Скачать или смотреть ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের কাব্যকে কারা যৌন উদ্রেককারী বলেছিলেন? Bharatchandra Roy Gunakar

#ভারতচন্দ্ররায়গুণাকর #BharatchandraRoyGunakar

#মধ্যযুগের সর্বশেষ #কবি #ভারতচন্দ্র #রায় #গুণাকর ১৭১২ সালে #হাওড়া জেলার #ভুরসুট পরগনার #পেন্ড্রো গ্রামে #জন্মগ্রহণ করেন। তাকে আধুনিক #বাংলাসাহিত্যের #অগ্রদূতও বলা হয়।

#ভারতচন্দ্রের পিতা #নরেন্দ্রনারায়ণ রায় #জমিদার ছিলেন। #পূর্বপুরুষেরা #বিত্তবান এবং #ক্ষমতাশালী হওয়ায় #সমাজে তারা #রায়পরিবার নামে #সম্মানিত ছিলেন। #স্থানীয় লোকজন তাদের #রাজা বলেও ডাকতেন।

বর্ধমানের #মহারানীর সঙ্গে #ভারতচন্দ্রের বাবার দ্বন্দ্ব শুরু হলে #ভারতচন্দ্র পালিয়ে #তাজপুরে মামার বাড়ি চলে যান। সেখানে #সংস্কৃত #অধ্যয়ন শুরু করেন এবং #সারদা গ্রামের #কেশরকুনি আচার্য #বংশের এক #কন্যাকে #বিয়ে করেন।

#ভারতচন্দ্রের #প্রথমকাব্য ছিল #বিমিশ্র #দেবতা #সত্যনারায়ণের সম্মানে রচিত একটি #পাঁচালী। #সত্যনারায়ণকে মনে করা হতো #ফকিররূপী #বিষ্ণুর #অবতার। মুন্সি পরিবার #আয়োজিত #সত্যনারায়ণের #উৎসব উপলক্ষে তিনি ‘#সত্যনারায়ণেরপাঁচালী’ রচনা করেন।

#ভারচন্দ্রের তরুণ বয়সের এ রচনার একটি #আকর্ষণীয় #বৈশিষ্ট্য ছিল অত্যন্ত #নিখুঁত ও #স্বাধীনভাবে বাংলা #ভাষায় #ফারসি ও #উর্দু শব্দের ব্যবহার। তার পরবর্তী #রচনাবলিতে এটি একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যরূপে দেখা দেয়।

বর্ধমানের #মহারাজার সঙ্গে #জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে #কোর্টের ষড়যন্ত্রে #ভারতচন্দ্র #কারারুদ্ধ হন। তবে #কারারক্ষীর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তাকে #পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।

পরে #কৃষ্ণনগরের #মহারাজা #কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। #মহারাজা #কবির #পাণ্ডিত্য ও ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে ৪০ টাকা মাসোহারা দিয়ে #অমাত্য বা #রাজসভাসদ পদে নিয়োগ দেন। এছাড়া #মহারাজা #কৃষ্ণচন্দ্র তাকে ‘#গুণাকর’ অর্থাৎ ‘#সকলগুণেরআধার’ #উপাধিতেও #সম্মানিত করেন।

কবি প্রায়ই তাকে কবিতা শুনিয়ে #আনন্দ দিতেন। #মহারাজা তার কবি #প্রতিভায় অত্যন্ত #সন্তুষ্ট হয়ে তাকে সতের শতকের কবি #মুকুন্দরামের #চণ্ডীমঙ্গলের অনুকরণে ‘#অন্নদামঙ্গল’ কাব্য রচনার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ পেয়ে #ভারতচন্দ্র ‘#অন্নদামঙ্গল’ রচনা করেন, যা #মধ্যযুগের #বাংলা #সাহিত্যের বিখ্যাত কাব্য।

#রাজা #কৃষ্ণচন্দ্র এ কাব্য রচনা পড়ে খুশি হন এবং এতে #বিদ্যা ও #সুন্দরেরকাহিনী সংযোজনের নির্দেশ দেন। কবি তার এ নির্দেশ মেনে নেন এবং #কৃষ্ণনগর পরিবারের একটি #কাহিনীও এতে সংযোজন করেন।

এরপর রাজা #কৃষ্ণচন্দ্র তাকে #সভাকবি নিযুক্ত করেন এবং জমি দান করে #মুলাজোরে বসবাসের ব্যবস্থা করেন।

ভারতচন্দ্র সেখানে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত #বসবাস করে ৪৮ বছর বয়সে #মৃত্যুবরণ করেন। #মৃত্যুকালে তিনি #পরীক্ষিত, #রামতনু এবং #ভগবান নামে তিন পুত্র রেখে যান।

