গর্ভাবস্তায় খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার আগে জানুন, গর্ভের সন্তানের কি হতে পারে || কিসমিস ভেজানো জল খেলে কি হয়
health tips, Nantir care, গর্ভাবস্থায় খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার নিয়ম, খেজুর ও কিসমিসের উপকারিতা, খেজুর খেলে কি হয়, খেজুরের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কিসমিসের উপকারিতা, কিসমিস খেলে কি হয়, খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়, কিসমিস ভেজানো জল খেলে কি হয়, কিসমিস ভেজানো জলের উপকারিতা, kismis vejano jol khele ki hoy, kismis vejano joler upokarita, khejurer upokarita, khajur kismis khele ki hoy, khali pete khejur khele ki hoy, kismis er upokarita, Benefits of Dates and Raisins, Beauty tips,pregnancy me khajur khane ke fayde
আগে জানুন গর্ভের সন্তানের কি হতে পারে?
প্রত্যেকটি নারীর গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া করা উচিত। কারণ সে এখন একা নয় দুইজন। তার গর্ভে যে সন্তানটি রয়েছে তারও বেড়ে ওঠার জন্য পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অতএব মা ও শিশুর দুইজনেরই এই সময় পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা আছে।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়াটা নতুন নয় এটি অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার ফলে ইউটেরাস এর সংবেদনশীলতা হ্রাস পায় এবং তাকে শক্তিশালী করে তোলে এক্ষেত্রে প্রসব ব্যথাটা অনেকটাই কমে যায়।
খেজুরে কিছু উপকারী ফ্যাটি এসিডের উপাদান রয়েছে যা সন্তান প্রসবের সময় সারভাইক্যাল মাসল ফেলিক্সিবল এবং নমনীয় করে যার ফলে প্রসব বেদনা অনেক কম অনুভূত হয়।
একজন গর্ভবতী মায়ের সন্তান প্রসবের সময় শরীর থেকে অনেক পরিমাণে রক্ত বের হয়। এক্ষেত্রে মায়ের শরীর অনেক দুর্বলতার সম্মুখীন হয়। গর্ভকালীন সময় এবং প্রসবের পরে নিয়মিত খেজুর খেজুর খেলে তা শরীরে অনেক দ্রুত রক্ত উৎপাদন করে।
একজন গর্ভবতী মহিলার সন্তান প্রসবের পূর্বে এবং প্রসবের সময় অধিক পরিমাণে শক্তির প্রয়োজন হয়। খেজুরের প্রচুর পরিমাণে নিউট্রিয়েন্টস থাকে। যার ফলে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খেতে পারলে গর্ভবতী মায়ের শক্তির মাত্রা অনেক গুণ বেড়ে যাবে। সন্ধান প্রসবের সময় বাড়তি যে শক্তির যোগান সে অতি সহজে দিতে পারবে।
বাচ্চার ওজন বৃদ্ধিঃ গর্ভাবস্থায় মায়েরা তাদের গর্ভের সন্তানের ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন। অতিরিক্ত চিন্তার কারণে সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় বেশি মানসিক চাপ নেওয়া করা যাবে না। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে বাচ্চার হাড় মজবুত ও বৃদ্ধি, শরীরের ও অঙ্গ পতঙ্গের উন্নতি ঘটাতে পারে। তাই বাচ্চার শরীরের পুষ্টি বৃদ্ধি করার জন্য চিন্তা না করে নিয়মিত খেজুর খেতে থাকুন।
বাচ্চার জন্মগত ত্রুটির সমস্যাঃ বাচ্চার জন্মগত ত্রুটির সমস্যা হওয়ার পেছনে কারোই হাত থাকে না। তবুও ত্রুটির হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা যেতে পারে। আর এই চেষ্টা করার জন্য নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। খেজুর খাওয়ার ফলে গর্ভের সন্তানের শারীরিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অঙ্গ পতঙ্গের গঠন ত্রুটিপূর্ণ হতে সহযোগিতা করে থাকে।
ত্বক সুস্থ রাখেঃ যদিও এটি প্রমাণিত নয় যে গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। তবুও নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে ত্বকের ফুসকুড়ি, বয়স্কের ছাপ ও ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারণ খেজুরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ যা ত্বকের মৃত কোষগুলোকে ধ্বংস করতে সহযোগিতা করে।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি যোগায় উপকারিতা পাওয়া যায় খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে। কারণ খেজুরের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার, স্বাস্থ্যসম্মত ক্যালরি, শর্করা, কপার, জিংক, সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাগানিজ, প্রোটিন, ভিটামিন বি, সি ও ভিটামিন ৬ সহ আরো অনেক উপকরণ। যা একজন গর্ভবতী নারীর প্রয়োজন আছে।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় প্রতিটা খাদ্য নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। তবে খেজুরের ক্ষেত্রে যেসব খেজুর উচ্চ রাসায়নিক সমৃদ্ধ সেগুলো খেজুর গর্ভাবস্থায় কখনোই খাওয়া উচিত নয়। খেজুর যদি আপনার খুব বেশি পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে দিনে ২ থেকে ৩টির বেশি খেজুর খাবেন না। দিনের যেকোনো সময়ে আপনি খেজুর খাইতে পারবেন।
খেজুর ধুয়ে খাওয়াঃ খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে। কেননা বাজার থেকে কিনে আনা খেজুর গুলোতে ধুলাবালি বা রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে যেগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
খালি পেটে না খাওয়াঃ খেজুর খালি পেটে খাবেন না। কারন এতে গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা হতে পারে। খেজুর খাওয়ার নিয়ম হলো সকালে নাস্তার সাথে বা বিকালের হালকা খাবারের সাথে।
পর্যাপ্ত পানি খাওয়াঃ খেজুর খাওয়ার পর অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন। তাহলে হজমে সাহায্য করবে এবং আদ্রতা বজায় রাখবে।
পুষ্টিকর খাবারঃ খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করুন। শাকসবজি, আমিষ, এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খান। এখাবার গুলো আপনার পুষ্টির চাহিদা পুরন করবে।
Hello friends
Please SUBSCRIBE to "susmita’s vlog" Thanks.
Susmita’s vlog is a YouTube Channel, where you will find "vlog videos" in Bangoli, New Video is Posted Everyday :)
Информация по комментариям в разработке