যর সংখ্যা দেখানো হয়েছে দুই লাখ একষট্টি হাজার সাতশ চৌত্রিশ জন। এদিকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর  ফোরাম অনুযায়ী বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৫।( অশাক বিশ্বাস, পৃ:১০) বাংলাদেশে বসবাসরত এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রায় ৩০টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলে।( সৌরভ সিকদার, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর  ভাষা, পৃ:১) এদের মধ্যে চাকমা ও মারমা ছাড়া অন্য কোনো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব কোনো লিপি নেই। সাঁওতাল, খাসি ও গারোরা রোমান লিপি ব্যবহার করে। নিচে শ্রেণী সারণির মাধ্যমে বাংলাদেশের তাদের ভাষা পরিস্থিতি ও জনসংখ্যার পরিসংখ্যান দেখানো হলো :

Комментарии

Информация по комментариям в разработке