‘#অন্নদামঙ্গল #কাব্য’ ছাড়া #ভারতচন্দ্রের কিছু গৌণ বা অপ্রধান রচনাও রয়েছে যা সাধারণ পাঠকের কাছে কম পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে ‘#গঙ্গাষ্টক’ নামে একটি #সংস্কৃত কাব্য এবং অন্যটি #মিথিলার #ভানুদত্তের কাব্যের #অনুবাদ ‘#রসমঞ্জরী’।

তার পরবর্তী কাব্যের মধ্যে রয়েছে #সংস্কৃত ও #বাংলাভাষায় রচিত ‘#নাগষ্টক’ কাব্য। এটি #মহারাজার #ইজারাদার #রামদেব নাগের #গুণকীর্তন করে রচিত।

এছাড়া তার পরবর্তী জীবনের #ফারসি ও #হিন্দুস্থানী ভাষা মিশিয়ে রচিত বিক্ষিপ্ত বাংলা #কাব্যগুলি পাঠ করলে #হাস্যকৌতুকের উদ্রেক হয়।

#ভারতচন্দ্রের #অন্নদামঙ্গল কাব্যের তিনটি খণ্ড। প্রথম খণ্ড #সতীর সঙ্গে #শিবের #বিবাহ এবং তার পিতা #দক্ষ কর্তৃক আয়োজিত #মহাযজ্ঞের #ধ্বংসলীলার #উপাখ্যান।

দ্বিতীয় খণ্ড #কালকেতু এবং তার উপাসনার মধ্য দিয়ে #দেবীঅন্নদার #পৃথিবীতে #আবির্ভাবের উপাখ্যান।

এছাড়া তৃতীয় খণ্ড #বর্ধমানের #রাজকন্যা #বিদ্যা এবং #যুবরাজ #সুন্দরের #কলঙ্কজনক অবৈধ প্রণয়-উপাখ্যান। ভারতচন্দ্র তার প্রতিভাদ্বারা এ তিনটি খণ্ডের মধ্যে #সেতুবন্ধন রচনা করেন।

ঊনবিংশ শতাব্দীর #কলকাতায় #ভারতচন্দ্র অত্যন্ত #জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত নব-#অভিজাত সম্প্রদায় তার #কাব্য বর্ণনায় এক ধরনের প্রত্যক্ষ #যৌন #অশ্লীলতা লক্ষ করেন। অবশ্য কিছু আধুনিক #সমালোচক তার #যৌনকামনা #উদ্রেককারী রচনায় প্রশংসনীয় #গুণাবলিও লক্ষ করেন।

#ভারতচন্দ্র #রায়গুনাকর সম্পর্কে যা মনে রাখা দরকার:

#ভারতচন্দ্র #রায়গুনাকর ১৭১২ সালে হাওড়া জেলার ভুরসুট পরগনার #পেন্ড্রো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৭২৭ সালে ‘#সত্যনারায়ণেরপাঁচালী’ রচনা করেন।
#নবদ্বীপের রাজা #কৃষ্ণচন্দ্রের #সভাকবি ছিলেন #ভারতচন্দ্র।

#ভারতচন্দ্রের #কবিত্ব শক্তিতে মুগ্ধ হয়ে #রাজা #কৃষ্ণচন্দ্র তাকে ‘#গুণাকর’ অর্থাৎ ‘#সকলগুণের #আধার’ উপাধিতে সম্মানিত করেন।

ভারতচন্দ্রকে বাংলা সাহিত্যের #প্রথমনাগরিককবি এবং মঙ্গলযুগ বা #মধ্যযুগের ‘#শেষবড়কবি’ বলা হয়।

ভারতচন্দ্রের #সাহিত্যকর্মগুলো হলো

#অন্নদামঙ্গলকাব্য (১৭৫২-৫৩): নবদ্বীপের রাজা #কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে তিন খণ্ডে তিনি এটি রচনা করেন। এটি তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি। এ ক্যাব্যের দ্বিতীয় অংশের নাম ‘#বিদ্যাসুন্দর’। এতে দেবী অন্নদার বন্দনা আছে।

তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো- ‘#রসমঞ্জরী’, ‘#নাগষ্টক’, ‘#গঙ্গাষ্টক’, ও ‘#চণ্ডীনাটক’।

#সত্যনারায়ণেরপাঁচালী: #ভারতচন্দ্র রচিত #অন্যতম গ্রন্থ হলো #সত্যনারায়ণেরপাঁচালী।

ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের বিখ্যাত উক্তি
‘#আমারসন্তানযেনথাকেদুধে-ভাতে’

#বিসিএসস্কুল, #বিসিএস স্কুল, #বিসিএস #বাংলা, #বিসিএসবাংলা #BCS:BANGLA, #Bcs:বাংলা
‘নগর পুলিলে দেবালয় কি এড়ায়?’
#BCSSchool
‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’
‘হাভাতে যদ্যপি চায়, সাগর শুকায়ে যায়’
‘বড়র পিরীতি বালির বাঁধ! ক্ষণেক হাতে দড়ি, ক্ষণেক চাঁদ’